পরীক্ষার খাতার লেখা দেখেই যেন পরীক্ষকের ভালো লাগে এমনভাবে খাতায় উত্তর লিখতে হবে।
অনেকে পরীক্ষার খাতায় নানা রঙের কলম ও কালি ব্যবহার করে থাকে। এতে সময় যেমন নষ্ট হয় তেমনি খাতার উপস্থাপনার সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। তাই তোমরা এ রকমটি করবে না। মার্জিন করার ক্ষেত্রে একটি ভালো মানের পেনসিল ব্যবহার করবে। বিশেষ পয়েন্ট চিহ্নিত করার জন্য সবুজ, নীল বা হলুদ যে কোনো একটি অথবা তোমার লেখার কলম অথবা মার্জিনের পেনসিলটিও ব্যবহার করতে পার। মনে রাখবে, নানা রকম অতিরঞ্জিত কালি ব্যবহার করলে খাতার সৌন্দর্য নষ্ট হবে এবং তা নম্বর প্রাপ্তিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। পরীক্ষার খাতায় লিখতে গিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর যদি পৃষ্ঠার শেষাংশে গিয়ে সমাপ্ত হয় তবে অন্য পৃষ্ঠায় গিয়ে পরবর্তী প্রশ্নের উত্তরটি লিখতে হবে। লেখার সময় উপরে ও বামপাশে একস্কেল এবং নিচে ও ডানপাশে হাফস্কেল জায়গা ফাঁকা রাখবে
অনেক সময় লিখতে গিয়ে ভুল হয়। সেক্ষেত্রে একটানে ভুল লেখাটি কাটবে এবং সামনে থেকে পরবর্তী লেখা শুরু করবে। অহেতুক একাধিক ক্রসচিহ্ন বা কাটাকাটি করবে না। যে কোনো বিষয় লেখার সময় একটি কথা খেয়াল রাখবে, ণ এবং শ, স, ষ ইত্যাদি ব্যবহার ঠিকমতো হল কিনা। কারণ এগুলোর ক্ষেত্রে বানান ভুল হয়। যদি কেউ এগুলো শুদ্ধ করতে পার তবে যিনি খাতা মূল্যায়ন করবেন পরীক্ষার্থী সম্পর্কে তার ধারণা ভালো থাকবে এবং নম্বর প্রাপ্তিতে সহায়ক হবে।
পরীক্ষার খাতায় বেশি নাম্বার পাবার জন্য মার্জিন কোন জরুরী বিষয় নয়, আপনি যেটা দিয়ে টানেন না কেন মার্জিনের জন্য নাম্বার পাবেন না। ভাল নাম্বার পেতে হলে যা করবেনঃ ১.সুন্দর স্পষ্ট হাতের লেখা, হাতের লেখা যেরকম হোক না কেন স্পষ্ট ভাবে লেখার চেষ্টা করবেন। ২.প্যারা করে লেখার চেষ্টা করবেন হাতের লেখা সুন্দর দেখাবে। ৩.লাইন সোজা করে লিখবেন,অনেকে লিখে এক লাইনে আর লাইনে চলে যায় এটি খুব খারাপ অভ্যাস। ৪.প্রশ্নে যে রকম চেয়েছে তাই বুঝিয়ে লেখার চেষ্টা করুন। ৫.কাটা ছেঁড়া কম করার চেষ্টা করবেন, কাটা গেলে একটান দিয়ে কাটবেন। ৬.এক রকম কথা বার বার লিখে পৃষ্ঠা ভরবেন না। ৭.সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রন করবেন না। ৮.হাতের লেখা একদম বড় আবার একদম ছোট করবেন না মাঝারী আকারে লেখার চেষ্টা করবেন। এভাবে লিখতে পারলে ভাল নাম্বার পাওয়ার আশা করা যায়।