শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Yakub Ali

Call

অর্জুন ছাল/বাকলের উপকারিতা ও খাওয়ার

নিয়মঃ

যাঁদের বুক ধড়ফড় করে অথচ হাই ব্লাডপ্রেসার নেই, তাঁদের পক্ষে অর্জুন ছাল কাঁচা হলে ১০/১২ গ্রাম অথবা শুষ্ক হলে ৫/৬ গ্রাম একটু থেতো করে, আধ পোয়া দুধ আর আধাসের পানি একসঙ্গে সিদ্ধ করে, আন্দাজ আধ পোয়া থাকতে নামিয়ে, ছে’কে বিকেলের দিকে খেতে হয়। তবে গরম অবস্থায় ঐ সিদ্ধ দুধটা ছে’কে রাখা ভাল। এর দ্বারা বুক ধড়ফড়ানি নিশ্চয়ই কমবে। তবে পেটে বায়ু না হয় সে দিকটাও লক্ষ্য রাখতে হয়।

লো- ব্লাড্প্রেসারে- উপরিউক্ত পদ্ধতিতে তৈরী করে খেলে প্রেসার স্বাভাবিক হয়।

রক্তপিত্তে- মাঝে মাঝে কারণ বা অকারণে রক্ত ওঠে বা পড়ে; সে ক্ষেত্রে ৪/৫ গ্রাম ছাল রাত্রিতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওটা সকালে ছেকে নিয়ে পানিটা খেতে হয়।

শ্বেত বা রক্তপ্রদরে- উপরিউক্ত মাত্রা মত ছাল ভিজানো পানি আধ চামচ আন্দাজ কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খেলে উপশম হয়।

ক্ষয় কাসে- অর্জুন ছালের গুড়ো, বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে, সেটা শুকিয়ে (অন্ততঃ সাত বার) নিয়ে রাখতে হবে। দমকা কাসি হতে থাকলে একটু ঘি ও মধু বা মিছিরির গুড়ো মিশিয়ে খেতে হবে।

শুক্রমেহে(Spermatorrhoea)- অর্জুন ছালের গুড়ো ৪/৫ গ্রাম আধ পোয়া আন্দাজ গরম পানিতে ৪/৫ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর ছেঁকে ঐ পানিতে আন্দাজ ১ চামচ শ্বেতচন্দন ঘষা মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

যাঁদের ইস্তিঞ্জার (প্রস্রাবের) সঙ্গে Puscell বা পুঁজ বেশী যায়, তাঁরা ৩/৪ গ্রাম শুকনো অর্জুন ছাল আধ পোয়া আন্দাজ গরম পানিতে ৪/৫ ঘন্টা ভিজিয়ে পরে ছেকে তার সঙ্গে একটু রান্না করা বার্লি মিশিয়ে খেলে তা সেরে যাবে।

রক্ত আমাশয়ে- ৪/৫ গ্রাম অর্জুন ছালের কাথে ছাগল দুধ মিশিয়ে খেলে তা সেরে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ