সালাতুল তাসবিহ নামাজ জীবনে একবার হলে ও পড়তে হয় ।এই নামাজ পড়ার দুটি নিয়ম আছে। প্রথম নিয়ম হলো : প্রথমে নিয়ত করবে, আমি চার রাকাত সালাতুত তাসবিহ নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম। এরপর ছানা অর্থাৎ সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা_এটা পড়বে। এরপর যেকোনো সুরা মেলাবে। সুরা শেষ করে ওই দাঁড়ানো অবস্থায়ই ১৫ বার তাসবিহ ( ﻪﻠﻟﺍ َﻥَﺎﺤْﺒُﺳ ُﻪﻠﻟﺍَّﻻِﺍ َﻪَﻟِﺍ َﻵَﻭ ِﻪﻠﻟ ُﺪﻤَﺤْﻟﺍَﻭ ُﺮﺒْﻛَﺍ ُﻪﻠﻟﺍَﻭ উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।) পাঠ করবে। এরপর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাবে। রুকুর তাসবিহ পড়ার পর আবার ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বে। এরপর রুকু থেকে উঠে ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’ বলার পর আবার ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বে। এরপর সিজদায় যাবে। সিজদার তাসবিহ পড়ার পর ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বে। সিজদা থেকে উঠে দুই সিজদার মাঝখানে আবার ১০ বার পড়বে। দ্বিতীয় সিজদায় সিজদার তাসবিহ পড়ার পর আবার ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বে। এই হলো ৬৫ বার। এখন আবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে দ্বিতীয় সিজদা থেকে উঠে বসে ১০ বার পড়বে। অতঃপর দাঁড়াবে। এই হলো এক রাকাতে ৭৫ বার। এবার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে একইভাবে সুরা ও তাসবিহ পড়তে হবে। দ্বিতীয় রাকাতে ও শেষ রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার আগে ১০ বার তাসবিহ পড়ে নিতে হবে। তারপর সালাম ফেরাতে হবে। কোনোভাবেই আত্তাহিয়্যাতুর পর তাসবিহ পড়া যাবে না এবং কোনোভাবেই প্রতি রাকাতে ৭৫ বারের বেশি পড়া যাবে না। দ্বিতীয় নিয়ম হলো : নিয়ত বেঁধেই ছানা পড়ার পর সুরা-কিরাত পড়ার আগেই ১৫ বার, সুরা-কিরাত শেষে ১০ বার। এখানে দাঁড়ানো অবস্থায় ১০ বারের বেশি হয়ে গেলে, এই নিয়মে পড়লে দ্বিতীয় সিজদা থেকে সোজা দাঁড়িয়ে যাবে। দ্বিতীয় সিজদাতেই ৭৫ বার হয়ে যাবে এবং আত্তাহিয়্যাতুর আগে ওই তাসবিহ পড়তে হবে না। তাসবিহ ৩০০ বার হতে হবে, কম হলে সালাতুত তাসবিহের ফজিলত পাওয়া যাবে না। তাই খুব সতর্কতার সঙ্গে পড়তে হবে। যদি কেউ কোনো এক জায়গায় তাসবিহ পড়তে ভুলে যায় বা কম থেকে যায়, তাহলে পরবর্তী সময়ে যে জায়গায় মনে আসবে, সেখানে ছুটে যাওয়াটাও আদায় করে নেবে। সালাতুত তাসবিহ যেকোনো সুরা দিয়ে পড়া যায়। তবে কেউ কেউ বলেছেন, এ নামাজে সুরা আসর, কাউছার, কাফেরুন ও ইখলাছ পড়া উত্তম। সালাতুত তাসবিহ ছাড়া এমন আরো যত নফল নামাজ আছে, তা যেকোনো সুরা দিয়ে পড়া যেতে পারে। কোনো কোনো বইপুস্তকে লেখা পাওয়া যায়, শবেবরাতে নামাজে অমুক সুরা এতবার পড়তে হয়, এটা ঠিক নয়। এসব বক্তব্য অসমর্থিত। শবেবরাতের নফল নামাজে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে অমুক সুরা পড়তে হবে বা অমুক সুরা পড়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, যেকোনো নফল নামাজে যেকোনো সুরা পড়া যায়। . উপরের উভয় নিয়মই সঠিক। আপনি যে কোনো নিয়মে পড়তে পারেন। [সংগ্রহিত ]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

এই নামাজের নাম হলো সালাতুস তাসবীহ।এই নামাজের নিয়মাবলী: এটি ৪ রাকাত ১ সালামে পড়তে হয়।এই নামাজের প্রতিটি রাকাতে একটি তাসবিহ ৭৫ বার পড়তে হয়।৪ রাকাতে টোটাল ৩০০ বার।তাসবিহ টি হলো- '''সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর''' . নামাজ শুরু করে সানা পড়ে তাসবিহটি ১৫ বার,সুরা ফাতেহার সাথে সুরা মিলিয়ে ১০ বার,রুকুতে ১০ বার,রুকু থেকে উঠে ১০ বার,সেজদাতে গিয়ে ১০ বার,সিজদা থেকে উঠে ১০ বার,২য় সেজদাতে গিয়ে ১০ বার এভাবে পড়ে ৪ রাকাত পরিপূর্ণ করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ