আপনি এগুলো পরিষ্কার করতে পারেন । অবাঞ্চিত লোম পরিষ্কার করার কয়েকটি পদ্ধতিঃ
মসুর ডালের প্যাক তৈরির প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহারঃ
আধা কাপ মসুরির ডাল বেটে গুঁড়ো করে নিন। এবার দুই টেবিল চামচ মসুরির ডাল গুঁড়ো, এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, এক চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো, দুই টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার পেস্টটি ম্যাসাজ করে অবাঞ্চিত লোমে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বেসন প্যাকের প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহারঃ
দুই টেবিল চামচ বেসন, এক টেবিল চামচ দুধের সর, দুই টেবিল চামচ চন্দন, এক টেবিল চামচ সরিষার তেল, এক টেবিল চামচ গোলাপ জল এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। যেসব স্থানে অবাঞ্চিত লোম রয়েছে, সেখানে এই প্যাকটি ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারবেন।
=== যুগান্তর ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
লেজার ট্রিটমেন্ট এর মাধ্যমে লোমকূপ গুলো বন্দ করে লোম কমানো যায়।তবে এ চিকিৎসা বাংলাদেশে ব্যায়বহুল।
লোম আল্লাহর নেয়ামত।এর হেফাজত করলে আল্লাহ এর প্রতিদান দিবেন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রশ্ন : যদি পদ্ধতিগত কারণে হয় অথবা এ রকম জন্মগত কারণেই যদি সমস্যা হয়, সেই চুল ফেলার জন্য কী কী পদ্ধতি রয়েছে? এটি ফেলে দেওয়া কতটা জরুরি এবং কেন?

উত্তর : আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই বিষয়টি বিব্রতকর। এ জন্য তারা করতে চায়। আমি তখন তাদের কিছু পরীক্ষা করতে দিই। পরীক্ষাগুলো করার পর হয়তো আমরা দেখতে পেলাম তার সিস্ট আছে। পুরুষ হরমোন হয়তো বেশি। সেই ক্ষেত্রে ওষুধ দিয়ে থাকি। ওষুধের মাধ্যমে তার হরমোনের মাত্রাটা কমে গেলে অবশ্যই তার চুলের বৃদ্ধিটা কমে যাবে। কিন্তু আগের চুলগুলো রয়ে যাবে। সেই ক্ষেত্রে আমরা লেজার ব্যবহার করে থাকি।  

প্রশ্ন : আপনি বলছিলেন পদ্ধতিগত কারণেও চুল গজাতে পারে। সেই ক্ষেত্রে যে কারণ ছিল তারও কী চিকিৎসা লাগবে?

উত্তর : আমি এই ক্ষেত্রে কোনোভাবেই সমঝোতা করতে রাজি না। কারণ যেহেতু চুল গজানোটা ভেতরের রোগের কারণে হচ্ছে, তাই ভেতর থেকে রোগটা যদি সরাতে না পারি তাহলে শুধু লেজার করে কমবে না। পুনরায় হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যাবে।

প্রশ্ন : এই অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে ঐতিহ্যগত (ট্রাডিশনাল) বিষয় চলে আসছে। পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসা লেজারও ব্যবহার হচ্ছে। দুটির মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর : ট্রাডিশনাল যেই বিষয়গুলো ছিল, বিশেষত জন্ম থেকে যেই সমস্যাটি হচ্ছে এর কোনো চিকিৎসা ছিল না, ওয়াক্স বা শেভ করা ছাড়া। আর আরেকটি যেটা করা হতো, ইপিলিশন করে তুলে ফেলা হতো। একটা একটা করে গোড়া থেকে চুল তুলে ফেলা হতো। যেটা ত্বকের ক্ষতির জন্য একটি বড় কারণ।

প্রশ্ন : কেন?

উত্তর : কারণ গোড়াটা তো রয়েই যাচ্ছে। ফলে আবার ওখান থেকে চুল গজাচ্ছে। আর এখন যেই লেজার দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে, তার লক্ষ্যই হচ্ছে গোড়া এবং হেয়ার ফলিকল। আমরা প্রথমে শেভ করে নিই। অনেক রোগী প্রশ্ন করে শেভই তো করে নিলেন তাহলে কীভাবে বুঝব?

তখন বলি, কারণ শেভ না করে যদি আমরা লেজার করি তবে চুলটা গায়ে পড়বে এবং পুড়ে যাবে। আর আমাদের লক্ষ্য হলো গোড়া এবং হেয়ার ফলিকল। লেজার করলে এটা একদম মরে যায়। এটিই হলো এর চিকিৎসা। এ ছাড়া আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে আমরা আরো কিছু জিনিস করতাম। তবে এটাতে পুনরায় চুল হতো। লেজারে স্থায়ীভাবে আমরা চুলের গোড়াটা নষ্ট করে দিই। এতে আস্তে আস্তে চুল বৃদ্ধি কমতে থাকে। তবে এর জন্য কয়েকটা সেশন প্রয়োজন হয়। চার থেকে ছয়টা সেশন লাগে।

প্রশ্ন : কতদিন পরপর লাগে?

উত্তর : একটি সেশনের পর আমরা দেখি যে বৃদ্ধিটা কেমন হলো। একজন হয়তো খুব ঘন মোটা চুল নিয়ে এলো, সেইটাই আমরা পরের সেশনে আশা করব অনেক পাতলা হয়ে যাচ্ছে, লম্বা হচ্ছে। এবং তারপরের সেশনে আরো পাতলা হয়ে যাচ্ছে, আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।

প্রশ্ন : এত সেশনে যে লেজার দিচ্ছেন এতে ত্বকের মানের এবং রঙের কোনো পরিবর্তন হয় কি না?

উত্তর : না ত্বকের রঙের কোনো পরিবর্তন হয় না। কারণ আমাদের দেশের ত্বকের ধরন টাইপ –থ্রি থেকে শুরু হয়। লেজারটা মূলত এশিয়ান ত্বকের ধরনের জন্য। এটাতে প্যারামিটার নির্দিষ্ট করা থাকে। আমরা পাশ্চাত্যের কোনো যন্ত্র ব্যবহার করি না যে বাদামি রং বা সোনালি রং দিতে পারব। যেটা করব অবশ্যই সেটা ত্বকবান্ধব।

প্রশ্ন : লেজার করার পরে কি তা পুনরায় হওয়ার আশঙ্কা থাকে?

উত্তর : যদি ভেতরের সমস্যাটা দূর করা যায়, তা আর পুনরায় হবে না। এই চিকিৎসায় তো চার-পাঁচ মাস লেগেই যায়। যদি ভেতরের সমস্যাটি দূর করতে পারি তবে আর হওয়ার আশঙ্কা নেই। এতে স্থায়ীভাবে অবাঞ্চিত লোম দূর করা যায়।

প্রশ্ন : লেজার চিকিৎসার নাম শুনলেই আমাদের সবার চিন্তা হয় এটা ব্যয়বহুল চিকিৎসা। কারণ আধুনিক যত চিকিৎসা আসে, সেটা ব্যয়বহুল হয়। এই স্থায়ীভাবে অবঞ্চিত লোম দূর করার খরচ কেমন?

উত্তর : আগে ত্বকের জন্য ওষুধ ছিল, মলম ছিল। এগুলো আমরা ব্যবহার করতাম। এখন লেজারটা বাড়তি ভালো বিষয়। যেটা আমরা আরো কিছু করতে পারব। যেমন, যেটা বলা হয় লিভাস স্পাইলাস। এর জন্য আলাদা লেজার আছে। কিউ সুইচ লেজার। আগে আমরা এই চিকিৎসা দিতে পারতাম না। দেখা যেত অনেক মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না। এগুলো এখন আমরা দূর করতে পারি। তাই লেজার আলাদা কিছু না। এটা চর্মরোগেরই একটি অগ্রবর্তী চিকিৎসা।

আমার পক্ষ থেকে বলব, এর মোটেও বেশি খরচ না। যদি থুতনির নিচের অংশ করে থাকি প্রতি সেশনে দুই হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করছি। লেজার করার খরচটা অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অনেক কম। তথ্যসূ্ত্র: Ntv.com

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ