আসসালামু আলাইকুম। আজ আমি আপনাদের একটা গল্প শোনাবো। কিছু ঘটনার মিলিত প্রকাশ এই গল্প।

ঘটনা ১ - ক্লাসে শিক্ষক পড়াচ্ছেন। শিউলি বলতো, "আতা গাছে তোতা পাখি, ডালিম গাছে মৌ।" শিউলির জবাব, "আপা, ভুল হছে, আসলে হবে- আমার আতা গাছেতে, তোতা পাখি বাসা বেঁধেছে............।"

ঘটনা ২- মাসুদের মা মাসুদকে খেতে ডাকছে, " খেতে এসো সোনা।" মাসুদ এসে বলল, "মা একটু ভালোভাবে ডাকতে পারো। যেমন করে জিত ডাকে, সোনারে সোনারে, কাছে আয় নারে। ছোট্ট একটা কিলিক করে সেলফি লে নারে...............।"

ঘটনা ৩- সকালে হাটতে বেরিয়েছেন আনিস সাহেব। তার সামনে দিয়ে হেটে স্কুলে যাচ্ছে পরী। আনিস সাহেব জিজ্ঞাসা করলেন, "তোমার নাম কি বাবু?" পরীর উত্তর, "আমি ডানাকাটা পরী...............।"

ঘটনা ৪- বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছে মহুয়া। আদর করে ছোট ভাগ্নের গালে একটা চুমো দিতেই সে গেয়ে ওঠে, "একখান চুম্মাতে কারেন্ট লাগাইলি............।"

বন্ধুরা, এই ঘটনাগুলো বাস্তবিক না হলেও ইদানিং আমাদের বাচ্চাগুলোর মধ্যে মিডিয়া জগতের অপপ্রভাব আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করি। আপনারা কি লক্ষ্য করেননি? এখনকার বাচ্চাদের একটা গান গাইতে বললেই তাদের আগে মাথায় আসে কোনো হিন্দি সিনেমার আইটেম গান বা ভারতীয় বাংলার আধুনিক গান, যা অশ্লীল এবং কুরুচির পরিচয় বহন করে। অবশ্য বাচ্চাদের কি দোষ!! যে শিশু ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত হয়ে সারাদিন টিভি-ইন্টারনেট নিয়ে বড় হয়, তাকে ভালো-মন্দের শিক্ষা কে দিবে? বাবা-মায়ের ফেসবুক-টুইটারের মতো যোগাযোগ মাধ্যমে দৃঢ় অবস্থান থাকলেও যে তাদের সন্তানের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, সে খবর রাখার সময় কয় জনের আছে! এই কারণেই তো তারা বাইরের জগতের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। আর পরিণতিতে সমাজে ঐশীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা কি পারিনা আমাদের ভবিষত প্রজন্মকে এই অপসঙ্গস্কৃতি নামক রোগ থেকে বাঁচাতে??

বিস্ময়-এ কি এমন কেউ নেই যাকে এই বিষয়টা ভাবায়?? আমাদের কি কিছুই করার নেই??        


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে