স্ত্রীলোকের স্বপ্নদোষ হলে কি গোসল করতে হবে?

‘আবদুল্লাহ্ ইবন ইউসুফ (রহঃ) উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আবূ তালহা (রাঃ)-এর স্ত্রী উম্মে সুলায়ম (রাঃ) রাসূল (সাঃ) এর খিদমতে এসে বললেনঃ ইয়া রাসূল (সাঃ)! আল্লাহ্...

অযু ও অপবিত্রতার গোসল অন্যতম একটি এবাদত। সকল প্রকার এবাদতের ক্ষেত্রে মূলনীতি হচ্ছে তা আল্লাহর আদেশ অনুযায়ীই করতে হবে। মানুষ তার কারণ ও হিকমত সম্পর্কে জানুক আর নাই জানুক। আল্লাহ্...

স্বপ্নদোষ হলে গোসল করা ফরয। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোসল করা।

স্বপ্নদোষ হওয়ার পর গোসলে দেরি করতে নেই। এটা মাকরুহ। যে কোনো সময় যে কারো মৃত্যু  হতে পারে। আর নাপাক অবস্থায় কোন মুসলমান  মরতে চায়! তাই সর্বাবস্থায় পাক থাকাই কর্তব্য। স্বপ্নদোষ হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি গোসল করে নেওয়া উচিত। তাছাড়া সকালে গোসল না করে বিকেলে করলে দুপুরে জোহরের নামাজ পড়বেন কীভাবে!! তাই নামাজ পড়ার প্রয়োজনেই দুপুরের আগে গোসল করে নেওয়া জরুরি। 

স্বপ্নদোষ সাধারণত দুই কারণে হয়ে থাকে:  যৌন উত্তেজক কিছু দেখলে, পড়লে, ভাবলে কিংবা করলে। যখন উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায়, কিন্তু বীর্যপাতের কোনো ব্যবস্থা হয় না, তখন স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বীর্যপাত হয়।  বীর্যথলি পূর্ণ হয়ে গেলে। অনেকদিন ধরে বীর্যপাত না ঘটলে বীর্য বেড়ে বেড়ে একসময় থলি পূর্ণ হয়ে যায়। তখন আরো বীর্য উৎপাদন হলে এবং বীর্যপাতের কোনো ব্যবস্থা না হলে সেটা স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বীর্যপাত হয়। . যদি স্ত্রী সঙ্গম করেন কিংবা হস্তমৈথুন করেন,  তাহলে স্বপ্নদোষ না হওয়াটা স্বাভাবিক। সবসময় হস্তমৈথুন করলে সারা জীবনেও যদি স্বপ্নদোষ না হয়, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। তাই হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে, সেটা পরিত্যাগ করুন। যদি স্ত্রী সঙ্গম, হস্তমৈথুন বা অন্য কোনো উপায়েই বীর্যপাত না ঘটে থাকে এবং স্বপ্নদোষও না হয়, তাহলে বুঝতে হবে, আপনার বীর্য উৎপাদন  ক্ষমতা কমে গেছে। তাই স্বপ্নদোষ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। 

হ্যা আপনার রোযা সহি হবে। তবে ফজরের আগে অবস্যই গোসল করতে হবে।  তানাহলে আপনার ফজরের নামাজ কাযা হয়ে যাবে। তাই যথাসম্ভব অতি তারাতারি গোসল করাই ভালো।

মজি ও মনির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। উত্তেজনা বশত যে পাতলা পানি বের হয়,তাই মজি। মজি বের হলে গোসল ফরজ হয়না,তবে অজু ভেঙে যায় আর যে কাপড়ে লাগে তা ও ধুয়ে...

শরীয়তের পরিভাষায় প্রস্রাবের আগে পরে যে আঠালো বা তরল ঘোলাটে পদার্থ বের হয় তাকে "ওদী"বলে। আর কামুত্তেজনার সাথে সুখানুভতি ছাড়া যে পদার্থ বের হয়,যা বের হওয়ার পরও লিঙ্গ শিথিল হয়না...

লিঙ্গ দিয়ে বীর্যপাত হলেই আপনি নাপাক হয়ে যাবেন, তাই আপনাকে পাক-পবিত্র হতে হলে অবশ্যই গোসল করতে হবে!

দ্বিতীয় বার গোসলের প্রয়োজন নেই। তবে লিঙ্গ মাথা ধুয়ে নিতে হবে ও বীর্য যেখানে  লাগবে তা ধুয়ে নিতে হবে। এবং নামাজ পড়তে হলে নতুন করে ওজু করতে হবে।