আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল এবং অসীম দয়াময়। কিন্তু তার রাগের মাত্রাও অসীম। তিনি রাগের কারণে হযরত আদম (আঃ) জান্নাত থেকে বের করে দেন আবার ক্ষমাও করে দেন। কিন্তু সেখানে ফিরিয়ে নেননি, যদিও তিনি মানুষকে জান্নাতে যাবার সুযোগ দিয়েছেন। যেহেতু আপনি আপনার কাজের অনুতপ্ত তাই আপনাকে একই কাজ পরবর্তীতে না করার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। এবং প্রতি নিয়ত ক্ষমা চাইতে হবে বিষেশকরে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর ভুলেও ঐ কজের কথা মনে প্রস্রয় দেবেন না। আল্লাহ কখন কাকে ক্ষমা করবেন সেটা শুধুমাত্র তানিই জানেন। হতে পারে আপনি খুব তারাতারি ক্ষমা পাবেন। কিন্তু সেটা বোঝার কোনো উপায় নেই। তাই বেশি বেশি করে তাহায্যুদ ও নফল নামাজ আদায় করুন এবং বেশি বেশি করে আল্লাহ তায়ালার নাকট ক্ষমা চান একাগ্রচিত্বে। নিশ্চই আল্লাহ তায়ালা তার মহত্ব ও গুনাবলীর পরিচয় দিবেন।তার উপর ভরসা রাখুন। তিনিই আল্লাহ তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ।
প্রশ্নটা যেহেতু রমজান মাসেই করেছেন তাই আপনার সমাধান এমাসেই রয়েছে নিচের সহি হাদিসের মাধ্যমে।
আবূল ইয়ামান (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যাক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় লায়লাতুল কদর-এ ইবাদতে রাত্রি জাগরণ করবে, তার অতীতের গুনাহ্ মাফ করে দেওয়া হবে।
ইসমা’ঈল (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যাক্তি রমযানের রাতে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পূর্বের গুনাহ্ মাফ করে দেওয়া হয়।
ইবনু সালাম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যাক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমযানের সিয়াম পালন করে, তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
খারাপ কাজটি যদি কোন মানুষের হক নষ্ট করার মাধ্যমে হয় তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। আর যদি আল্লাহর হক সংক্রান্ত হয় তাহলে আগে সেটির কাযা করতে হবে। এরপর আল্লাহ তাআলার দরবারে লজ্জিত হয়ে তাওবা করতে হবে এবং আগামী কখনো এ ধরনের গুনাহ করা যাবে না। এসব করার পর বেশি বেশি নফল ইবাদত করতে পারেন। তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করবেন।