আমার বয়স ২০ মাথার অনেক জাগায় চুল পাকা ধরছে এখন কিভাবে ধুর করব
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Yakub Ali

Call

ঘরোয়া টিপস ঃ প্রথম যখন দেখবেন চুল পাকতে শুরু করেছে তখন হেনা, ডিমের কুসুম ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মাথায় লাগান। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। হেনা ব্যবহারের ফলে চুল পাকা রোধ হবে এবং চুলের সাদা ভাবটা কম বোঝা যাবে।যারা খুব বেশি রোদে কাজ করেন অর্থাৎ চুলে সরাসরি রোদ লাগে তাদের চুল দ্রুত পাকার প্রবণতা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে রোদে কাজ করলে মাথা ঢেকে রাখুন। অথবা রোদ থেকে ফিরে ক্রিম সমৃদ্ধ শ্যাম্পু দিয়ে চুল শ্যাম্পু করুন।অনেকে চুলে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। যেমন: জেল, ক্রিম, কালার ইত্যাদি। এসব ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। সব সময় ভালো ব্র্যান্ড ব্যবহার করা উচিত।

এই ধরণের সমস্যায় একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনার চুল পাকার পেছনে যে কারন থাকতে পারে তা হল হরমোনের প্রভাব, ভেজাল খাবার, খারাপ তেল, দুষিত পরিবেশ, এলকোহল ও নেশা জাতিয় কিছু পান করা করাসহ অনিয়মিত জীবন যাপনও একটি কারন হতে পারে। তাই নিম্নে উল্লেখিত পদক্ষেপ অনুসরণ করার আগে এগুলো বাদ দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। এবার আসুন দেখি কি সেই পদক্ষেপগুলো…… ১ নং : ১ চা চামচ হরতকীর গুড়া, ২ চা চামচ পরিমান মেহেদী পাতার গুড়া, অর্ধ কাপ পরিমান নারকেল তেল। সম্পুর্ন উপকরণগুলো একসাথে করুন এবং নাড়তে থাকুন। সম্পূর্ন মিশে গেলে এটি এবার ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হওয়ার পর পুরো মিশ্রনটুকো আপনার চুলে মেখে নিন। ২ ঘন্টা অপেক্ষা করুন তারপর ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু ব্যাবহার করুন। ২ নং: ১০ গ্রাম কেশুতপাতা নিন, হরতকীর ছাল, ১০/১২ গ্রাম মেহেদী পাতা, ৬-৮টি জবুফলের মাঝের অংশ নিন, ২/৩ টি আমলকি ও প্রয়োজনমত বিটের রস দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার তৈরিকৃত হেয়ার টনিকটি প্রতিদিন লাগান গোসলের আগে। ৪০ মিনিট পড়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি খুবই কার্যকর পদ্ধতি। এটি করেই অনেকের চুল বছরের পর বছর ভাল থাকতে পারে। ৩ নং: বাদামের তেল, আমলকীর রস ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে প্রতি সপ্তাহের অন্তত ২ দিন ব্যাবহার করা উচিত। তাহলে আপনার চুল আরো স্বাস্থ্যবান আর চুল পাকার সম্ভাবনা একদমই কমে যাবে। ৪ নং: যদি আপনার ইতিমধ্যে চুর পাকা শুরু হয়ে থাকে এবং যা বেশি না মাত্র একটি-দুটি পর্যায়ে আছে তাহলে টকদই, ডিমের কুসুম ও মেহেদী একসাথে করে প্যাক তৈরি করে চুলে মাখুন। আপনার চুল পাকা কমে যাবে। ৫ নং : ২ টেবিল চামচ পরিমান আমলকী গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ পরিমান মেথির গুড়া ও ১ কাপ পরিমান নারিকেলের তেল একসাথে করে হালকা তাপে গরম করুন। এটির রং বাদামী রং হলে নামিয়ে রাখুন। এরপর ঠান্ডা করার পর ছেকে প্রতি সপ্তাহে ২ বার চুলের গোড়া পর্যন্ত লাগান। ২ ঘন্টা পরে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও আপনার চুল ভাল রাখতে নিয়মিত ভাল ব্রান্ডের শ্যাম্পু (যেটি আপনার চুলে স্যুট করে ) ব্যাবহার করুন। ভাল শাখ সবজি খান এবং প্রচুর পরিমান বিশুদ্ধ পানি পান করুন। আপনার চুল ভাল রাখতে বিভিন্ন জেল, কালার, চুলের ক্রিম, স্প্রে ও সিরাম ব্যাবহারে সতর্ক হতে হবে। বেশি ভাল হয় এগুলো ব্যাবহার না করলে। এভাবে চললে আপনার চুলতো পাকা কমবেই উপরোন্তু চুল হবে সুন্দর, ঝলমলে কালো ও সিল্কি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
TarikAziz

Call

যা যা লাগবে :

- লাল জবা ফুল

- নারিকেল তেল

পদ্ধতিঃ

২-৩ টি লাল জবা ফুল হালকা গরম নারিকেল তেলে চটকিয়ে তেলের সাথে ভালো করে মেশাবেন। এর পরে ঐ লাল জবা ফুলের মেশানো তেল চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগাবেন। এভাবে রাতে রেখে দিবেন। সকালে উঠে ভালো কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলবেন।

এভাবে প্রতি সপ্তাহে করবেন। দেখবেন আপনার চুল কেমন উজ্জ্বল, কালো হয়ে উঠেছে।

(copid)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Sofikul

Call

অকালে চুল পাকা রোধের কয়েকটি উপায়

০১. আমলকি ও লেবুর রস মিশ্রণঃ

1

আমলকি ও লেবু দুটোই আমাদের দেশে জন্মে এবং সহজলভ্য। এই দুটো ফলের পুষ্টি গুণ অত্যন্ত বেশি। শরীরের মেদ কমানো, হৃদপিন্ডের সমস্যা ইত্যাদি আভ্যন্তরীণ সমস্যার পাশাপাশি চামড়ার ইনফেকশন এবং মাথার চামড়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন যোগান দেয়ার ক্ষেত্রে এই দুটো ফলের জুড়ি নেই। তাই অকালে চুল পাকা রোধের জন্য বাজার থেকে আমলকির গুঁড়া কিনে এনে তা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে মাথার চামড়ায় ম্যাসাজ করুন, তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে।

০২. পেঁয়াজ বাটাঃ

2

মশলা হিসেবে পেঁয়াজ একটি আবশ্যকীয় উপাদান। বাংলাদেশে কমবেশি সব রান্নাঘরেই পেঁয়াজ থাকে। আর পেঁয়াজ বাটা চুল পাকা রোধের অত্যন্ত কার্যকরী অস্ত্র। পেঁয়াজ ভালোমত বেটে নিয়ে প্রতিদিন কিছুক্ষণ মাথার চামড়ায় ও চুলে ম্যাসাজ করলে এবং চুলে পেঁয়াজ বাটা শুকিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই পাকাচুল কালো হয়ে যাবে। তবে দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রতিদিন একবার করে এই উপায় অনুসরণ করতে হবে।

০৩. নারিকেল তেল এবং লেবুর রসঃ

3

চুলের যত্নে নারিকেল তেলের কোন জুড়ি নেই। আর লেবুর গুণাগুন তো আগেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাকা চুলের হাত থেকে রেহাই পেতে হলে প্রতিদিন ৪ চা চামচ নারিকেল তেলের সাথে আড়াই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে উক্ত মিশ্রণ চুলের গোড়ায় এবং মাথার চামড়ায় লাগান। দুই সপ্তাহের মধ্যেই পাকা চুল কালো হয়ে উঠবে। তার পাশাপাশি আপনার মাথার চামড়া সুস্থ থাকবে, খুশকি হবে না এবং চুলও হবে উজ্জ্বল।

০৪. গাজরের রসঃ

4

গাজর একটি পুষ্টিকর সবজি উপাদান। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারাল এর একটা সিংহভাগ গাজর একাই পূরণ করার ক্ষমতা রাখে। চুলের যত্নেও গাজর বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। তাই বাজার থেকে গাজর কিনে এনে সেটিকে ব্লেন্ডারে পানি, চিনি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। গাজরের যে জুস পাওয়া যাবে, সেটি নিয়মিত পান করুন। প্রতিদিন অন্তত একগ্লাস করে গাজরের রস পান করলেই আপনার পাকা চুলের প্রতিকার পাওয়া শুরু করবেন। শুধু চুল নয়, সেইসাথে আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতেও এই গাজরের জুস সাহায্য করবে।

০৫. তিলের বীজ এবং বাদাম তেলঃ

5

তিলের বীজ এবং বাদাম তেল এই দুইটি বাজারে বেশ সহজলভ্য। স্কিন ডাক্তাররা চুলের যত্নে মাঝে মধ্যে এই চিকিৎসাটি প্রেসক্রাইব করে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চিকিৎসায় সবচাইতে বেশি উপকার পাওয়া সম্ভব। প্রথম তিল বীজ গুঁড়ো করে নিন। এরপর তা বাদাম তেলের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। এই পেস্টটি চুলে ও মাথার চামড়ায় লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

উপরের পদ্ধতিগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে সহজে ঘরে বসেই অকালে চুল পাকা রোধ করা সম্ভব। তবে যে কথাটি আমার লেখায় বার বার বলি, সেটা হচ্ছে প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধ উত্তম। সাধারণত পুষ্টিহীনতা, টেনশন, অবসাদ, ঘুম কম হওয়া এগুলোর কারণে অল্প বয়সে চুল পাকতে পারে। তাই এই সমস্যা প্রতিরোধের জন্য প্রচুর পুষ্টিকর শাকসবজি খাবেন, পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করবেন এবং অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ