আমার বয়স18 কিন্তু স্বাস্থ্য খুব কম এবং স্মরণশক্তি খুব দুর্বল।এটা কিভাবে বাড়াবো এবং কোন ওষুধ খেতে হবে।সঠিক উত্তর দিবেন
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

সাস্থ্য বাড়াতে হলে ১. খাবারের পরিমাণ না বাড়িয়ে বরং খাবার গ্রহণ করার সময়টা বাড়ান অর্থাৎ একটু সময় নিয়ে ভাল ভাবে চিবিয়ে খাদ্য গ্রহণ করুন & খাবারের মাঝে খাবারের অর্ধেক পরিমাণ পানি পান করুন। ২.হালকা ব্যাম করুন। ৩. চিরতা ভিজিয়ে রেখে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন। ৪. প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন। স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্যে কিছু মস্তিষ্কের ব্যায়াম করতে পারেন ১- প্রতিদিন ঘুমানোর ঠিক আগ মুহুর্তে ৫ মিনিট চোখ বন্ধ করুন। এরপর সারাদিন কি কি কাজ করেছেন তার একটা লিস্ট মনে মনে করুন ২- এবার কোন কাজ গুলো আগে করেছেন তার ধারাবাহিক একটা লিস্ট মনে মনে করে ফেলুন। ৩- কোন কাজ গুলো আপনার সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয়েছে তারও একটা লিস্ট মনে মনে একে ফেলুন। ৪- এবার ভাল করে যাচাই করে দেখুন আজকের কোন কাজ বাদ পরে গেছে কি না? এবার এভাবে কয়েকদিন প্রাকটিস করতে থাকুন(কত গুলো কাজ মনে রাখতেপারছেন আর কত গুলো মনে রাখতে পারছেন না তার একটা হিসেব রাখুন) হিসেবে কোন কাজ যদি এড়িয়ে যান ভুলেও হতাশ হবেন না। এভাবে এক সপ্তাহ আগে যে কাজ গুলো করেছেন তার মনে করার চেষ্টা করুন... মানুষের ব্রেন একটা অতি আশ্চার্যজিনিস- যে স্মৃতি গুলো আপনি মনে করছেন ভুলে গেছেন তা অক্ষুন্ন আছে- একটু পরে বা অন্য কোন সময় ঠিকই মনে করতে পারবেন(এটা নিয়ে বেশী চিন্তা করার কিছু নাই) আমার জানা মতে থানকুনি পাতা, কচি শুকনা বেল ঘি এর সাথে ভেজে খেলে স্মৃতি শক্তি বেড়ে যায় । তবে উপরের ব্রেন এর প্রাকটিস করা অবশ্যই ভাল ধন্যবাদ Memosarf - নামে একটি ক্যাপসুল পাওয়া যায় যাহা কিনা আপনার মস্তিকের দুর্বলতা, হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা কাটিয়ে আপনার দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে...!!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
TarikAziz

Call

কয়েকটি সহজ কৌশলে আপনিও বাড়িয়ে নিতে পারেন মেমোরি পাওয়ার।


১। ব্যায়াম করুন আর শরীরকে রাখুন সচল:

ব্যায়াম শুধু আপনার শরীরকেই সচল করে না, এটি আপনার মস্তিষ্ককেও সচল রাখে। স্থূলতা এবং অতিরিক্ত ওজন আপনার ব্রেইনের জন্যও ক্ষতিকর।




নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কিংবা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সচল না থাকলে রক্তবাহী নালীগুলো চর্বি জমে। ফলে স্বাভাবিক রক্তচলাচল ব্যহত হয়। মস্তিষ্কে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবারাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মস্তিষ্কের কোষগুলোও। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সচল রাখুন আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো।


২। মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন, বিষন্নতা দূর করুন:

রাগ, ক্ষোভ বা উদ্বেগ আপনার ব্রেনকে কিছু সময়ের জন্য স্থবির করে দেয়, যা আপনার স্মরণশক্তি কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। মানসিক চাপের মধ্যে বিষন্নতা সবচেয়ে মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। বিষণ্নতা আপনার মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা ক্ষমিয়ে ফেলে এবং রক্তে করটিসলের লেভেল বাড়িয়ে দেয়। করটিসেলের লেভেল বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়, বিশেষ করে হিপ্পোক্যাম্পাসের। যেখানে শর্টটার্ম মেমোরি সংরক্ষিত থাকে। তাই বিষণ্নতা সহ সকল মানসিক চাপ যতদূর সম্ভব কমিয়ে ফেলুন।


৩। পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চত করুন:

একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একটা চমৎকার ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে অধিক কার্যকরী করে তোলে। ঘুমের সময় সাম্প্রতিক সময়ের তথ্যগুলোকে মস্তিষ্কসংরক্ষণ করতে থাকে। আর ঘুমকে বলা হয় মেমোরি চার্জার। ঘুমের সময় আপনার মেমোরি পরবর্তী স্মৃতি ধরার জন্য প্রস্তুত হয়। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারেন।


৪। বিষয়গুলো লিখে রাখুন:

যে বিষয়গুলো স্মৃতিতে রাখতে চান তা লিখে ফেলার অভ্যাস করুন। একবার লেখা নাকি বিশবার পড়ার সমান। এটার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। লেখার সময় মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তপ্রবাহের পরিমান বাড়ে। তাই লিখে রাখুন ডায়রিতে, ইমেইলে বা ব্যক্তিগত ব্লগে।


৫। গান শুনুন:

অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন- স্মৃতির সাথে গান শোনার কী সম্পর্ক? গবেষকরা দেখিয়েছেন কিছু সংগীত স্মৃতিশক্তি বাড়াতে উপকারি। ব্যাপারটা এই রকম: কোন ঘটনার সময় আপনি যদি কোন গান শুনেন তবে পুনরায় সেই গান শোনার সময় সেই ঘটনার আবহের স্মৃতি আপনার মস্তিষ্কে জেগে উঠবে।


৬। পুষ্টিকর খাবার খান:

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন যুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তাজা ফলমূল, গাঢ় সবুজ শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, গমের রুটি প্রভৃতি প্রোটিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। পরিমান মতো বিশুদ্ধ পানি পান করুন। প্রচুর চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। বিশেষ করে বাসি-দূষিত খাবার খাবেন না। ওগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর ধূমপান ও মাদক সেবন থেকে বিরত থাকুন। এগুলো আপনার মস্তিষ্কের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর।


৭। অন্যকে শেখান:

নিজে যা শিখতে চাচ্ছেন। তা একবার শিখে নিয়ে অন্যকে শেখান। আরজনকে শেখাতে গিয়ে দেখবেন আপনার জানার ঘাটতিগুলো ধরতে পারছেন। আবার চর্চাও হবে আরেক জনকে শেখানোর মাধ্যমে। নতুন কিছু বিষয়ে আপনার কোন চিন্তা আরেকজনের সাথে শেয়ারও করতে পারেন। তাহলে আপনার স্মৃতিতে তা স্থায়ী হবে। লোকটাকে দেখা মাত্রই বিষয়টি আপনার স্মৃতিতে আসবে।



আর স্বাস্থ্য 

বাড়াতে--আপনি বেশি বেশি করে ক্যালোরিযুক্ত খাবার

 খান।  ভাতের বদলে ডাল এবং সবজিসহ রান্না

 করা খিচুড়ি খান । ভাত খেতে  হলে বসা ভাত

রান্না করুন কিংবা রাইস কুকারে রান্না করা ভাত 

খান । ফ্যান বা মাড় ঝরানো ভাত খাবেন না ।

  রুটি খাবেন না । পাউরুটি খেলে জেলি/জ্যাম

 অথবা মাখন সহ খান ।  প্রতিদিন ১০০ গ্রাম

 বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।প্রতিদিন কমপক্ষে

 ২৫০ গ্রাম দুধ খান ।  দিনে ২ টি ডিম খান ।

অতিরিক্ত চা কফি খাবেন না । কখনই খাবার

 বাদ দেবেন না । দ্রুত কোথাও যেতে হলে বা

  কাজ থাকলে পথে খাবারটা খেয়ে নিন । 

 খাবার বাদ দিলে শরীরের ক্ষতি হয় । তিনবেলা

খাওয়ার সাথে সাথে বিকালে নাস্তা করুন । 

এতেই আপনার স্বাহ্য মমোটা হহয়ে উঠবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ