শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মূলত চুল একবার জন্ম থেকে কোঁকড়া থাকলে তা স্থায়ীভাবে সিল্কি করার চেষ্টা করলে তা খুব বেশি সম্ভব হয় না। তবুও যতটুকু হবে সেটাই ভাল। চুল সিল্কি করার একটা সহজ উপায় হল, আপনি সাধারনত যে শ্যাম্পু ব্যাবহার করেন, সেই শ্যাম্পু দিয়ে প্রথমে আপনার মাথার চুল ধুয়ে নিন। এর পর এক মগ পানিতে একটি লেবুর রস বা ভিনেগার ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর চুল ভেজা অবস্থাতেই সমস্ত চুলে সেই লেবুর পানি ধীরে ধীরে ঢালুন। আলতো করে চুলটা মুছে নিন। চুল শুকিয়ে এলেই তফাতটা দেখতে পারবেন। লেবু সব সময়ই বাজারে কম বেশি পাওয়া যায়। তাই কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই অনেক সহজেই আপনার চুল সিল্কি করতে পারেন। চুলের যত্নে টকদই এর কোন বিকল্প নেই। টকদই এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে মাথার খুশকি চলে যায় এবং আপনার চুল হয়ে উঠে সিল্কি ও প্রাণবন্ত। এককাপ টকদই এর সাথে একটি লেবুর রস ও ২ টেবিল চামচ তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার গোসলের আগে সমস্ত চুলে এবং চুলের গোড়ায় এই প্যাকটি ভালকরে ধীরে ধীরে লাগান। এভাবে প্যাকটি মেখে ৩০-৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে খুব ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। চুল শুকালে আপনি নিজেই পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই বার এই প্যাকটি চুলে ব্যবহার করতে পারেন। ভাল ফলাফল পাবেন। প্রাকৃতিক উপায়ে চুল সোজা করার কিছু কৌশলঃ ১. নারকেল এবং লেবুঃ তাজা নারকেলের দুধের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটিকে কয়েক ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে সংরক্ষন করুন। একটি ঘন ক্রিমি লেয়ার দেখা যাবে পাত্রের উপরে। এই লেয়ারটাই দরকার চুল সোজা করার জন্য। পুরো চুলে এটি লাগিয়ে নিন এমনকি স্কাল্পেও লাগাবেন। ১৫-২০ মিনিট ধরে চুল টিকে স্টিম করুন। সব শেষে ধুয়ে ফেলুন সমস্ত চুল। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে আপনি ধীরে ধীরে দেখবেন আপনার চুল সোজা হতে শুরু করেছে। ২. ক্যাস্টর অয়েলঃ ক্যাস্টর অয়েলে আছে চুলের গ্রোথ আর চুল সোজা করার গুনাগুণ। এই তেল চুলের স্কাল্পে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন, তারপর চিরুনি দিয়ে চুল বরাবর আঁচড়াতে থাকুন। যখন চুল আঁচড়াবেন তখন ব্লো ড্রাই করুন হাই হিটে। ব্লো ড্রাই করার পর চুলে যেন তেলতেলে ভাব না থাকে, চুল হতে হবে শুষ্ক। তারপর একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা ধরে। এটা চুলকে অতিরিক্ত হিট থেকে soothe করবে আর স্ট্রেইটনেস বজায় থাকবে। ৩. বানানা হেয়ার প্যাকঃ দুটি ম্যাসড কলার সাথে দুই টেবিল চামচ মধু, দই এবং অলিভ অয়েল আর ১টি ডিমের সাদা অংশ মেশান। এই প্যাক পুরো চুলে লাগিয়ে মাথায় একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে ফেলুন। তারপর ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবেও আপনার চুল অনেকটা সোজা দেখাবে। ৪. ফুলারস আর্থঃ ফুলারস আর্থ বা মুলতানি মাটি তো আমরা সবাই চিনি। কিন্তু এতো দিন জানতাম এটি ত্বকের ডীপ ক্লিনজিং এর জন্য ব্যবহার করা হয় কিন্তু এটি চুলের যত্নেও অনন্য। এক কাপ মুলতানি মাটির সাথে একটি ডিমের সাদা অংশ, দুই চামচ চালের গুঁড়ো আর পানি মেশান। মিশ্রণটি অনেক পাতলা হতে হবে যাতে সমস্ত চুল কোট করা যায়। চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখুন আর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে থাকুন। সপ্তাহে ২-৩বার এটি করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার কোঁকড়া চুল কেমন সোজা হয়ে আসছে। সব থেকে বড় কথা কোঁকড়া চুল সোজা না করে ঐ কোঁকড়া চুলকেই স্টাইল করা সাজানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ। যাদের অনেকের সিল্কি চুল রয়েছে তারা অনেকেই স্টাইল করার জন্য কোঁকড়া করে থাকেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি নিচের লিংক গুলোতে যান। http://rup24.blogspot.in/2014/10/blog-post_20.html?m=1 http://www.shajgoj.com/2013/08/4877

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

একটি পাত্রে সমপরিমাণ পানি ও দুধ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।এরপর মিশ্রণটিকে একটি স্প্রে করা যায় এমন বোতলে ঢেলে নিন।মাথায় মিশ্রণটি দেয়ার আগে অবশ্যই চুলের জট ছাড়িয়ে নিন।এরপর স্প্রে করে মাথার চুলে ভালোভাবে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন খেয়াল রাখবেন যাতে কোন চুল বাদ না যায়।আর স্প্রে করার মাঝে মাঝে চিরুনি দিয়ে চুল আছড়ে নিন।দেয়া শেষ হলে চুল শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন।চুল শুকিয়ে গেলে চুলে শ্যাম্পু করুন এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।চুল শুকানোর পর দেখবেন আপনার চুল সোজা হয়ে গেছে।আর যাদের চুল একটু বেশি কোঁকড়া তারা মিশ্রণটির সাথে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন।এভাবে চুল সোজা করলে পরবর্তী পানি না লাগানো পর্যন্ত চুল সোজা থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ