শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পৃথিবীর ৪ ভাগের ৩ ভাগই হচ্ছে পানি। এই পানি সাগর মহাসাগর, নদ-নদী, পুকুর ইত্যাদিতে বিরাজ করছে।

কিন্তু মানব সভ্যতায় সবচেয়ে কাজে এসেছে নদী তথা নদীর পানি। নদীর পানি একাধারে অনেকটা অফুরন্তের মত অন্যদিকে প্রবাহমান থাকায় ব্যবহারযোগ্য থাকে। জীবানূ দ্বারা আক্রান্ত হয় খুবই কম।

এছাড়া নদীই ছিল প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে মধ্যযুগ পর্যন্ত এমনকি আধুনিক যুগের অনেকটা সময় ধরে প্রধান চলাচল মাধ্যম। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে। সেই সমস্ত এলাকায় মানব সভ্যতা গড়ে উঠেছিল এবং উন্নয়ন করেছিল যেখানে নদী ছিল। ন্দীর তট সহজে ব্যবহারযোগ্য ও পাড়ে উর্ভর বিস্তির্ণ ভূমি ছিল। নদী ছিল ব্যবসা বানিজ্যের প্রধান মাধ্যম। বর্তমানেও নদীর গুরুত্বের সমতুল্য আর কিছু পাওয়া যায়না। কিন্তু মানুষের অপরিকল্পিত কার্যক্রম ও অতি ব্যবহার নদী আজ হুমকির মুখে। আমাদের দেশ সহ বিভিন্ন দেশ স্থানে বহু নদী ভরাট হয়ে হারিয়ে গেছে। মানুষ নদীতে বাধ দিয়ে তার প্রবাহ আটকে নদী ভরাটে সাহায্য করছে। কিন্তু এর ফলে আমরাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাই আগামীদিনে উন্নত জীবন যাপন ও উন্নয়নের জন্য আমাদের নদী সঙ্গরক্ষন করা একান্ত জরুরী।

তবে  নদী সংরক্ষনের জন্য সাময়িক কোন ব্যবস্থা আসলে সুফল দেয়না। একটা করতে যেয়ে আরেকদিকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তাই দরকার নদীর টেকসই সংরক্ষন।

নদী সংরক্ষনের জন্য তাই আধুনিক প্রযুক্তি ও সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা দরকার। যেমন নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে স্থায়ীভাবে। নৌকা লঞ্চ ইত্যাদিতে যাত্রার সময় নদীতে কাগজ প্লাস্টিকসহ কোন ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবেনা। যেসকল স্থানে নদী ভাঙ্গন দেখা যায় সে স্থানে পাড় টাইস বসিয়ে পাকা করতে হবে এমনকি নদী বাকের স্থানে জল যাতে সরাসরি ঘুরে পাড়ে প্রবল ধাক্কা না দেয় সেজন্য পাড়ের কাছে টাইলস বা বালির বস্তা দিয়া রেজিস্ট্যান্ট করে দিতে হবে।

নদীতে যাহাতে কচুরিপানা বিস্তার লাভ না করে সেদিকে ব্যবস্থা ও নজরদারী রাখতে হবে। নদী কমিশন গঠন করে নিয়মিত নদীর গভীরতা, ভরাট ইউট্রিফিকেশন  ইত্যাদি পরীক্ষা করে ড্রেজিং করতে হবে। নদীর যে অংশ অনেক বেশী ব্যবহার হয় যেমন ট্রলার, লঞ্চ, জাহাজ ঘাট সেখানে পাকা বাধসহ উন্নত পল্টন ব্যবস্থা করতে হবে।

সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় নদী কমিশন কতৃক মাসে একবার নদী পাড়ের মানুষদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পেইন বা লিফটলেট বা হ্যান্ডবিল বা বিশেষ পয়েন্টে পোষ্টার টানিয়ে প্রচার করতে হবে।

এভাবে নিয়মিত নদী সমীক্ষা উন্নায়ন ইত্যাদি কর্মকান্ডের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন করলেই তবে নদী সংরক্ষন সম্ভব। এর এসমস্ত কাজের অধিকাংশ নিজের সচেতন দায়িত্ব দ্বারা পালন করা যেতে পারে। নদীর ব্যবহার, পরিস্কার রাখা। জনসচেতনতা, নদীর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে আমরা সকলেই ভূমিকা রাখতে পারি।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ