বিশ্বাস আর ভালোবাসার সমন্বয়ে মানুষের জীবন। এ দু’টির মধ্য হতে একটিতেও যদি ঘুণে ধরে তাহলে সেটা কোন স্বাভাবিক জীবনযাত্রা হতে পারে না। বিশ্বাসের কয়েকটা স্তর রয়েছে। (এক) নিজের প্রতি বিশ্বাস। (দুই) অপরের প্রতি বিশ্বাস। হিসেব করলে দেখা যায় পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী বস্তুটার নাম হচ্ছে “বিশ্বাস” এই বস্তুতা না হলে পৃথিবীর সব কিছুই যেন মূল্যহীন। জীবনের প্রথম চোখটা মেলে যখন মা’কেদেখেছিলাম তখন জানতাম না তিনিই আমার মা। মহান রাব্বুল আলামীন ছোট্ট মনটার ভেতর এমন একটা বিশ্বাসের অঙ্কুর একে দিলেন যে অনায়েসেই মেনে নিলাম তিনিই আমার মা। তাইতো পরম নির্ভরতায় মায়ের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে থাকতাম। মায়ের কোলটা ছিল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নিরাপদ স্থান। কেমন যেন বুঝতে পারতাম, মা নিজে কষ্ট করবেন কিন্তু আমার শরীরে একটা ফুলের আঁচড়ও কাটতে দিবেন না। কারণ ফুলের মধ্যেও যে জীবাণু থাকতে পারে।প্রথম যেদিন বাবাকে দেখেছিলাম, কেমন ভয়াতুর , প্রশ্নবোধক দৃষ্টি নিয়ে মায়ের দিকে চেয়েছিলাম। মা মুচকি হেসে আমার প্রশ্নের আধা জবাব দিয়ে দিলেন।কারণ মায়ের হাসি দেখে ততক্ষনে ভয়টা কেটে গেছিলো আমার। আমিও ঠোঁট বাঁকিয়ে একটু হেসে ফেললাম। এবার মা পরিচয় করিয়ে দিলেন – ইনি তোমার বাবা। এই মানুষটাও তোমার মায়ের সাথে সাথে পাক্কা নয় মাস দশদিন তোমার অপেক্ষার প্রহর গুনেছন।কতশত স্বপ্ন বুনেছেন তোমাকে নিয়ে।এবার বাবার হাসিটাকেও পরিচিত মনে হল আমার কাছে। দুই তিন মাস পর যখন পিটপিট করে ঘুরে ঘুরে এদিক সেদিক তাকাতে শিখলাম, তখন ছোট্ট মনটায় আরেকটা বিশ্বাসের রেখা অঙ্কুরিত হল। সেটা হল এই আমার পৃথিবী। এই বিছানা , এই চাদর । ঠিক উপরের দিকটায় টুকটুকে লাল একটা কাগজেরফুল। তাইতো ঘুম থেকে জেগেই এখন চিৎকার করে কাঁদি না। মাথার উপর ঝুলে থাকা টকটকে লাল ফুলটার দিকে চেয়ে থাকি, আর হাত পা ছুড়াছুড়ি করে আপনমনে খেলি।কিন্তু খিদে পেলে ঠিকই ওয়া ওয়া করে কেঁদে আমার খিদার জানান দেই।জানতাম না কাঁদলে মা খাবার দিবে না।এই হল আমার নিজের উপর বিশ্বাসের প্রাথমিক স্তর। সেই থেকেই শুরু। ধীরে ধীরে আমার বেড়ে ওঠা, হাঁটতে শেখা।এবং এই পর্যন্ত এসে পৌছা। নয়তো প্রথম কদমে যখন ধপাস করে পড়েগেছিলাম, তখন আর উঠে দাঁড়ানো হতো না যদি নিজের উপর আত্মবিশ্বাস না থাকতো। এসবই হল বিশ্বাস আর ভালোবাসার চাদরে মোড়ানো। এরকম জিনিস টা বিশ্বাস তারপ্রতি প্রবল বিশ্বাস রাখুন সব রকমের হীনমনতা দূর হয়ে যাবে।
এটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার, কোন মেয়ে ই তার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে অন্য কোন মেয়ে কে সহ্য করবেনা। সেই মেয়ে ফ্রেন্ড হোক বই অন্য কিছু। আপনি বলতেছেন যে আপনার ভালোবাসা আছে কিন্ত সন্দেহ করতেছেন; দেখুনঃ সন্দেহ+ভালোবাসা দুটি একসাথে হওয়া সম্ভব না। হ্যা আপনি তাকে ভালোবাসেন কিন্ত তার প্রতি হাল্কা সন্দেহ হতে শুরু করেছে এটা হতে পারে। আপনি এই সন্দেহ জিনিষ টাকে বেশী আগাতে দিয়েন না। আপনি আপনার বয়ফ্রেন্ড এর খোজ নিন ভালোভাবে। তার কোন বন্ধু-বান্ধব থেকে তার খোজ নিন যে সে কি করে! সে কি আদৌ একাধিক সম্পর্ক নিয়ে আছে নাকি? (অবশ্যইই তার এমন কোন ফ্রেন্ড থেকে খোজ টা নিবেন যে আপনাকে সত্য কথা টা ই বলবে।) আর আপনার নিজের অবস্থা টা আপনার বয়ফ্রেন্ড কে বুঝানোর ট্রাই করুন যেঃ দেখ আসলে আমি সহ্য করতে পারিনা কাউকে তোমার সাথে। যদি তার মাথায় ঘিলু থাকে তাহলে সে হয়তো আপনার কষ্ট টা বুঝবে এবং সে কিছু একটা বেবস্থা নিবে। আর যদি এমনটাই চলতে থাকে তাহলে আপনি নিজে থেকেই তার থেকে সরে যান। এমন কারো সাথে ভবিষ্যৎ ভাবা যায়না যে কি না তার সাথির সামান্য কষ্ট টুকু/তার কারণ বুঝে না/বুঝতে চেষ্টা ও করেনা।