ত্বকের রঙ একটু ফর্সা করতে কে না চায়? বিশেষ করে প্রতিদিনের দিনযাপনে যাদের সুন্দর গায়ের রঙটা ক্রমশ কালচে হয়ে পড়েছে, তাঁদের যেন আফসোসের শেষ নেই। কিন্তু বিউটি পার্লারে রঙ ফর্সা করার ট্রিটমেনটে যে অনেক খরচ! চিন্তা করবেন না, আপনার জন্য বিউটি পার্লার আজ আমরা নিয়ে এলাম ঘরেই! বলতে গেলে প্রায় বিনা খরচেই নিজের গায়ের রঙ ফর্সা করে ফেলতে পারবেন আপনি, তাও একেবারে প্রাকৃতিকভাবে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই! কীভাবে? চলুন, জেনে নিই এমন তিনটি উপায় যা আপনি আগে জানতেন না!
আলু একটি অসাধারণ উপাদান রঙ ফর্সা করার ক্ষেত্রে। আর খুব সস্তা এই উপাদানটি সকলের ঘরেই সর্বদা থাকে।
হ্যাঁ, কাঁচা পেঁপের মত খুব সস্তা ও সহজলভ্য উপাদানটি আপনার রঙ ফর্সা করতে অত্যন্ত কার্যকর। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি!
ভাতের পাতে লেবু ছাড়া চলেই না? এবার একে ব্যবহার করুন রূপচর্চাতেও!
টিপস
ত্বকের ফর্সা রঙ ধরে রাখতে চাইলে রোদে গেলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ও ছাতা ব্যবহার করুন।
তথ্য stylecraze.com
9 Easy Homemade Skin Lightening Remedies
মধুঃ ত্বকের যত্নে এবং উজ্জ্বল, সুন্দর ত্বক পেতে বহুল প্রচলিত এবং উত্তম পদ্ধতি হল মধুর ব্যবহার। একচামচ মধু নিন। মুখের ত্বকে লাগান। আস্তে আস্তে বৃত্তাকারে মেসেজ করুন। এইভাবে দিনে দুইবার সকালে আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করুন। সপ্তাহ দুই পরে আপনি দেখবেন আপনার ত্বক কেমন উজ্জ্বল আর সোনালী রঙ ধারন করছে। তবে মনে রাখবেন এখানে শুধুই মধু কথা বলা হয়েছে, মধুর সাথে দুধ মিশানোর কথা বলা হয় নি। পেঁপেঃ আপনারা হয়তো আগেই জেনে থাকবেন পেঁপের কথা। হ্যাঁ, পেঁপে খাওয়ার উপকারীতা আমরা সবাই জানি। তবে এটা আপনার ত্বকের জন্যও আশির্বাদস্বরুপ। এটাকে টপিক্যাল মেডিসিন হিসাবে ব্যবহার করা হয়। জানেন কি টপিক্যাল মেডিসিন কি? টপিক্যাল মেডিসিন হচ্ছে যা কিছু বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়। ত্বকের যত্নে পেঁপে যেহেতু বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়, সুতরাং পেঁপে একধরনের টপিক্যাল মেডিসিন। একটা পেঁপে নিন। খোসা ছাড়িয়ে নিন। শাঁসটা পিষে ঘন পেস্টের মত করুন। মুখে লাগান। ইচ্ছে করলে আপনি এই পেস্ট আপনার বাহু কিংবা যেসব স্থান রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে গেছে, সেসব স্থানেও লাগাতে পারেন। ১ ঘন্টা এভাবে রাখুন। আপনি যদি ব্যস্ত মানুষ হয়ে থাকেন বা আপনার হাতে সময় কম, সেক্ষেত্রে পেস্ট লাগিয়ে রেখে অন্যান্য কাজ করতে থাকুন কিংবা সকালে অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকুন। ১ ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কমপক্ষে ৩ মাস ব্যবহার করুন। পার্থক্যটা দেখুন। তুলসিঃ তুলসিকে বলা হয় ঈশ্বরের দান। এটা খেলে অনেক রোগের উপসম হয়। তবে ত্বকের জন্যও এটা এক বিস্ময়। যারা তুলসির রস ত্বকে ব্যবহার করেন তারা বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করেন, সাথে সাথে স্বাভাবিক ত্বকও হয় আরো সুন্দর আর লাবন্যময়। কাজেই রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যাওয়া প্রতিকারে অব্যর্থ ঔষধ তুলসির রস, সাথে উপহার সুন্দর ফর্সা ত্বক। তুলসির কিছু পাতা নিন। শীল-পাটা দিয়ে বেটে কিংবা পিষে পেস্ট করুন। আস্তে আস্তে ত্বকে লাগান। কয়েক মিনিট রেখে হালকা কুসুম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ৩ সপ্তাহ লাগান।
আসুন জানি প্রাকৃতিকভাবে রঙ ফর্সা করার দুটি পদ্ধতি। ভেতর থেকে রঙ করুন উজ্জ্বল রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন। এভাবে পান করতে না পারলে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ পান করলে আপনার রং হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা। দুধে কাঁচা হলুদ বাটা না মিশিয়ে করতে পারেন আরেকটি কাজ। দেড় ইঞ্চি সাইজের এক টুকরো হলুদ নিন। তারপর টুকরো করে কেটে এক গ্লাস দুধে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধে গাঢ় হলুদ রঙ ধরলে পান করুন। এভাবে প্রতিদিন একবার পান করবেন। রূপচর্চায় হলুদ শুধু দুধের সাথে নয়, বাহ্যিক রূপচর্চাতেও হলুদ আপনার রঙ পরিষ্কার করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে কালচে ছোপ দূর করতে এই পদ্ধতি খুব কার্যকর। উপকরণ দুধ তিন টেবিল চামচ, লেবুর রস এক টেবিল চামচ, এবং কাঁচা হলুদ বাটা এক চা চামচ কীভাবে ব্যবহার করবেন? দুধ, লেবুর রস ও হলুদ গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন বা পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে এই পেস্ট ভালভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। গরম জলে মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা রোদে যাবেন না।