সকল ভালো-মন্দ কাজের বিচার হাশরের ময়দানে হবে,,, তবে কেন অনেক কে কবরেই আজাব দেয়া হবে এবং অনেকের জন্য কবরে আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করা হবে ?
এটা তো বিচারের আগেই বিচার হয়ে যাচ্ছেনা?



শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হাশর হলো সকলের জন্য বিচারের মাঠ। এখানে সকলে উপস্থিথ থাকবেন। এবং সকলের হিসাব হবে।ভাল মন্ধ সকলের।।। কিন্তু কবর হলো একজনের। এখানে অস্থায়ী আজাব হবে । ।আবার আরাম হবে এটা সূধু মুসলিম দের জন্য। কাফের জন্য চিরস্থায়ী জাহান্নাম।।।। কেউ যদি দুনিয়াতে ভাল কাজ করে তাহলে তার কবর আরাম দায়ক হবে আর কেউ যদি বদকার হয় তাহলে আজাব হবে।।। আর এটাই হল তার কর্ম ফল। নেককার হলে আল্লাহ ভাল পতিদান দেবে।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর তালাশ করতে গিয়ে  কিয়ামত তথা হাশর, বিচার দিনের যে  সুন্দর  চমৎকার  ঘটনা পেয়েছি তা হুবহু তুলে ধরা হল। মনোযোগ দিয়ে পড়লে চোখে পানি আসবে। 

৬৯ - আবূল ইয়ামান (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, সাহাবীগণ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমরা কি কিয়ামতের দিন আমাদের রবকে দেখতে পাব? তিনি বললেনঃ মেঘমুক্ত পূর্ণিমার রাতের চাঁদকে দেখার ব্যাপারে তোমরা কি সন্দেহ পোষণ কর? তাঁরা বললেন, না ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তিনি বললেন, মেঘমুক্ত আকাশে সূর্য দেকার ব্যাপারে কি তোমাদের কোন সন্দেহ আছে? সবাই বললেন, না। তখন তিনি বললেনঃ নিঃসন্দেহে তোমারও আল্লাহ্ তা’আলা বলবেন, যে যার উপাসনা করত সে যেন তার অনুসরণ করে। তাই তাদের কেউ সূর্যের অনুসরণ করবে, কেউ চন্দ্রের অনুসরণ করবে, কেউ তাগুতের অনুসরণ করবে। আর অবশিষ্ট থাকবে শুধুমাত্র এ উম্মাহ, তবে তাদের সাথে মুনাফিকরাও থাকবে। তাঁদের মাঝে এ সময় আল্লাহ্ তা’আলা শুভাগমন করবেন এবং বলবেনঃ “আমি তোমাদের রব। ” তখন তারা বলবে, যতক্ষণ পযন্ত আমাদের রবের শুভাগমন না হবে, ততক্ষণ আমরা এখানেই থাকব। আর তার যখন শুভাগমন হবে তখন আমরা অবশ্যই তাঁকে চিনতে পারব। তখন তাদের মাঝে মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তা’আলা শাগমন করবেন এবং বলবেন, “আমি তোমাদের রব। ” তারা বলবে হ্যাঁ, আপনিই আমাদের রব। আল্লাহ তা’আলা তাদের ডাকবেন। আর জাহান্নামের উপর একটি সেতুপথ (পুলসিরাত) স্থাপন করা হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গণের মধ্যে আমিই সবার আগে আমার উম্মত নিয়ে এ পথ অতিক্রম করব। সেদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গণ ব্যতীত আর কেউ কথা বলবে না। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গণের কথা হবেঃ (আল্লাহুম্মা সাল্লিম সাল্লিম) ইয়া আল্লাহ্ রক্ষা করুন, রক্ষা করুন। আর জাহান্নামে বাঁকা লোহার বহু শলাকা থাকবে; সেগুলো হবে সাদান কাঁটার মতো। তোমরা কি স’দান কাঁটা দেখেছ? তারা বলবে, হ্যাঁ দেখেছি। তিনি বলবেন, সেগুলো দেখতে সাদান কাঁটার মতোই। তবে সেগুলো কত বড় হবে তা একমাত্র আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ জনানে না। সে কাঁটা লোকের আমল অনুযায়ী তাদের তড়িৎ গতিতে ধরবে। তাদের কিছু রোক ধ্বংস হবে আমলের কারণে। আর কারোর পায়ে যখম হবে, কিছু াৈকট কাঁটায় আক্রান্ত হবে, তারপর নাজাত পেয়ে যাবে। জাহান্নামীদের থেকে যাদের প্রতি আল্লাহ্ পাক রহমত করতে ইচ্ছা করেবন, তাদের ব্যাপারে ফিরিশতাগণকে নির্দেশ দেবেন যে যারার আল্লাহর ইবাদত করত, তাদের যেন জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হয়। ফিরিশতাগণ তাদের বের করে আনবেন এবং সিজদার চিহ্ন দেখে তাঁরা তাদের চিনতে পারবেন। কেননা, আল্লাহ্ তা’আলা জাহান্নামের জন্য সিজদার চিহ্নগুলো মিটিয়ে দেওয়া হারাম করে দিয়েছেন। ফলে তাদের জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে। কাজেই সিজদার চিহ্ন ছাড়া আগুন বনী আদমের সব কিছুই গ্রাস করে ফেলবে। অবশেষে, তাদেরকে অঙ্গারে পরিণত অবস্থায় জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। তাদের উপর ‘আবে-হায়াত’ ঢেলে দেওয়া হবে ফলে তারা স্রোতে বাহিত ফেনার উপর গজিয়ে উঠা উদ্ভিদের মত সঞ্জীবিত হয়ে উঠবে। এরপর আল্লাহ্ তা’আলা বান্দাদের বিচার কাজ সমাপ্ত করবেন। কিন্তু একজন লোক জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে থেকে যাবে। তার মুখমন্ডল তখনও জাহান্নামের দিকে ফেরানো থাকবে। জাহান্নামবাসীদের মধ্যে জান্নাতে প্রবেশকারী সেই শেষ ব্যাক্তি। সে তখন নিবেদন করবে, হে আমার রব! জাহান্নাম থেকে আমার চেহারা ফিরিয়ে দিন। এর দূষিত হাওয়া আমাকে বিষিয়ে তুলছে, এর লেলিহান শিখা আমাকে যন্ত্রনা দিচ্ছে। তখন আল্লাহ্ তা’আলা বলবেন, তোমার নিবেদন গ্রহণ করা হলে, তুমি এছাড়া আর কিছু চাইবেন না তো? সে বলবে, না আপনার ইজ্জতের শপথ! সে তার ইচ্ছামত আল্লাহ তা’আলাকে অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি দিবে। কাজেই আল্লাহ্ তা’আলা তার চেহারাকে জাহান্নামের দিক ফিরিয়ে দিবেন। এরপর সে যখন জান্নাতের দিকে মুখ ফিরাবে, তখন সে জান্নাতের অপরূপ সৗন্দর্য দেখতে পাবে। যতক্ষণ আল্লাহর ইচ্ছা সে চুপ করে থাকবে। তারপর সে বলবে, হে আমার রব! আপনি জান্নাতের দরজার কাছে পৌছে দিন। তখন আল্লাহ্ তা’আলা তাকে বলবেন, তুমি পূর্বে যা চেয়েছিলে, তা ছাড়া আর কিছু চাইবে না বলে তুমি কি অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি দাওনি? তখন সে বলবে, হে আমার রব! তোমার সৃষ্টির সবচাইতে হতভাগ্য আমি হতে চাই না। আল্লাহ তাতক্ষণিক বলবেন, তোমার এটি পুরন করা হলে তুমি এ ছাড়া কিছু চাইবে না তো? সে বলবে না, আপনার ইজ্জতের কসম! এছাড়া আমি আর কিছুই চাইব না। এ ব্যাপারে সে তার ইচ্ছানুযাযী অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতি দেবে। সে যখন জান্নাতের দরযায় পৌঁছবে তখন জান্নাতের অনাবিল সৌন্দর্য ও তার আভ্যন্তরীণ সুখ শান্তি ও আনন্দঘন পরিবেশ দেখতে পাবে। যতক্ষণ আল্লাহ্ তা’আলার ইচ্ছা করবেন, সে চুপ করে থাকবে। এরপর সে বলবে, হে আমার রব! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দাও! তখন পরাক্রমলালী মহান আল্লাহ্ বলবেনঃ হে আদম সন্তান, কি আশ্চয! তুমি কত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী! তুমি কি আমার সঙ্গে অীঙ্গকার করনি এবং প্রতিশ্রুতি দাওনি যে, তোমাকে যা দেওয়া হয়েছে, তা ছাড়া আর কিছু চাইবে না? তখন সে বলবে, হে আমার রব! আপনার সৃষ্টির মধ্যে আমাকে সবচাইতে হতভাগ্য করবেন না। এতে আল্লাহ্ হেসে দেবেন। এরপর তাকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দিবেন এবং বলবেন, চাও। সে তখন চাইবে, এমন কি তার চাওয়ার আকাংখা ফুরিয়ে যাবে। তখন পরাক্রমশালী মহান আল্লাহ্ বলবেনঃ এটা চাও, ওটা চাও। এভাবে তার রব তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে থাকবেন। অবশেষে :যখন তার আকাংখা শেষ হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ্ বলবেনঃ এ সবই তোমার, এ সাথে আরো সমপরিমাণ (তোমাকে দেওয়া হল)। আবূ সাঈদ (খুদরী (রাঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন যে, আল্লাহ্ তা’আলা বলবেনঃ এসবই তোমার, তার সাথে আরও দশগুণ (তোমাকে দেওয়া হল)। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুধু এ কথাটি স্মরণ রেখেছি যে, এ সবই তোমার এবং এর সাথে সমপরিমাণ। আবূ সাঈদ (রাঃ) বললেন, আমি 'তাঁকে বলতে শুনেছি যে, এসব তোমার এবং এর সাথে আরও দশগুণ।

( সহীহ বুখারি) 

আপনার প্রশ্ন: কেন অনেক কে কবরেই আজাব দেয়া হবে

 উত্তর : ইবনুূু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার মদিনা বা মক্কার কোন এক বাগানের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি এমন দু’ব্যাক্তির আওয়াজ পেলেন, যাদের কবরে আযাব হচ্ছিল। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এদের দু’জনকে আযাব দেওয়া হচ্ছে, অথচ কোন বড় গুনাহের জন্য এদের আযাব দেওয়া হচ্ছে না। তারপর তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, এদের একজন তার পেশাবের নাপাকি থেকে সতর্কতা অবলম্বন করত না। আর একজন চোগলখুরী করত। তারপর তিনি একটি খেজুরের ডাল আনালেন এবং তা ভেঙ্গে দু’খন্ড করে প্রত্যেকের কবরের উপর একখন্ড রাখলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! এরূপ কেন করলেন?’ তিনি বললেনঃ হয়ত তাদের আযাব কিছুটা লাঘব করা হবে, যতদিন পর্যন্ত এ দু’টি না শুকায়। 

প্রশ্ন: অনেকের জন্য কবরে আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করা হবে ?

উত্তর  : ইবনুূ আবূ উমার (রহঃ) মুহাম্মদ ইবনুূ মুনকাদির (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহ শুরাহবীল ইবনুূ সিমত (রহঃ) -এর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওরাহবীল তখন সীমান্ত পাহারায় ছিলেন। এতে তার ও তার সঙ্গীদের কষ্ট হচ্ছিল। সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহ বললেন, হে ইবনুূুল সিমত ! তোমাকে আমি কি এমন একটি হাদীস বলব যা আমি রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেচি, এক মাস সিয়াম পালন করা ও দাঁড়িয়ে সালাত (নামায/নামাজ)আদায় করা অপেক্ষাও আল্লাহর পথে একদিন সীমান্ত পাহারায় থাকা শ্রেষ্ঠ। রাবী কখনো বলেছেন, ‘‘উত্তম’’। এতে যে মৃত্যু বরণ করবে কবরের ফিতনা থেকে তাকে রক্ষা করা হবে, কিয়ামত পর্যন্ত তার আমল বৃদ্ধি করা হবে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান।

২) আহমাদ ইবনুূ মুহাম্মদ (রহঃ) ফাযালা ইবনুূ উবায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সাথে তার আমলের পরিসমাপ্তি হয়। কিন্তু যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে পাহারা দানরত অবস্থায় মারা যায় আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামত পর্যন্ত তার আমল বৃদ্ধি করতে থাকেন এবং তাকে কবরের ফিতনা থেকে নিরাপদে রাখবেন। (তিনি আরো বলেন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আমি বলতে শুনেছি যে, প্রকৃত মুজাহিদ হলো সেই, যে স্বীয় নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই বিষয়ে উকবা ইবনুূ আমিরও জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ফাযালা ইবনুূ উবায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহ বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।






ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ