শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

নিম্নলিখিত অনুসন্ধানগুলির মাধ্যমে কিডনির জটিল সমস্যা নির্ণয় করা যায়: চিকিৎসক শরীরের বিভিন্ন অংশের ফোলাভাব বা অন্যান্য উপসর্গগুলি পরীক্ষা করবেন। রক্ত এবং মূত্র পরীক্ষা করে ইউরিয়া, পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের মাত্রার পরিমাপ করা হয়। ক্রিয়েটিনের মাত্রা পরিমাপ করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি কিডনির জটিল সমস্যার কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে আপনার চিকিৎসক আপনাকে গ্লোমেরুলার ফিল্ট্রেশন রেট (জিএফআর) পরীক্ষা করতে দিতে পারেন। এর মাধ্যমে আমরা রক্ত যে হারে কিডনির দ্বারা পরিশ্রুত হচ্ছে সেটা জানতে পারি, যা কিডনির জটিল অসুখের ক্ষেত্রে খুবই কম হয়ে যায়। অন্যান্য পরীক্ষা যেমন কিডনি আল্ট্রাসাউন্ড, এম আর আই, সি টি স্ক্যান এবং পেটের এক্স রে এর মাধ্যমেও এই রোগ নির্ণয় করা যেতে পারে। কিডনির জটিল অসুখের চিকিৎসা: এই রোগের চিকিৎসার জন্য মূলত এই রোগ হবার কারণগুলোকে নির্মূল করা এবং কিডনির স্বাস্থ্য বজায় রাখার দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসক খাবারে এমন কিছু পরিবর্তন আনতে উপদেশ দেবেন যেগুলি খেলে শরীরে তরল, লবণ এবং প্রোটিনের পরিমাণ কমে। ডিউরেটিক্স বা মূত্রবর্ধক ওষুধ শরীরে তরল জমতে বাধা দেয়। ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট রক্তে পটাসিয়ামের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডাইলিসিস হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি যন্ত্রের সাহায্যে রক্ত পরিশ্রুত করা হয়। রোগীর অবস্থার উপর নির্ভর করে, অনেক সময় সপ্তাহে বহুবার ডাইলিসিসের প্রয়োজন হতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ