শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মোটামুটি মাঝারি আকারের একটি ফানুস তৈরি করতে আমাদের লাগবে মাত্র ১২ টাকা। আর বড় ফানুস তৈরি করতে কয়েকটি কাগজ বেশি লাগতে পারে। কিন্তু একটি ফানুস তৈরি করতে ২০ টাকার বেশি খরচ হবেনা বললেই চলে। জায়গা ভেদে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কম বা বেশি হতে পারে। তৈরির প্রয়োজনীয় সামগ্রিঃ * - টিস্যু বা খুব পাতলা পেপার ঃ ফানুস তৈরির জন্য আপনার প্রথমেই প্রয়োজন হবে খুব পাতলা কাগজ। আপনি বড় কোন কাগজের দোকানে গিয়ে ঘুড়ির কাগজের কথা বললেই পেয়ে যাবেন। একটি ফানুস বানাতে সাধারনত কমপক্ষে চারটি কাগজ প্রয়োজন হয়। * - আঠা * - পেইন্ট ব্রাশ * - পাতলা তার * - বাঁশের পাতলা কঞ্চি * - কেঁচি * - ছুরি * - প্লাস বা তার কাটার যন্ত্র কার্যপ্রণালীঃ মাপঃ উপরের চিত্রে ফানুসের প্রকৃত আকার দেখানো হলো। আমাদের দেশে খুচরা বাজারে সাধারণত এতো বড় মাপের কাগজ পাওয়া যায় না। আপনি প্রয়োজনে আপনার কাগজ জোড়া দিয়েও এই আকারের ফানুস তৈরি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কাগজগুলোর আকার দৈর্ঘ্যে কমপক্ষে ৪০ ইঞ্চি আর প্রস্থে ২২ ইঞ্চি হওয়া প্রয়োজন। অথবা, আমাদের দেশে সাধারনত দিস্তা হিসেবে যেগুলো কাগজ পাওয়া যায় সেগুলোর আকার হয় সাধারণত দৈর্ঘ্যে ৩০ ইঞ্চি আর প্রস্থে ১৮ ইঞ্চি। এগুলো দিয়েও তৈরি করতে পারবেন। ১/ কাগজ কাটার নিয়মঃ - প্রথমে চারটি বড় টিস্যু পেপার একটি আরেকটির উপর একসাথে রাখুন - এরপর এটি লাম্বালম্বি দুই ভাজ করুন - এরপর এটি কেঁচি দিয়ে ঘণ্টার মত করে চিত্র অনুযায়ি কাটুন একটু বিস্তারিতই বুঝিয়ে দেই এভাবে সব গুলো কাগজ মাঝ বরাবর ভাজ করুন। - ছোট আকারের কাগজ হলে কাগজগুলো দৈর্ঘ্য ৩০ ইঞ্চি, মাঝখানে (১৮/২)= ৯ ইঞ্চি এবং শেষে (১২/২)= ৬ ইঞ্চি আকারে কেটে নিন। বড় আকারের কাগজে করতে হলে ভাজ করা কাগজগুলো দৈর্ঘ্য ৪০ ইঞ্চি, মাঝখানে (২২/২)= ১১ ইঞ্চি এবং শেষে (১২/২)= ৬ ইঞ্চি আকারে কেটে নিন। কাগজ গুলো কাটার পর দেখতে এমনি হবে - আপনার কাছে চারটি বড় আকারের ঘণ্টা আকৃতির কাগজ থাকবে । বডি তৈরিঃ এবার একটি কাগজ আলাদা করে নিয়ে চিত্রের মত কাগজটির এক পাশে আঠা লাগান। কাগজটি ভালোভাবে বসিয়ে উপরের কাগজটির আর এক পাশ উল্টিয়ে নিন। এবং র্পুরের ন্যায় আবার আঠা লাগান । **** যেহুত ৩ টি কাগজ লাগানো হয়ে গেছে। তাই চিত্রের মত শেষে লাগানো কাগজটির আর প্রথমে লাগানো কাগজটির উভয়টির কিনারে আঠা লাগিয়ে নিন এভাবে-- শেষ ধাপে আগের মত করেই ৪ নং কাগজে শেষ কিনার আর ১ নং কাগজের প্রথম কিনার জুড়ে দিন। আঠা শুকাতে দিন। আঠা শুকিয়ে গেলে খুলে দেখুন ফানুসের প্রায় তৈরি। বডির ফ্রেম তৈরিঃ - এরপর বাঁশের পাতলা কঞ্চি নিয়ে সেটা কাগজের যে পাশে খোলা আছে সে পাশের মাপমত করে একটি গোলাকার চাকতি তৈরি করুন।আপনি ইচ্ছা করলে জি আই তাঁর দিয়েও ফ্রেমটি তৈরি করতে পারেন। এখন জি আই তার নিয়ে চার ফুট আকারে একটুকরা তার কেটে নিন। তারপর তারটি পেচিয়ে গোল করুন। তারের মাথা দুটি একসাথে আটকে দিন। ছোট আকারের আরো দুটি তার কেটে নিন। সেগুলো চিত্রের মত গোল তারটির সাথে আটকে দিন। চিত্রের ন্যায় একটি ফ্রেম আপনি নিজেই এখন তৈরি করে ফেলেছেন এখন পালা ফানুসের বডির সাথে ফ্রেমের জোড়া দেওয়া আঠার আস্তরনটা খুব বেশি ভারি করে ফেলবেন না। ফানুসের বডির সাথে ফ্রেমটি ভালো ভাবে জোড়া দিন। খেয়াল রাখবেন, সব সাইডে ভালো ভাবে আঠা লাগে এবং কোন সাইডে যেন লিক না থাকে ফ্রেমের গোঁড়ায় । ফানুস ওড়ানোর জন্য প্রয়োজন ফানুসের জ্বালানিঃ কেউ কেউ ছোট ভালো মোমবাতিও ব্যাবহার করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় নিজে জ্বালানি তৈরি করে নিলে।বাজারে খোলা মোম পেতে পারেন র্হাডওয়্যারের দোকানে।র্ফামেসির দোকার থেকে ব্যান্ডেজ সংগ্রহ করুন। কিছু মোম (পরিমাণ মত) একটা পাত্রে গরম করুন। মোম গোলে গেলে ৬-৭ ইন্সি ব্যান্ডেজ কেটে নিয়ে গোলিত মোমের ভিতরে ছেড়ে দিন। ভালো ভাবে মোম ব্যান্ডেজে মাখিয়ে নিন। তারপর ব্যান্ডেজটি শুখাতে দিন। শুখালেই তৈরি হয়ে গেলো আপনার কাংখিত জ্বালানি। এবার ফানুস উড়াবার পালা। তৈরি করা ফানুসের মধ্যে যেখানে জি আই তার দুটি পরস্পরকে ক্রস করেছে সেখানে জ্বালানির তারটির সাহায্যে জ্বালানিটি বেধে দিন। সবইতো শেষ বসে আছেন কেনো ? আগুন ধরিয়ে দিন এবার জ্বালানিতে আগুন ধরিয়ে দিন। কিছুক্ষণ আগুন জ্বললেই ফানুসটি ফুলে উঠবে। তারপর আস্তে আস্তে উপরের দিকে টান বাড়বে। কিছুক্ষন ধরে থাকুন। টান বেড়ে গেলে আস্তে করে ছেড়ে দিন। ফানুস আস্তে আস্তে উপরে উঠে যাবে। সুত্র:সামহ্যোয়ার ব্লগ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ