ঘামের উপাদান/ঘাম কি?
ঘাম মূলত পানি ছাড়া কিছুই নয়।এই পানির উৎস রক্তরস। মানে বুঝলেন তো?রক্তের যে পানি থাকে সেই পানির পরিবর্তিত রূপ হলো ঘাম।তবে এতে নগন্য মাত্রায় খাদ্য লবণ(NaCl) থাকে। এর পাশাপাশি পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, আয়রন, নিকেল ও সীসা পাওয়া যায়। এই রাসায়নিক পদার্থ গুলো ঘামের সাথে লবন হিসেবে থাকে। এই জন্য ঘাম নোনতা স্বাদের হয়।
মানুষ ঘামে কেন?
মানুষের শরিরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা 36-38 ডিগ্রি সেলসিয়াস।পরিবেশীয় তাপমাত্রা কমবেশি হলেও আমাদের শরিরের নিজস্ব তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন হয়না।শরীরের স্বাভাবিক কাজ করার জন্য এই ৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস(৯৭-৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা ধ্রুব থাকে।
এই কারণে মানুষকে বলে উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী।যে কোন শারীরিক পরিশ্রমের সময়, অতিরিক্ত শক্তির জোগান দিতে হয়।এই বেশি শক্তি আসে, প্রশ্বাসের সাথে গ্রহণ করা অক্সিজেন এবং গ্লুকোজের বিক্রিয়ার ফলে।গ্লুকোজের ভাঙ্গার ফলে শুধু শক্তিই নয় তাপও উৎপন্ন হয় ফলে দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
এই অতিরিক্ত তাপ রক্তরস কে জলীয়বাষ্পতে পরিণত করে।এই জলীয়বাষ্প ঘর্ম গ্রন্থির থলিতে জমা হয় এবং ঘর্ম নালীর মাধ্যমে ত্বকের উপর বের হয়ে আসে।যদি বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকে তাহলে বাতাসের পানির সাথে ঘমের বাষ্প মিশে তরল ঘাম সৃষ্টি হয়।
শীতকালে ঘাম হয় না কেন?
কোন দেশের মানুষের ঘাম হয় না?
To learn please click this link