শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ডা. জাকির নায়েক: এ প্রশ্নটির উত্তর দেয়া যায় আরেকটি প্রশ্নের মাধ্যমে। মনে করুন আমার বন্ধু ‘জন’ সে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সে একটি বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, বাচ্চাটি কি ছেলে না মেয়ে? এ প্রশ্নটির উত্তর দেয়া কি সম্ভব? আসলে প্রকৃত ব্যাপার হল ‘জন’ একজন পুরুষ। সুতরাং তার পক্ষে যেখানে বাচ্চা জন্ম দেয়ারই প্রশ্ন উঠে না সেখানে সে বাচ্চাটি কি ছেলে না মেয়ে এ প্রশ্ন অবান্তর। ঠিক একইভাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার ক্ষেত্রে এ প্রশ্নটি অবাস্তব যে তাকে কে সৃষ্টি করেছে? কেননা আল্লাহ তা’আলার সংজ্ঞা তথা সত্যিকারের ঈশ্বরের সংজ্ঞা হল তিনি সৃষ্টি হননি। তিনি কারও সন্তান নন অর্থঃ াৎ তিনি জন্মাননি। সুতরাং যদি এ ধরনের কোন ঈশ্বরের ধারণা পাওয়া যায়, যিনি বানানো ঈশ্বর তথা যাকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তাহলে তিনি সত্যিকারের ঈশ্বর নন। অন্য কথায় যে ঈশ্বরের সৃষ্টা আছে সে সত্যিকারের ঈশ্বর নয়। কারণ, সত্যিকারের ঈশ্বর কেবল তিনিই যার শুরুও নেই শেষও নেই অর্থঃ াৎ যিনি সৃষ্টি হননি এবং যার ধ্বংস নেই। এ কারণেই আমরা কালেমা শাহাদতে বলি, (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু) আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই। তাহলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার পরিচয় হল তিনি সৃষ্টি হননি বরং তিনি একক। তিনিই একমাত্র সত্ত্বা যাকে সৃষ্টি করা হয়নি। অন্য সব কিছু প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাঁর সৃষ্ট। সুতরাং আল্লাহ তায়ালা সৃষ্ট নন বরং সবকিছু তাঁরই সৃষ্টি। সূত্র: ডা. জাকির নায়েক উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পিস পাবলিকেশান, ঢাকা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আল্লাহ তায়ালা নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়েছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ