যাকে আপনি আপনার প্রতি আকর্ষিত করতে চান,তার সাথে কথা বলার পুর্বে নিজের ফিটনেস ঠিক করুন। নিজের কাপড়, চুলের স্টাইল, দাড়ির স্টাইল, দাঁড়ানো বা বসার ধরণ ইত্যাকার বিষয়াদি স্টাইলিশ বা এমনি পরিমার্জিত করুন যা নিজের সাথে ফিট হয়।এবং ভদ্র ছেলের ন্যায় হয়।যেমন সালমান খান বা কাপিল শর্মা স্টাইল গ্রহন করতে পারেন।।। দ্বিতীয়তঃ তার সাথে দৃঢ়তার সহিত চোখে চোখ রেখে স্নিগ্ন হেসে রসাত্মক কথা অকৃত্রিম বা দৃষ্টিনন্দিত ভঙ্গিমায় কথা বলুন।অবশ্য হাসির স্টাইলও দৃষ্টিনন্দিত হওয়া চাই।সাথে দাতও পরিষ্কার হতে হবে।।। অবশ্য তার like জিনিষ (জানা থাকলে, বা জানা না থাকলে কথার ফাকে জেনে নিয়ে তা) নিয়ে আলোচনা করলে বেশ ভালো হয়।।
মানুষের সামনে কথা বলার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। সে মানুষটি হোক ছেলে, হোক মেয়ে। সে কথা হতে হবে গোছালো রসমিলালো প্রশংসা মূলক। কারণ একমাত্র কথা দিয়েই মানুষের মন জয় করা সহজ। প্রথম প্রথম কথা বলতে গেলে ঠেকে যাবে জড়তা আসবে। ভূল হবে, এটা স্বাভাবিক। চর্চা করুণ সব ঠিক হয়ে যাবে। বলার সুযোগ আসা মাত্রই উঠে দাড়াবেন কারণ পৃথবীর অর্ধেক মানুষ তো দাড়াতেই সাহস পায়না। ধীরস্থিরভাবে আপনার কথা ব্যক্ত করুণ। বড় বড় নকল কথা না বলে সাধারণ কথা বলুন এবং সংক্ষিপ্ত ভাবে বলুন। মানুষের সামনে কথা বলতে সাহসী হন কথা বলার কৌশল রপ্ত করুণ, কথা বলার সঙ্গে অঙ্গ ভঙ্গিও সুন্দর করে প্রকাশ করার চেষ্টা করুণ। উত্তেজনা পরিহার করুণ। সব সময় নরমাল ভাবে কথা বলুন। মনকে বড় করুণ:- অনেকে আছে তারা কোন অনুষ্ঠানে গেলে বা বেড়াতে গেলে অন্যের সঙ্গে নিজের পোশাক পরিচ্ছদ মিলাতে শুরু করে। যখন দেখে তার পোশাক অনেক কমদামী গহনা সু আর সবার তুলনায় নিম্নমানের। সে নিজে নিজে মন থেকে নিজেকে ছোট করে ফেলে আসলে এসব কিছুই না। এজন্য মনকে বড় করতে হবে। আপনার কমদামী পোশাকটি মানান সই কিনা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কিনা, গহনার বেলায় সৃজনশীল কিনা, পাতের জুতা মানিয়েছে কিনা। এই হচ্ছে আসল কথা। যদি তাই হয় তবে ভাবনা নেই দেখতে আর দশ জনের চেয়ে আপনাকেও কম সুন্দর মনে হবে না। গোমরা করে বসে না থেকে নিজের যোগ্যতা প্রকাশ করুণ। দেখবেন সবাই আপনার দিকে তাকিয়ে রয়েছে সব কিছু সচেতনতার সহিত নির্বাচন করুণ। দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে অনুষ্ঠানের ধরণ ঋতু বুঝে পোশাক আনুসঙ্গীক নির্বাচন করুণ। যেন আপনার ফিগারের সঙ্গে মানায় সেদিকে লক্ষ করুণ। সেকরিফাইজ মন, কার উপকারের মানসিকতা ভিতর থেকে তৈরি করুণ এজন্য নিজের মনকে বড় করতে হবে হীন প্রবণতা পরিহার করতে হবে। লজ্জা ভয় ত্যাগ করে সাহসি হয়ে উঠতে হবে। হাস্য রস চর্চা করুণ:- নিজের সকল ভয়, ভীতি, সংকীর্ণ, মন থেকে চির তরে পরিহার করতে হাস্যরস চর্চা করতে হবে। এজন্য অনুশীলন করতে হবে। জোকস বই পড়তে হবে। কমিডিয়ান নাটক সিনেমা দেখতে হবে। বন্ধুরা মিলে একটি টিম তৈরি করে এই হাস্যরসের অনুশীলন করতে পারেন। ভাষা শুদ্ধ করতে মুখের কিছু ব্যায়াম আছে তা চর্চা করতে হবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে টেপ রেকর্ডারে রেকর্ড করে পরবর্তীতে তা শুনে অবাঞ্চিত ভুল গুলো আঞ্চলিকতার টান গুলো ধরতে পারবেন। এবং শব্দ ঠিকমতো উচ্চারণ করতে বারবার অনুশীলন করে তা ঠিক মত শিখে নিন। সাহসিকতা:- নিজেকে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে হলে আগে মনের সকল সংকীর্ণতা পরিহার করে, ভয়, লজ্জা দূরে ঠেলে মন থেকে সাহসি হয়ে উঠুন। আমি পারবনা, আমার দ্বারা সম্ভব না, আমার দ্বারা হবে না, এমনহীন মনোবৃত্তি পরিহার করে মনের মধদ্যে একটি কথাই জাগরিত কুরুন যে, আমি পারবো আমার দ্বারাও সব সম্ভব। আমি বলছি না সামান্য করণেই মেরে দুচার জনের মাথা ফাটিয়ে দিতে হবে। সাহসিকতা দেখাতে উপর থেকে লাফ দিতে হবে। জোড়ে গাড়ি চালাতে হবে, আসলে এমন কিছু নয়। আসল কথা হচ্ছে নিজেকে যুগোপযোগী ভাবে তৈরি করে উপস্থাপন করা। বিপদগ্রস্থ মানুষের উদ্ধার করার জন্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, লোকের সামলে ও মঞ্চের মাইকে কথা বলার সাহসিকতা অর্জন করতে হবে। অনেকে আছে মেয়েদের সামনে অথবা পুলিশের সামনে কথা বলতে হাত পা কাপা কাপি শুরু করে দেয়। এসব ক্ষেত্রে সাহসি হতে হবে। মনের অস্থিরতা উদ্বিগ্নতা চাঞ্চলতা পরিহার করে ধীরস্থির ভাবে কথাগুলো বলে যান যেখানে গেলে আনিজিফিল হয় বার বার সেখানেই যান। চর্চা করুণ দেখবেন সাহসি হয়ে উঠেছেন।