ঘুমের ব্যাপারে অনেকেরই অনেক রকম অভ্যাস থাকে। কেউ কেউ একেবারে অন্ধকারের মাঝে ঘুমান, কেউ বা আবার একটু আলো ছাড়া ঘুমাতে পারেন না। তেমনিভাবে কেউ একেবারে শব্দহীন পরিবেশে ঘুমান, কেউ বা আবার একটু শব্দ ছাড়া ঘুমাতে পারেন না। প্রায়ই দেখা যায়, ফ্যানের হালকা শোঁ শোঁ শব্দ অথবা এয়ার কন্ডিশনারের মৃদু গুঞ্জন ছাড়া ঘুমাতে পারেন না অনেকে। এটা কেন হয়?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

যে ধরণের শব্দের মাঝে ঘুম ভালো হয়, সে শব্দের রয়েছে একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আপনার পাশে বসে দুজন মানুষ গল্প করতে থাকেলে আপনার ঘুম হবে না। কারণ তারা কিছুক্ষণ নিচু গলায় কথা বলবে, কিছুক্ষণ গলা উচু করে কথা বলবে, কিছুক্ষণ হাসাহাসি করবে। এর মাঝে স্বরের ওঠানামার কারণে আপনার ঘুমের বারোটা বেজে যাবে। কিন্তু একটা ফ্যানের শব্দে কিন্তু আপনার ঘুম খারাপ হবার বদলে ভালোই হবে! ফ্যানের শব্দটা একটানা এবং একঘেয়ে, এর তালের কোনো ওঠানামা হয় না। এই শব্দটা এমন, যে তা অন্য সব শব্দকে ঢাকা দিয়ে দেয়। যেমন শোবার ঘরের বাইরে যদি কেউ শব্দ করে, তবে ফ্যানের শব্দের কারণে সেটা আপনার কানে পৌঁছাবে না। ফলে আপনার ঘুমেরও কোনো অসুবিধা হবে না। ঘুমের সময়েও আমাদের কান কিন্তু খোলাই থাকে। ফলে কানে এলোমেলো শব্দ প্রবেশ করলেই আমরা জেগে যাই। আপনি যদি ফ্যান ছেড়ে ঘুমিয়ে যান, আর হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তবে তার দুটো কারণ হতে পারে। এক হলো, হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গিয়ে ফ্যান বন্ধ হয়ে গেছে, তাই ওই একটানা শব্দের অনুপস্থিতিতে কেটে গেছে আপনার তন্দ্রা। আরেকটি কারণ হতে পারে, ফ্যানের শব্দের চাইতেও জোরে কোনো শব্দ হয়েছে, যাতে আপনার ঘুম ভেঙ্গে গেছে। কি ধরণের শব্দ চালু থাকলে আপনার ঘুম ভালো হবে, তার মাঝেও কিন্তু রয়েছে ভিন্নতা। ফ্যান খুব জোরে ছেড়ে রাখলে কারও ঘুম ভালো হয়, আবার ফ্যান ধীরে ছেড়ে রাখলে কারো চোখ আপনা থেকেই মুদে আসে। বাচ্চাদেরকে ঘুমপাড়ানি গান শোনালে তারা ঘুমিয়ে যায় কেন? কারণ সেই গানের তালটা একটানা এবং একঘেয়ে। অনেকের ক্ষেত্রে ফ্যান ছাড়া থাকলে ঘুম ভালো হয় বটে, কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে হয় উল্টোটা। ফ্যানের শব্দের প্রতি তাদের মনোযোগ চলে যায় ফলে ঘুম আসে না। অনেকের কানে আবার ঘড়ির কাঁটার টিকটক শব্দটাও খুব তীব্র মনে হয়। তাদের জন্য কিন্তু একেবারে নীরব পরিবেশে ঘুমানোটাই ভালো।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ