শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

জিন: জিন একটি আরবি শব্দ, যার আক্ষরিক অর্থ এমন কিছু যা গুপ্ত, অদৃশ্য, অন্তরালে বসবাসকারী বা অনেক দূরবর্তী। জিন জাতি হচ্ছে ইসলাম ধর্মের মূল গ্রন্থ কোরআনে বর্ণিত একটি জীব বা সৃষ্টি। কুরআনের ৭২তম সুরা আল জ্বিন এ শুধু জিনদের নিয়ে কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সূরা আন নাস এর শেষ অংশে জিন জাতির উল্লেখ আছে।

জিনদের না দেখতে পাওয়ার কারন: কুরআন এবং হাদীসের মতে জিনদের তৈরি করা হয়েছে ধোঁয়াবিহীন আগুন (আরবি শব্দ- 'নার') হতে। আবার অনেকে বলেন, জিনেরা গামা রশ্মি বা এমন কোন জাতীয় তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের দ্বারা তৈরি। অনেক তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যেমন অবলোহিত, মাইক্রো ওয়েভ, ঢ-জধু, গামা রশ্মি আমরা খালি চোখে দেখতে পাইনা। জ্বীন ফেরেশতা হয়ত এমন কোন সূক্ষাতি সুক্ষ তরঙ্গ যাদেরকে কোন যন্ত্রপাতি দ্বারাও দেখা যাবে না।

অন্য একটি জোড়ালো বক্তব্য হল, জিনেদের ঘনত্ব এত কম যে এরা অনেকটা বায়বীয় পদার্থের মতো। এই কারনে এদের খালি চোখে দেখা যায় না।

কিছু কিছু মানুষের দেখতে পাওয়ার কারন: কিছু কিছু মানুষের জিনদের দেখতে পাওয়ার কয়েকটি কারন আছে। এরমধ্যে একটি কারন হল, জিনরা যখন নিজেদের আকার পরিবর্তন করে ছোট কোন কিছুর (যেমন: সাপ, পাখি, মানুষ ইত্যাদি) আকার ধারন করে তখন এদের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়, ফলে দৃশ্যমান হয়ে উঠে। আরেকটি ব্যাপারটি হল, জিনরা নিজেদের ইচ্ছামত মানুষের শরীরে প্রবেশ করে রক্তে মিশে যেতে পাশে। যার ফলাফল, এরা মানুষের ব্রেনকে নিজেদের মতো করে ব্যাবহার করতে পারে (যেটাকে আমরা গ্রাম্য ভাষায় জিনে ধরা বলি)। একজন মানুষকে নিজের ইচ্ছা মতো পরিচালনা করতে পারা মানেই তার চোখে নিজেকে দৃশ্যমান অথবা অদৃশ্য করে রাখতে পারা।

এব্যাপারে আল্লাহই ভাল জানেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ