Rahul Islam

Rahul Islam

0 Views
Rated 5 / 5 based on 0 reviews

Rahul Islam

  • 2000 – Present at Chuadanga
  • Male | |

Chamber

Services

Work Experience

Skills

Language

Training

Education

প্রশ্ন-উত্তর সমূহ 1.22k বার দেখা হয়েছে | এই মাসে 1.22k বার
6 টি প্রশ্ন দেখা হয়েছে 783 বার
5 টি উত্তর দেখা হয়েছে 435 বার
0 টি ব্লগ | 0 টি মন্তব্য | 0 টি প্রিয়

Recent Q&A

দ্রুত অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার উপায়

সতর্কতা: আমি অ্যাডসেন্স বিশেষজ্ঞ বা বিজ্ঞ কেউ না। এখানকার সকল পরামর্শই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও ধারণা থেকে লিখেছি। এর বাইরেও আরও উত্তম পরামর্শ থাকতে পারে কিংবা এর ভেতরেও ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে।

ইদানীং ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্স মনিটাইজেশন পাওয়া সহজ হয়ে গেলেও ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স মনিটাইজেশন পাওয়া কিছুটা কঠিন হয়ে গেছে।


সাম্প্রতিক বিভিন্ন এআই টুল আবিষ্কারের কারণে গুগল বেশ যাচাই-বাছাই করেই ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স মনিটাইজেশন দিচ্ছে। যেহেতু গুগলের পক্ষ থেকে অ্যাডসেন্স মনিটাইজেশন পেতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই সেজন্য কোনটা অ্যাডসেন্স মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য উপযোগী আর কোনটা নয় তা বুঝতেই আমাদের হিমশিম খেতে হয়।

আমার অতি নগণ্য জ্ঞান আর অভিজ্ঞতার আলোকে এখানে আমি কিছু পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যেগুলো অনুসরণ করলে আপনার ব্লগটি অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য অনেকটাই উপযোগী হয়ে যাবে।


১. কোয়ালিটি কন্টেন্টপ্রথম পরামর্শ হলো কোয়ালিটি কন্টেন্ট পাবলিশ করা এবং তা গুগলে ক্রল ও ইন্ডেক্স করানো। আমরা কোয়ালিটি কন্টেন্ট করে চিৎকার চেচামেচি করলেও অনেকেই কোয়ালিটি কন্টেন্ট বুঝি না।

কোয়ালিটি কন্টেন্ট বলতে এমন টেক্স, ইমেজ, অডিও, ভিডিওকে বুঝায় যা পাঠক বা দর্শকদের কাছে মূল্যবান, যা তারা দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে বা দেখে। এছাড়াও কোয়ালিটি কন্টেন্ট বলতে এমন কিছুকে বুঝায় যা মানুষ ইন্টারনেটে খুঁজে থাকে।

কোয়ালিটি কন্টেন্টের আরও কিছু শর্ত হলো তা অবশ্যই প্লেজারিজম, কপিরাইটেড, পাইরেটেড, রিরাইটেড ও অগোছালো হবে না। অনেকেই ভালো কন্টেন্ট তৈরি করেন কিন্তু পোস্ট ফরম্যাটিং করতে পারেন না। জানেন না যে কোথায় প্যারাগ্রাফ ট্যাগ আর কোথায় লিস্ট ট্যাগ ব্যবহার করতে হয়।

পর্যাপ্ত কন্টেন্ট পাবলিশ করাও অ্যাডসেন্স মনিটাইজেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু গুগল নির্দিষ্ট করে বলেনি যে কয়টা কন্টেন্ট পাবলিশ করা আবশ্যক তাই এ বিষয়টা নিয়ে আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কনফিউশান তৈরি হয়ে থাকে। তবে আমার ধারণা ও অভিজ্ঞতা থেকে যদি বলি, তাহলে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে ৮০০-১২০০ ওয়ার্ডের ২৪-২৫টা ইউনিক কন্টেন্ট পাবলিশ করলে অ্যাডসেন্স পাওয়ার আশা করা যায়।

কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরি করতে কিওয়ার্ড রিসার্চ করুন, প্লেজারিজম ফ্রি রাখুন এবং কপিরাইটেড বা পাইরেটেড এলিমেন্ট ব্যবহার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন। এবং সর্বশেষ কন্টেন্ট পাবলিশ করার সময় তা সুন্দর ও গোছালো করে ফরম্যাটিং করুন।


২. সাইটের মিনিমাল ডিজাইন

আমরা অনেকেই আছি যারা ব্লগ সাইটে হাবিজাবি সকল উইজেট বা ফিচার যুক্ত করে রাখি, যার অধিকাংশই অপ্রয়োজনীয় ও বেমানান। তাই আমার পরামর্শ থাকবে সাইট ডিজাইন করার সময় যতটা সম্ভব মিনিমাল রাখার চেষ্টা করবেন।

অনেক বেশি কালার ব্যবহার করবেন না। একটা মূল কালারকে ফোকাসে রেখে আরও ১-২টা কালার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তা যেন দৃষ্টিকটু না দেখায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।


৩. প্রয়োজনীয় পেইজ

ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য গুগলের পক্ষ থেকে যতটুকু সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো কিছু প্রয়োজনীয় পেইজ পাবলিশ করতে হবে। যেমন: About us, Privacy-policy, Terms and conditions, Disclaimer, Contact us প্রভৃতি।

এই পেইজগুলো আপনি নিজে লিখতে পারেন, অথবা বিভিন্ন অনলাইন জেনারেটিভ টুল দিয়েও জেনারেট করতে পারেন। এতে সমস্যা হবে না। তবে এই পেইজগুলো থাকা আবশ্যক।

আর পেইজগুলো যেন সাইটের ফুটারে কিংবা মেনুবারে হাইপারলিংক করা থাকে সেটাও খেয়াল রাখবেন। যাতে সহজেই পাঠকরা এই পেইজগুলো খুঁজে পায়।


৪. অর্গানিক ট্রাফিক

ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স মনিটাইজেশন পেতে গুগল ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে অর্গানিক ট্রাফিক থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গুগল সার্চ থেকে আপনার সাইটে যেন অল্প-স্বল্প ট্রাফিক আসে সেভাবে এসইও করতে হবে।

এটা গুগলকে এই নির্দেশনা দিবে যে আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট মানুষের জন্য মূল্যবান ও তা অ্যাডস দেখানোর জন্য উপযোগী।

তাই কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় এমন কিওয়ার্ড নির্বাচন করবেন যেগুলোর মোটামুটি সার্চ ভলিউম আছে এবং যেগুলোর কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি ১০-২০ এর মধ্যে। লো-কম্পেটিটিভ কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে নতুন সাইটকে দ্রুত র‍্যাঙ্ক করানো যায় এবং ট্রাফিক পাওয়া যায়।


আরও পড়ুন: 5 ways to earn from YouTube in bangla

৫. ইন্টার্নাল ও এক্সটার্নাল লিঙ্কিং

ইন্টার্নাল লিঙ্কিং বলতে বুঝায় আপনার সাইটের একটি পেইজ বা পোস্টে একই সাইটের অন্য আরেকটি পেইজ বা পোস্টের হাইপারলিঙ্ক করা।

ইন্টার্নাল লিঙ্কিং করলে Average Page View Duration বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ আপনি যদি কোনো পোস্টে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে লেখা আরেকটি পোস্টের হাইপারলিঙ্ক করেন তাহলে একজন ভিজিটর সেই লিঙ্কে ক্লিক করে পোস্টটি পড়বে তার সম্ভাবনা অনেক বেশি। অনেকের মতে, একটা সাইটকে র‍্যাঙ্ক করাতে ও র‍্যাঙ্ক ধরে রাখতে গড়ে ৩-৪ মিনিটের Page View থাকা ভালো।

আর এক্সটার্নাল লিঙ্কিং বলতে আপনার সাইটের পোস্টের অন্যকোনো সাইটের হাইপারলিঙ্ক করাকে বুঝায়। আমরা অনেকেই ডাউনলোড সাইট কিংবা পাইরেটেড কন্টেন্ট পাবলিশ করে এমন সাইটের হাইপারলিঙ্ক করি। এটা গুগল খুব স্ট্রিক্টলি নিষেধ করে।

তাই সাইটে ১৮+, বেটিং, পাইরেটেড কন্টেন্ট ডাউনলোড করা যায় এমন সাইটের লিঙ্ক দিবেন না। চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব এক্সটার্নাল লিঙ্ক এড়িয়ে যাওয়ার। তবে রেফারেন্স দিতে নিউজ সাইট, উইকিপিডিয়া বা জনপ্রিয় সাইটের লিঙ্ক যুক্ত করতে পারেন।


৬. কিছু নিষিদ্ধ শব্দ

Pirated, Free download, Hacking, Cracking, Betting টাইপের শব্দগুলো আর্টিকেলের মধ্যে লেখা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে। গুগল কখনই এগুলো অনুমোদন করে না।


৭. সাইটের নেভিগেশন

সাইটের নেভিগেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যদিও এটা সম্পর্কে শেষের দিকে লিখছি। একজন ভিজিটর আপনার সাইটে এসে যেন এক পেইজ থেকে অন্য পেইজে গিয়ে তার কাঙ্ক্ষিত কন্টেন্টটি খুঁজে পায় সেভাবে সাইটের নেভিগেশন তৈরি করতে হবে।

আর যেহেতু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই মোবাইল ব্যবহার করে তাই আপনার সাইটের অধিকাংশ ভিজিটর মোবাইল ব্যবহার করে এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকুন। সেজন্য সাইটকে মোবাইল ফ্রেন্ডলি করে ডিজাইন করতে হবে।


৮. নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিশ

একটা সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্ক করানো বা র‍্যাঙ্ক ধরে রাখার জন্য নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিশ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।

আপনি একটা কন্টেন্ট মাসের ৫ তারিখে, আরেকট ১১ তারিখে, আরেকটা ২৮ তারিখে পাবলিশ করলে সেটা অনিয়মিত হবে। নিয়মিত বলতে প্রতিটা কন্টেন্ট পাবলিশ করার মাঝে সমান গ্যাপ থাকতে হবে।

আপনি যদি মাসে ৩টা কন্টেন্ট পাবলিশ করতে চান তাহলে প্রতিটা ১০ দিন পর পর পাবলিশ করুন। আর ১০টা কন্টেন্ট পাবলিশ করতে ৩দিন পর পর পাবলিশ করুন। এতে যেমন গুগলে ক্রলারের কাছে আপনার সাইট সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা তৈরি হবে তেমনি অ্যাডসেন্স কর্তৃপক্ষ ধারণা করবে আপনি সাইটটি সম্পর্কে বেশ সিরিয়াস।

এর বাইরেও কিছু পরামর্শ থাকতে পারে। যখন পোস্টটি লিখছি সে সময়ে আমার মাথায় যেগুলো এসেছে সেগুলো জানানোর চেষ্টা করেছি। অভিজ্ঞ ভাইয়েরা এর বাইরে কিছু জানলে তা কমেন্টে যুক্ত করতে পারেন। অথবা উপরের কোনো পরামর্শ ভুল মনে করলে গঠনমূলক সমাআলোচনা করতে পারেন।

0 likes | 5 views

ঘুম না আসার সমাধান কী?

আমি রাতে অনেক সময় পর্যন্ত মোবাইল ইউস করি। রাতে পরিকল্পনা করে ঘুমাই যে পরের দিন দুপুরে ঘুমাবো। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্বেও দিনের বেলায় আর ঘুম আসে না, ঘুমাতে পারি না। কোন উপায় আছে যাতে আমি সহজেই নিয়মিত দিনের বেলায় ঘুমাতে পারি!

1 likes | 1621 views

বোনের মেয়ে আমার ( আমি মামা) কি হয় সম্পর্কে?

বোনের মেয়ে আমার ( আমি মামা) কি হয় সম্পর্কে?

0 likes | 4638 views

SIM - Invalid card দেখার কারণ কি এবং এর সমাধান।?

0 likes | 2336 views

বিশ হাজার (২০,০০০/-) টাকার মধ্যে রিডমি ফোন সাজেস্ট করুন।?

২০,০০০/- টাকার মধ্যে রিডমি ফোন সাজেস্ট করুন যেটাতে ক্যামেরা পারফরম্যান্স ভাল পাবো। মানুষের ছবি + প্রকৃতির ছবির মান ভাল অাসবে

0 likes | 1683 views

স্মার্টফোন দিয়ে কি এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়?

0 likes | 1642 views

ফ্রি ফায়ার নাকি পাবজি, কোনটা সেরা গেইম?

0 likes | 3207 views