শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পেটে গ্যাস হয়নি বা হয় না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিশেষ করে মেয়েরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। কিন্তু পুরুষ-নারী যারই হোক না কেন, এটাকে অবহেলা করলে বা চিকিৎসা না করলে তা শরীরের জন্য খারাপ। কারণ গ্যাস এসিডিটি থেকে অনেক রোগের উৎপত্তি পারে। আমাদের সর্বপ্রথম এই গ্যাস এসিডিটির উৎস বা কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। যারা দীর্ঘদিন ঘাড়ে ব্যথা, আমাশয়, পিত্তথলিতে পাথর জমলে, লিভারের সমস্যা থাকলে, মানসিক সমস্যা থাকলে এই সমস্যা হতে পারে। অনেকে সঠিক সময়ে নাশতা করেনা বা একেক দিন একেক সময়ে নাশতা করেন, তাদের পেটে গ্যাস বা এসিডিটি হতে পারে।

বিশেষ করে নারীরা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। কারণ তাদের খাওয়া দাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। অনেক নারীরাই সাংসারিক কাজে ব্যস্ত হয়ে সারা দিন না খেয়েও থাকেন। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে পিত্তথলিতে পাথর জমতে পারে। যারা শাকসবজির চেয়ে গরম মসলাযুক্ত খাবার বেশি খান, তাদেরও পেটে গ্যাস বা এসিডিটি হয়। যাদের পাকস্থলীতে আলসার আছে তাদেরও গ্যাস বা এসিডিটি হয়। গ্যাস বা এসিডিটি হলে ঘন ঘন ঢেকুর ওঠে। এতে কারও ঢেকুর দুর্গন্ধ হয়।

চিকিৎসকেরা রসিকতা করে বলেন তিনটি ‘এফ’ হলো গ্যাস এসিডিটির শিকার।

১। ফিমেল

২। ফার্টাইল বা সন্তান ধারনে সক্ষম

৩। ফরটি বা চল্লিশ বছর বয়সে

এরা বেশি গ্যাস এসিডিটিতে ভোগে। এ জন্য অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা করানো জরুরি। বলা হয়ে থাকে যে, দৈনিক নির্দিষ্ট সময়ে নাশতা ও আহার করা, গরম মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে বেশি করে শাকসবজি ও মাছ খাওয়া, ভাজাপোড়া বর্জন করা, ফাস্টফুড না খাওয়া, দই, ঘোল, লেবুর শরবত খাওয়া উচিত। কোমল পানীয় বা সব ধরনের কোলা পান করা থেকে বিরত থাকা, মসুর ও খেসারি ডাল না খাওয়া, যেসব শাক খেলে হজম হয়না সেই সব শাক না খাওয়শা যেমন- পুইশাক খেলে অনেকের পেট গরম হয়ে যায়। অনেকের মিষ্টিকুমড়া খেলে হজমে গোলমাল হয়। পেঁপে, লাউ, চালকুমড়া পেটের জন্য ভাল। বাজারে নানা প্রকার গ্যাসের ওষুধ পাওয়া যায়, এসব না খায়ে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে গ্যাস ভা এসিডিটির ওষুধ খান।

তথ্যঃ হেলথ ম্যাগাজিন ডেস্ক

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ