১. দোয়া সবারই কবুল হয়। কারো ফল সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ পায়, কারো দেরিতে, কারো বা আখেরাতে। (বিষয়টা আপনি নিজেও বুঝতে পারছেন।) ২. হাদিসের ভাষ্য হল- কোনো এক লোকের আমলনামায় হঠাৎ অনেক নেকি জমা হয়ে যাবে। তখন সে বলবে, এগুলো কোত্থেকে এল? তাকে জানানো হবে, এটা তোমার অমুক দোয়ার ফসল ... তখন সে আফসোস করবে, আর বলবে, হায়! আমার কোনো দোয়ার ফলই যদি দুনিয়ায় প্রকাশ না পেত! সবই যদি আখেরাতের জন্য রেখে দেওয়া হত! ... ৩. আল্লাহ ইচ্ছে করলে কোনো ভেদাভেদ না রেখে দুনিয়ার সবাইকে একই সিস্টেমের করে দিতে পারেন। কিন্তু পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ আমাদের বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন সমস্যা দিয়েছেন। যাতে প্রকাশ হয়ে যায়, কে বিপদে পড়েও আল্লাহর ইবাদত করে, আর কে আল্লাহর নাফরমানি করে! ৪. আল্লাহ মানুষের দুর্বলতার ওপর খুবই দয়াবান। হয়তো দুনিয়ায় এই দয়াটা প্রকাশ হচ্ছে না, কিন্তু আখেরাতে ঠিকই প্রকাশ হবে। ৫. কেউ যদি আখেরাত ছেড়ে শুধু দুনিয়া চেয়ে বসে, দুনিয়ার দুই দিনের শান্তির জন্য আখেরাতকে জলাঞ্জলি দিতে চায়, সেটা তার ইচ্ছে। কিন্তু তার দোয়া কবুল করা বা না করা সম্পূর্ণ আল্লাহর ইচ্ছে। ইচ্ছে হলে করতে পারেন, ইচ্ছে হলে নাও করতে পারেন। ৬. আল্লাহর কারো ওপর দায় নেই, ঠেকা নেই। কারো শারীরিক অবস্থান আল্লাহ দেখেন না। আল্লাহ দেখতে চান, প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থায় থেকে তাঁর ইবাদত কতটুকু করেছে। সর্বাবস্থায় আল্লাহর ফয়সালার ওপর সন্তুষ্ট থাকাই মুমিনের পরিচয়।