শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

গনোরিয়াঃ গনোরিয়া ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত একটি যৌন রোগ৷ সাধারণত মূত্রনালি, পায়ুপথ, মুখগহ্বর এবং চোখ গনোরিয়ার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে৷ এই রোগ সাধারণত যৌনমিলন থেকে ছড়ায় এবং পুরুষ ও মহিলা উভয়েই আক্রান্ত হতে পারে৷ কারণ: এক বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এই রোগ হয়৷ গনোরিয়া রোগের লক্ষণঃ পুরুষের ক্ষেত্রে • মূত্রনালিতে সংক্রমণ। • মূত্রনালি হতে পুঁজের মতো বের হয়। • প্রস্রাব করতে কষ্ট হয়, জ্বালাপোড়া করে এবং প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ • হাঁটু বা অন্যান্য গিঁটে ব্যথা করে, ফুলে ওঠে • প্রস্রাব করতে কষ্ট হয় এবং এমনকি জটিল অবস্থায় প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ • পুরুষত্বহীন হয়ে যেতে পারে৷ মহিলাদের ক্ষেত্রে • অনেকসময় মহিলাদের কোনও লক্ষণ নাও দেখা যেতে পারে৷ • যোনিপথ আক্রান্ত হতে পারে৷ • যোনিপথে এবং মূত্রনালিতে জ্বালা- পোড়া করে৷ • পুঁজ সদৃশ হলুদ স্রাব বের হয়৷ • তলপেটে ব্যথা হতে পারে৷ • ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ • বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে৷ চিকিৎসা: লক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে৷ ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে৷ নাহলে পরবর্তী সময়ে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে৷ প্রতিরোধ: • যৌনমিলনে কনডম ব্যবহার করতে হবে৷ • মহিলাদের মাসিকের সময় পরিষ্কার কাপড় এবং প্যাড ব্যবহার করতে হবে৷ • স্বামী বা স্ত্রী একজন অসুস্থ হলে দুজনেরই চিকিৎসা করাতে হবে৷ • স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও নারী বা পুরুষের সঙ্গে দৈহিক মিলন অনুচিত৷ • যৌনমিলনে স্বামী- স্ত্রীর বিশ্বস্ততা জরুরি৷ পরামর্শ: গনোরিয়ায় সংক্রমণ হওয়ার পর কোনও পুরুষ যদি তার স্ত্রী সঙ্গে সহবাস করে তবে স্ত্রীকেও চিকিৎসা করাতে হবে৷ গর্ভবতী মহিলাদের গনোরিয়া থাকলে প্রসবের আগেই চিকিৎসা করাতে হবে৷ অন্যথায় শিশুর চোখে সংক্রমণ হতে পারে এবং শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

গনোকক্কাস gonococcus নামক জীবানু দ্বারা এই রোগ হয়ে থাকে।যাহার সহিত সঙ্গম করা হয় তাহার এই রোগ থাকিলে এই রোগ দেখা দিতে পারে ।সঙ্গমের দুই হইতে দশদিনের মধ্যে লক্ষন প্রকাশ পায়।পুরুষ হতে স্ত্রী, আবার স্ত্রী হতে পুরুষ যে কউ আক্রান্ত হতে পারে।পুরুষাঙ্গের মাথায় প্রথম চুলকায় ও লাল হয়ে উঠে।একটু আঠালো বস্তু পুরুষাঙ্গের মাথায় দেখা দেয়।ক্রমে উহা ঘন পুজ Pus রূপে দেখা দেয়।পুরুষাঙ্গের মধ্যস্থিত ইউরেথ্ রা Urethra দুই একদিনের মধ্যে আক্রান্ত হতে পারে।প্রসাবের সময় জ্বালা যন্ত্রনা হয়।সাধারণত জ্বর জ্বর ভাব থাকে।কুচকির গ্ল্যান্ডগুলি সামান্য ব্যাথা যুক্ত হতে পারে।পুষাঙ্গের মধ্যস্থিত লিটারস Litter’s ও কাউপার Cowper গ্ল্যান্ড গুলি আক্রান্ত হয়ে থাকে। পশ্চাৎ ইউরেথ্ রা,যাহা পুরুষাঙ্গের মুল হতেমুত্র থলি পর্যন্ত বিস্তৃত ও আক্রান্ত হতে পারে।ইহা আক্রান্ত হলে বার বার প্রসাবে বেগ হয়এবং প্রসাবের শেষ দিকে একটু রক্তের ছিটা দেখা দিতে পারে।আর এই অবস্থায় মল দ্বারে সম্মুখে ব্যাথা হতে পারে।এই রোগ বিস্তার লাভ করে প্রোষ্টেট গ্ল্যান্ আক্রান্ত হতে পারে। ইহা আক্রান্ত হলে মল দ্বারের সম্মুখে ব্যাথা অনুভত হয় এবং মল ত্যাগ করার সময় ব্যাথা বৃদ্ধি পায়।সেমিনাল ভেসাইকল আক্রান্ত হলে ব্যাথাযুক্ত বীর্যপাত হবে ও উহাতে রক্ত মিশ্রিত থাকবে। এপিডিডিমিষ আক্রান্ত হতে পারে অথবা মুত্র থলি অধিক ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয়ে থাকে।তখন বার বার প্রসাব হয় এবং প্রসাবের শেষ দিকে ব্যাথা অনুভূত হয়।প্রোষ্টেট গ্ল্যান্ড ও সেমিনাল ভেসাইকল আক্রান্ত হলে দীর্ঘদিন ধরে রোগ চলতে থাকে।এই রোগ পুরাতন হলে কখনো কখনো অত্যাধিক পরিশ্রমের পরে সকাল বেলা ঘন সাদাটে একটু পূজ দেখা দিতে পারে। মল ত্যাগের রাস্তায় আঙ্গুল দ্বারা প্রোষ্টেটকে মর্দ্দন করিলে উহা হতে যে নিঃসরণ বা সিকরেশন বাহির হয় উহাকে অনুবীক্ষন যন্ত্রের সাহায্যে দেখিলে গনোরিয়া জীবানু দেখা যায়।উপরোক্ত যাবতীয় লক্ষন গুলো ঐ সকল রোগীর মধ্যে পাওয়া যায় যাহাদের চিকিৎসা অনেক দিন বিলম্ব ঘটে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ