শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আমাদের ত্বক বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে এবং আমরা সাধারণভাবে কয়েকটি প্রকারের কথাই জেনে থাকি আর তা হল সাধারণ ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক ও শুষ্ক ত্বক। প্রতিটি আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের ত্বকের পরিচর্যা ভিন্ন ভিন্নভাবে নিতে হয়। পরিচর্যার উপকরণও হয়ে থাকে ভিন্ন ভিন্ন। শুষ্ক ত্বক খুব সহজেই এর আর্র্ততা হারিয়ে ফেলে। ফলে এটি অনেকটা খসখসে আর রুক্ষ্ম হয়ে পড়ে। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যার মূল বিষয়ই হল এর আর্র্ তা ধরে রাখা। যা যা করবেন : – ত্বক পরিস্কারের পাশাপাশি মশ্চারায়জার ব্যবহার করুন। এটি মুখের টানটান ভাব কমায়।শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় আপনি চাইলে নিজেই একটি প্যাক তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন ডিমের কুসুম, দুধের সর, মসুরের ডাল বাটা, সামান্য মধু। এগুলোর মিশ্রণে তৈরি প্যাকটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বকের আর্র্িতা ফিরে আসবে। – ঘরে তৈরি একটি ক্লিনজিং ব্যবহার করতে পারেন।এর জন্য প্রয়োজন অলিভ অয়েল, ডিমের কুসুম এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। এগুলো মিশিয়ে মুখ ম্যাসেজ করতে পারেন। এর ফলে আপনার ত্বকটি পরিস্কার হবে পাশাপাশি শুষ্ক ভাবটি অনেকটাই দূর করবে।এছাড়া অলিভ অয়েল, ডিমের কুসুম, মধু ও গোলাপজল মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। – টোনিং করার সময়ে কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে। লোমকূপের মধ্যে জমে থাকা ধুলোময়লা পরিষ্কার করতে টোনার সাহায্য করে। গ্লাইকোনিক বা আলফা হাইড্রোফ্রিল এসিডসমৃদ্ধ টোনার লোমকূপ বড় হয়ে যাওয়াকে রোধ করে। তবে সব সময় অ্যালকোহলসমৃদ্ধ টোনার ব্যবহার করবেন না বা টোনার কখনও মুখ না ভিজিয়ে লাগাবেন না। টোনিং করার পরপর ঘরে তৈরি বিভিন্ন ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন যেন হারিয়ে যাওয়া আর্র্টতা পুনরায় ফিরে আসে। আপনার ত্বকটি অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হল খাদ্যাভ্যাস। সঠিক খাদ্যাভ্যাস না হলে ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায় এবং ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ্ম ও অমসৃন হয়ে পড়ে। এমন কিছু খাবার প্রতিদিন গ্রহণ করুন যা আপনার শরীরকে সতেজ আর প্রাণবন্ত রাখে। যেমন বিভিন্ন প্রকার শাবসবজি, ফলমূল, মিষ্টি জাতীয় খাবার, ভিটামিন সি যুক্ত খাবার ইত্যাদি। এছাড়া প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে একেবারেই ভুলে যাবেন না। ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ