হ্যাঁ পারে। এই বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে উপজেলা নির্বাচন অফিস (উপজেলা নির্বাচন অফিস উপজেলা অফিসেই অবস্থিত হয় সাধারণত)। সেখানে গিয়ে আপনার সমস্যা বলুন। তার আগে একটা জিডি করার প্রয়োজন হবে। সাথে জন্ম নিবন্ধন কার্ড নিয়ে যাবেন। হারানো আই. ডি. কার্ডের ফটোকপিটা আপনার কাজ আরো সহজ করে দিতে পারে।তাই ওটাও নিবেন।

Talk Doctor Online in Bissoy App
Call

১. প্রথমেই স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জি.ডি) করেন। জি.ডি-এর ভাষা হবে নিম্নরূপ:


তারিখ: ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১২

বরাবর
কর্তব্যরত অফিসার,
মোহাম্মদপুর থানা,
মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

বিষয়: একটি সাধারণ ডায়েরী করার জন্য আবেদনপত্র।

মহোদয়,

বিনীত নিবেদন এই যে, আমি মো: আপেল মিয়া (পিতা: মো: আঙ্গুর আলী, মাতা: মোছাম্মৎ পেয়ারা বেগম, স্থায়ী ঠিকানা: ৭, আওরঙ্গজেব রোড, পোস্টঅফিস এবং থানা: মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭, অস্থায়ী ঠিকানা: ৩৭/১, তাজমহল রোড, পোস্টঅফিস এবং থানা: মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭) আপনার থানার অন্তর্গত এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা। বিগত ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ইং তারিখে নিজ বাসা হতে আনুমানিক সকাল ১০ টা থেকে আমি আমার জাতীয় পরিচয়পত্রটি খুঁজে পাচ্ছিনা। আমার উক্ত জাতীয় পরিচয়পত্রের ID নম্বরটি ১২৩৪৫৬৭৮৯১২৩৪।

অতএব নিবেদন এই যে, উক্ত বিষয়টি একটি সাধারণ ডায়েরী করে বাধিত করবেন।

নিবেদক,


(সাক্ষর)
মো: আপেল মিয়া
৭, আওরঙ্গজেব রোড,
পোস্টঅফিস এবং থানা: মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।
মোবাইল: ০১xxx xxx xxx


ক. প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, যে কাগজে জি.ডি লেখা হবে, সে কাগজটির বাম দিকে দুই ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা রাখতে হবে।
খ. জি.ডি -এর মূল কপিটির একটি ফটোকপি করে থানায় মূলকপির সাথে অবশ্যই ফটোকপিটি নিয়ে যেতে হবে। ডিউটি অফিসার মূলকপি এবং ফটোকপি - দুইটাতেই সই-সিল দিয়ে ফটোকপিটি আপনাকে দিয়ে দেবেন।
গ. যদি জি.ডি -এর মূলকপি এবং ফটোকপি থানায় না নিয়ে যান, তাহলে থানার ডিউটি অফিসার সেটি লিখতে সাহায্য করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাকে কিঞ্চিত দক্ষিণা দেওয়াটা তখন ফরজ হয়ে দাঁড়াবে।

২. এরপর সুমনভাই এবং আমি গেলাম ঢাকা জেলা নির্বাচন অফিস, ৬৭, পশ্চিম আগারগাঁও (পানির ট্যাঙ্কি মোড়)। ওখানে গিয়ে জানতে পারলাম, যেহেতু সুমন ভাইয়ের খুঁজে না পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের ID নম্বরটি (১২৩৪৫৬৭৮৯১২৩৪) তিনি জানেন, তাই সেই অফিসে বিশেষ আর কোন কাজ নেই। তবে যদি কারও নম্বরটি জানা না থাকে, তাহলে উক্ত অফিসে গেলেই নম্বরটি জেনে নেওয়া যাবে। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোর ক্ষেতে স্থানীয় জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

৩. এরপর আমরা গেলাম আগারগাঁও কম্পিউটার কাউন্সিল বিল্ডিং সংলগ্ন ইসলমিক ফাউণ্ডেশন অফিসের ৭ম তলায়। অনুসন্ধানে খোঁজ নিতেই সেখানে কর্তব্যরত কর্মচারী কয়েকটি ফরম হাতে ধরিয়ে দিলেন। সেগুলো পূরণ করে জিডি কপিসহ নির্ধারিত কাউন্টারে জমা দেবার পর আজ থেকে দুই সপ্তাহ পরের একটি তারিখে এই অফিস থেকেই জাতীয় পরিচয়পত্রটি সুমনভাই হাতে পাবেন বলে জানা গেল।

উক্ত অফিসে আরও জানতে পারলাম, কারও জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনপ্রকার ভুল থাকলে ইসলমিক ফাউণ্ডেশন অফিসের ৭ম তলাতেই সেটি ঠিক করে নেওয়া যাবে।

শুধু সিষ্টেম উল্লেখ করেছি ,ঙ্কাজগুলো নিজে করে নিন

Talk Doctor Online in Bissoy App