প্রেম আর ভালবাসা মানুষের জীবনের এমন একটা অংশ যা তৈরি হয় সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে,মনের আন্তরিকতা,গভীরতা ও মায়া-মমতা থেকে,পিতা-মাতার,কিংবা ভাই- বোনের প্রতি এটা তৈরি হয় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইশারায় যাকে আমরা বলে থাকি নাড়ীর স্পন্দন কিংবা রক্তের সম্পর্ক. আর অন্যান্যদের জন্য প্রেম-ভালবাসা তৈরি হয় মনের অজান্তে যার মধ্যে নিহিত থাকে আবেগ,অনুভুতি এবং আকর্ষণ, প্রেম-ভালাবাসা হচ্ছে স্বর্গীয় এভাবেই মানুষের মনের মধ্যে প্রেম- ভালবাসা জন্মায়।
একটি ছেলে ও একটি মেয়ের সাথে প্রেম ভালোবাসা সৃষ্টি হয় মূলত, ভালো লাগা অন্যের প্রতি দুর্বলতা, আবেগ অনূভুতি, মায়া মমতা এইসব দৃষ্টি কোন থেকে একে অন্যের জন্য মনের অজান্তে । প্রথম দেখায় কখনোই প্রেম হয়না তাকে ভালো লাগা বলে আর ধীরে ধীরে সেই ভালো লাগা থেকেই ভালোবাসায় রূপান্তরিত হয়, মানুষ দুঃখ, কষ্ট শেয়ার করার জন্য একাকীত্ব দূর করার জন্য মূলত সঙ্গী খুঁজে যে তাকে বুঝবে ভালোবাসবে।
এ জগতের সমস্ত প্রাণীকূলে একমাত্র মানুষ-ই হচ্ছে পরিপূর্ণ আবেগসম্পন্ন জীব। শুধুমাত্র আবেগ নয় পাশাপাশি মানুষ তার বুদ্ধিমত্তা দিয়েও নিজেকে নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। সাধারনত বয়:সন্ধিকালে মানুষ প্রথম নিয়ন্ত্রনহীন আবেগ এর কাছে ধরা দেয়। এইসময় তারা যা ভাবে সেটাকেই সঠিক হিসেবে ধরে নেবার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়।যার কারণে দেখা যায় তাদের চেয়ে বয়স্ক কাউকে ভালো লাগা, বা প্রখ্যাত কোনো শিল্পী বা সাহিত্যিক-দের অসাধারণ কাজ দেখে তাদের প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া এগুলো কিন্তু স্বাভাবিক ব্যাপার না। বরং আবেগ নিয়ন্ত্রনের পরিপক্কতার অভাবের কারণে এইসময় মানুষ কিছুটা নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পরে যার ফলে কোনো ব্যক্তি বিশেষ বা ব্যক্তিত্বের প্রতি একধরনের ঘোর বা মোহ কাজ করে এবং কাল্পনিক একটা জগত বানিয়ে তার পছন্দের মানুষটিসহ নিজেকে নিয়ে নানারকম কল্পনার জাল বুনতে থাকে এবং ক্ষণে ক্ষণে শিহরিত হয় আর সেখান থেকেই তার প্রেমে-ভালোবাসা জন্ম।