আমি ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারী ভোটার হয়েছি।অনলাইন কপি তুলেছি।ওখানে আমার বাবার নাম আমি সঠিকভাবে দেওয়ার পরও উনাদের টাইপিং মিস্টেক এর কারণে বানান ভূল আসছে। এখন আমি কিভাবে এটা ঠিক করতে পারি সহজ পদ্ধতিতে? তাছাড়া ২০২০ সালে ভোটার হয়েছি যেহেতু আমার স্মার্ট কার্ড আসতে কয় মাস বা কয় বছর সময় লাগবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

সাধারণত
আইড কার্ড সংশোধনের সময় দেওয়া হয় একটা নিদিষ্ট সময়। 
সেই সময় আপনি সংশোধন করতে পারবেন। 
আর একটি বিষয় হল , আপনি জেলা নির্বাচন কাযালয়ে গিয়ে তথ্য নিতে পারেন। 
অথবা ঢাকায় থাকলে , নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যেয়ে দেখতে পারেন । 
অথবা তাদের সাথে যোগাযোগ করে তথ্য জেনে নিতে পারবেন। 
তবে 
আমার এমন একটা সমস্যা হয়েছিল যেটা আমি জেলা সার্ভার অফিসে গিয়ে সংশোধন করেছি। 

 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Ovictg99

Call

প্রথমে আপনার স্থানীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে যাবেন। ওখানে গিয়ে নাম সংশোধন এর একটি ফর্ম আছে ওইটা সংগ্রহ করবেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট থেকেও সংশোধন ফর্মটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ফর্ম টি যথাযথভাবে পূরণ করে নির্ধারিত ব্যাংকে সংশোধনের ফি বাবদ ২৫৩ টাকা জমা করবেন। জমা রশিদ টি সুরক্ষিত রাখবেন কারণ আবেদন ফর্ম এর সাথে এটিও জমা দিতে হবে। পিতার নাম সংশোধনের জন্য নিচে উল্লেখিত ডকুমেন্টস আপনাকে জমা দিতে হবে ১/ আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর ফটোকপি (সাথে আরেকটি ফটোকপি সত্যায়িত করে রাখবেন যদি চায় তাহলে দেবেন) ২/ আপনার জন্মনিবন্ধন এর ফটোকপি ৩/ আপনার বাবা-মা,ভাই-বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ৪/ স্থানীয় চেয়ারম্যান /কমিশনার কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র বা ওয়ারিশন সার্টিফিকেট (যদি সম্ভব হয়) এসকল ডকুমেন্টস সাথে জমাকৃত টাকার রশিদ, আবেদন ফর্ম ও আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে। অফিস থেকে আপনাকে ফর্ম এর একটি অংশ দেবে যা আপনি সংরক্ষণ করে রাখবেন। সংশোধন হয়ে গেলে আপনার মুঠোফোনে ম্যাসেজের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেয়া হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Waruf

Call

অনলাইনে নিজে সংশোধন করা যায়। যদিও অফিসে আপনাকে যেতেই হবে। তবে এটি সহজ, অনেকটা ঝামেলা মুক্ত।

প্রথমে আপনার এসএসসি বা এইচ এসসি সার্টিফিকেট যেটায় সকল বানান ইনফো ঠিক আছে। সেটি স্কান করে নিন। কম্পিউটার দোকান থেকে ১০-২০ টাকায় করে নিতে পারবেন।

এবার নির্বাচন কমিশন ওয়েবাসাইটে যান, যে সাইট থেকে অনলাইন কপি নিয়েছেন। আগে রেজিস্টার করা আইডি পাস ব্যবহার করে লগিন করুন।

সংশোধন মেনু থেকে কি সংশোধন করবেন তা সিলেক্ট করে এডিট করুন। সঠিক বানানে লিখে পুরন করে মাঝের দিকে প্রমান তথ্য চাইবে, সেখানে ব্রাউজ ক্লিক করে সার্টিফিকেট স্কান কপি আপলোড দিন। সাবমিট করুন। 

ওরা একটি আইডি নাম্বার বা টোকেন দেবে, লিখে নিন।এবার টাকা পেয়েমেন্ট করতে হবে, ওখানে ব্যাংক অপশন থাকলেও রকেট থেকে পে করা যায়। নিয়মটি আরেকটি অফিসিয়াল সাইটে পাবেন। পে করে দিলেই প্রসেস শুরু হবে, ওরা একটি ফর্ম দিবে, সেটি ডাউনলোড করুন। প্রিন্ট করুন। তারপর অপেক্ষা করুন। ২০-২৫ দিনের মধ্যে ফোনে সাক্ষাত কারের জন্য মেসেজ আসবে। তখন প্রিন্ট করা ফরম আর সার্টিফিকেট নিয়া অফিসে যেতে হবে। একটা বিষয় ভুলে গেছি তা হচ্ছে নাম ঠিক করার ফরম সাবমিট দিলে আপনি কোন অফিস থেকে কার্ড নিতে চান তা সিলেক্ট করে দিতে হবে। মোবাইলে মেসেজ আসলে সেই অফিসে যেতে হবে। 

এটি সহজ। ব্যাংক চেয়ারমান ইত্যাদি জাগায় ঘুরতে হবেনা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
shohat

Call

আপনার কি বিষয়ে ভুল আছে সেটি আপনি জানতে পারবেন.. তবে জানার শেষ নেই। হয়তো এই উত্তর দেবার পর আপনার মনে আরো কিছু প্রশ্ন থাকতে পারে তাই আপনার সবগুলো প্রশ্ন উত্তর এখানে পাবেন। 

 

১। প্রশ্নঃ কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত উপযুক্ত দলিলাদি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

২। প্রশ্নঃ কার্ডে কোন সংশোধন করা হলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে?
উত্তরঃ সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।

৩। প্রশ্নঃ ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কি কি সনদ দাখিল করতে হবে?
উত্তরঃ জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।

৪। প্রশ্নঃ আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কিভাবে তা সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে।

৫। প্রশ্নঃ বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কি?
উত্তরঃ নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে NID Registration Wing/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে।

৬। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন ID Card থেকে স্বামীর নাম বিভাবে বাদ দিতে হবে?
উত্তরঃ বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে NID Registration Wing/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।

৭। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করতে পারি?
উত্তরঃ প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

৮। প্রশ্নঃ আমি আমার পেশা পরিবর্তন করতে চাই কিন্তু কিভাবে করতে পারি?
উত্তরঃ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উলেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না।

৯। প্রশ্নঃ আমার ID Card এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?
উত্তরঃ এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

১০। প্রশ্নঃ নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সদন, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্‌নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।

১১। প্রশ্নঃ নিজের ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/ স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি,ওয়ারিশ সনদ,ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।

১২। প্রশ্নঃ পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কি কি সনদ দাখিল করতে হয়?
উত্তরঃ পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত সনদ দাখিল করতে হবে।

১৩। প্রশ্নঃ ঠিকানা কিভাবে পরিবর্তন/ সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারনেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোন ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফরমে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।

১৪। প্রশ্নঃ আমি বৃদ্ধ ও অত্যন্ত দরিদ্র ফলে বয়স্ক ভাতা বা অন্য কোন ভাতা খুব প্রয়োজন। কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স না হওয়ার ফলে কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছি না। লোকে বলে ID Card –এ বয়সটা বাড়ালে ঐ সকল ভাতা পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ ID Card এ প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামানিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

১৫। প্রশ্নঃ একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে NID Registration Wing/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।

১৬। প্রশ্নঃ আমি পাশ না করেও অজ্ঞতাবশতঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদুর্দ্ধ লিখেছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি?
উত্তরঃ আপনি ম্যাজিট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে।

১৭। প্রশ্নঃ ID Card এ অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে এসেছে। এ ভুল কিভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ ভুল তথ্যের সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত দলিল উপস্থাপন করে NID Registration Wing/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।এক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর সঠিক পাওয়া গেলে সংশোধনের প্রক্রিয়া করা হবে।

১৮। প্রশ্নঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভূক্ত বা সংশোধনের জন্য কি করতে হয়?
উত্তরঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়কৃত ডায়াগনোসটিক রিপোর্ট দাখিল করতে হয়।

১৯। প্রশ্নঃ বয়স/ জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া কি?
উত্তরঃ এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। এসএসসি বা সমমানের সনদ প্রাপ্ত না হয়ে থাকলে সঠিক বয়সের পক্ষে সকল দলিল উপস্থাপনপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ডাক্তারী পরীক্ষা সাপেক্ষে সঠিক নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।

২০। প্রশ্নঃ স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাই, কিভাবে করতে পারি?
উত্তরঃ নতুন স্বাক্ষর এর নমুনাসহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে।

২১। প্রশ্নঃ আমার জন্ম তারিখ যথাযথভাবে লেখা হয়নি, আমার কাছে প্রামাণিক কোন দলিল নেই, কিভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২২। প্রশ্নঃ একটি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে কোন সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ