১ তালাক বললে সমস্যা নেই, ২ তালাক বললেও সমস্যা নেই। কারন, ২ তারাক পর্যন্ত স্বামী তার স্ত্রীকে নিতে পারবে কিন্তু ৩ তালাক বললে তখন আর নিতে পারবে না (তালাক অবশ্যই মন থেকে দিকে হবে, জোড় করে বা চাপে পড়ে দিরে সেটা তালাক হবে না"।
৩ তালাক দেয়ার পর স্বামী তার স্ত্রীকে নিতে পারবে না এজন্যে যে, ৩ তালাক দেয়ার সাথে সাথেই তাদের বিয়ে ভেঙ্গে যায়। তারপর যদি তকরা পুনরায় ভুল বুঝতে পারে, ও ইচ্ছা করে পুনরায়মিলিত হওয়ার তবে,
তাদের আবার বিয়ে করে নিতে হবে। কারন, ৩ তালাক দেয়ার সাথে সাথে তাদের বিয়ে ভেঙ্গে যায় ও তারা দুজন দুজনের অপরিচিত মানুষ হয়ে যায়। কারন, তাদের বিয়েটা আর নেই। এ বিষয়ে বুখারী শরীফ ৭ম খন্ড হাদীসস নং ৪১৭৩, সেকানে আছে,
"এক ছেলে মাকুল(রা) এর বোনকে বিয়ের জন্যে প্রস্তাব পাঠায়। অতঃপর বিয়ে হয়। কিন্তু পরে সেই ছেলে তিন তালাক দিয়ে তাঁর বোনকে পৃথক করে রাখে। ইদ্দত পালন করার পর, সেই ছেলে তাঁর বোনকে পুনরায় নেয়ার জন্য, আবেদন পাঠায়। কিন্তু মাকুল(রা) শপথ করলেন তিনি সেই ছেলের কাছে তাো বোনকে আর দিবেন না। তখনই আল্লাহ সুরা বাকারায় নাজিল করলেন,
"অতঃপর(৩ তালাকেরপর) তারা যদি পুনরায় একত্রিত হতে চায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায় তবে তোমরা তাকে বাধা দিও না"
কিন্তুু একদল মুর্খ মানুষ, বলে তিন তালাক দিলে নাকি স্বামী তার স্ত্রীকে পুনরায় নিতে পারবে না যতক্ষন নাকি সে অন্য কোন ছেলেকে বিয়ে করে সহবাস করে, অতঃপর তিন তালাক দেয়, যেটা হিল্লা বিবাহ নামে পরিচিত। এটা ভাই সম্পুর্ন হারাম। বুখারী শরীফে ১০০ টি ভয়ানক কবীরা গুনাহের মধ্যে হির্লা বিবাহ সম্ভবত ৪১ নাম্বারে আছে মহানবী (সা) সেসব লোকদের অভিশাপ দিয়েছেন যে হিল্লা করে ও করায়।
তিন তালাকের পর স্ত্রীর ইদ্দত পুর্ন করতে হবে(যদি ইদ্দত শুরু হয়)। তার আগেই নেয়া যাবে না। স্ত্রীর ইদ্দত পুর্ন হওয়ার পর, তারা পুনরায় নিজেরা বিয়ে করে নিবে।।এভাবেই তারা মিলিত হতে পারবে।
স্বামী স্ত্রীকে এক সঙ্গে কিংবা সুন্নতী নিয়মে তিন তালাক দিলে সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে রাখার কোনো উপায় থাকে না। সে তার জন্যে হারাম হয়ে যায়, হারাম হয়ে যায়- বলতে হবে- চিরতরে, তবে শরীয়ত একটি মাত্র উপায়ই উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। তা হলোঃ ‘সে স্ত্রীলোকটি অপর স্বামী বিয়ে করবে’। তারপর সেই দ্বিতীয় স্বামী যদি তালাক দেয় তার পরে যদি তারা পুনর্মিলিত হ’তে চায় এবং আল্লাহর বিধান কায়েম রাখতে পারবে বলে যদি মনে করে, তাহলে তাদের দু’জনের পুনরায় বিবাহিত হতে কোন দোষ নেই’ (বাক্বারাহ ২৩০)।