আমাদের দেহে প্রতিনিয়ত দিনরাত চব্বিশঘন্টা বীর্য তৈরি হচ্ছে আর তা সাময়িকভাবে সেমিনাল ভেসিক্যালে জমা থাকছে। ধারণক্ষমতা পূর্ণহবার পরে এর বাড়তি অংশ যৌন সঙ্গম বা মাস্টারবেশন প্রক্রিয়া ওস্বপ্নদোষের মাধ্যমে তা বেরিয়ে যায়। একটা কথা সবারই মনে রাখা দরকার যে,দেহের মাঝে বিরতিহীনভাবেবীর্য সংশ্লেষণ ঘটছে স্খলনের উদ্দেশ্যে, জমা বা সঞ্চিত থাকার জন্য নয়।বীর্য নির্গমন যে প্রক্রিয়াই ঘটুক না কেন, তা মানব দেহের উৎপাদন কর্মকান্ডকে সচল, সবল আর গতিশীল রাখে।কাজেই স্বাভাবিক সেক্স সঙ্গম বা নিদ্রার মধ্যবর্তী স্বপ্নদোষ বা যে কোনোভাবেই হোক না কেন, বীর্যস্খলন বা বীর্যপাত ক্ষতিকারক নয় বরঞ্চ স্বাস্থ্যসম্মত।
বয়োসন্ধিক্ষণের পরে শরীরে আর সব উপাদানের মতোই নিয়মিত বীর্যরস তৈরি হয়। স্বাভাবিকভাবেই যৌনানুভূতি প্রবল হতে শুরু করে। কিন্তু সামাজিক আর ধর্মীয় অনুশাসন তো ছেলেমেয়েদের অবাধ যৌনমিলন অনুমোদন করে না। তাহলে কোথায় যাবে বীর্যথলি বা অণ্ডকোষে জমা হওয়া বীর্যকণাগুলো? নিশ্চয় সেগুলো এমনি এমনি শরীর থেকে লোপাট হয়ে যাবে না। অনবরত জমা হতে থাকলে অণ্ডকোষের ধারণ ক্ষমাতাও ফুরিয়ে যাবে একসময়। ফলে তখন আরো তীব্র হবে যৌনানুভূতি। তখন হয় তাকে হস্তমৈথুন করে বের করতে হবে, নয়তো রাত্রে ঘুমের ঘোরে স্বপ্নদোষের মাধ্যম্যে বেরিয়ে যাবে।