AbdulHalim

Call

জারণ-বিজারন বিক্রিয়া রসায়নের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রায়ই এই জারণ বিজারন বিক্রিয়া তালগোল পাকিয়ে যায়। কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে জারন-বিজারন বিক্রিয়া একদম পানির মত পরিষ্কার হয়ে যাবে,কথা দিচ্ছি। প্রথমে জারন বিক্রিয়ার প্রসঙ্গে আসা যাক। জারন বিক্রিয়াটা আসলে কি? সহজ কথায়, বিজারক জারিত হওয়াই জারন বিক্রিয়া। অর্থাৎ, বিজারক,জারিত, জারন- এ তিনটি শব্দ সম্পর্কযুক্ত। তাই এই তিনটি শব্দ আলাদা রাখতে হবে। এখন, চারটি উপায়ে বিজারক জারিত হতে পারে,অর্থাৎ জারন ঘটতে পারে। উপায় চারটি হল – ১)ইলেকট্রন ত্যাগ করে। ২)ঋণাত্মক মূলক বা আয়ন যোগ করে। ৩) ধনাত্মক আয়ন অপসারণ করে। ৪) সক্রিয় যোজনীর বৃদ্ধি ঘটিয়ে। মোটামুটি এই চারটি উপায়ে জারন ঘটে থাকে। উদাহরণের মাধ্যমেই বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে। Cu + H²SO⁴=CuSO⁴ + H² এই বিক্রয়ায় দেখা যায়,কপার পরমানু দুইটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Cu²+ আয়নে পরিণত হয়। কপার ইলেকট্রন ত্যাগ করে বলে এর জারন ঘটেছে। আগেই বলেছি যে,জারন কথাটির সাথে বিজারক ও জারিত কথাটি সম্পর্কযুক্ত। তাই আমরা এটাও বলতে পারি যে,এই বিক্রিয়ায় কপার বিজারক এবং এটি জারিত হয়। উপরের বিক্রিয়াটা আরো মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে যে,এখানে কপারের সাথে ঋণাত্মক সালফেট আয়নের সংযোগ হয়েছে। ঋণাত্মক আয়ন যোগ হওয়ার কারনে বলা যায়,কপারের জারন ঘটেছে,কপার জারিত হয়,এটি বিজারক। আবার বিক্রিয়কে কপারের জারন সংখ্যা শূন্য আর উৎপাদে +2 । অতএব কপারের জারন সংখ্যার বৃদ্ধি হয়েছে। । । তাই এ উপায়েও বলা যায়,কপার বিজারক, এটি জারিত হয়,এর জারন ঘটে। ১,২ আর ৪ নং উপায়ের ব্যাখা দিলাম। ৩ নং উপায়ের ব্যাখা জানবার জন্য আমরা আরেকটা বিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করি। 2Cu²O + O²= 4 CuO এ বিক্রিয়ায় Cu²O থেকে একটি ধনাত্মক কপার পরমানুর অপসারন ঘটেছে। তাই Cu²O বিজারক,এটি জারিত হয় এবং এর জারন ঘটে। এবার বিজারন বিক্রিয়ার প্রসঙ্গে আসা যাক। বিজারন বিক্রিয়া জারন বিক্রিয়ার ঠিক উল্টো। জারক বিজারিত হলে তাকে বলা হয় বিজারন বিক্রিয়া। অর্থাৎ বিজারন, বিজারিত ও জারক এই তিনটি শব্দ সম্পর্কিত। চারটি উপায়ে জারক বিজারিত হতে পারে,অর্থাৎ বিজারন ঘটতে পারে। উপায় চারটি হল- ১)ইলেকট্রন গ্রহন করে। ২)ধনাত্মক আয়ন যোগ করে। ৩)ঋণাত্মক আয়ন অপসারন করে। ৪) সক্রিয় যোজনীর হ্রাস ঘটিয়ে। উপায় চারটি ব্যাখা করার জন্য বিক্রিয়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে। Zn + CuSO⁴= ZnSO⁴ + Cu CuO +C= Cu + Co চিন্তা করার দায়িত্ব আপনার। চিন্তা করলেই ব্যাখা দিতে পারবেন। জারন বিক্রিয়ায় চারটি উপায়ের ব্যাখা দেয়া হয়েছে। জারন বিক্রিয়া বুঝতে পারলে বিজারন বিক্রিয়া বুঝতেও কোন অসুবিধা হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

জারণ প্রক্রিয়ায় : Electron দান ঘটে,

বিজারণ প্রক্রিয়ায় :Electron গ্রহণ ঘটে (মনে রেখো-- জা-দা বি-গ)

আর জারক :Electron গ্রহণ করে

বিজারক :Electron ত্যাগ করে (মনে রেখা-- জা-গ্রত বি-দ্বান)

যেমন: প্রশ্ন করি হ্যালোজেন গুলো জারক না বিজারক?সাধারণত হ্যালোজেন গুলো যেমন ক্লোরিন আন্ত:হ্যালোজেন বিক্রিয়া বাদে

কি কখোন কি কোন বিক্রিয়ায় Cl+ আয়নে পরিণত হতে পারে? অবশ্যই না।

ক্লোরিন সবসময় Cl- (ক্লোরাইড ) আয়নে পরিণত হয় একটি ইলেক্ট্রন গ্রহণ করে।

সুতরাং,জা-গ্রত বি-দ্বান অনুসারে এটি electron ‘গ্র‘হণ করায় এটি ‘জা‘রক।

আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো কবির স্যারের বই থেকে সারণি ৫.১ অবশ্যই পড়া চাই।বিশেষ করে KMnO4 এর ক্ষেত্রে এসিড, ক্ষারক,প্রশম মাধ্যমে কিসে পরিবর্তিত হয়......... এটা একাডেমিক পড়াশুনায় কাজে না দিলেও ভর্তি পরীক্ষায় খুবই গুরুত্বপুর্ণ। আয়োডোমিতি -আয়োডিমিতি ভালো করে রপ্ত করে নেবে।পারলে থায়োসালফেটের সাথে আয়োডিনের বিক্রিয়া মনস্থ রাখবে, এটা খুব কাজে দেবে,পার-অক্সাইড জারক/বিজারক হিসেবে কি রুপে এবং কিভাবে কাজ করে সেটা দেখে নেবে অবশ্যই।

জারণ বিজারণ যুগপৎ ঘটনা এটা সবাই জানি।তাই এ বিষয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট পেতে হলে আগে যে কোন একটা নিয়ে গবেষণা করা দরকার।আগে জারণ কেই ধরা যাক।

জারণ কিছুই না সোজা ভাষায় জারণ মানে ছাড়ন...অর্থাৎ জারণ মানে কোন রাসায়সিক সত্তা(মৌল,আয়ন অথবা যৌগমুলক) কর্তৃক ইলেক্ট্রন ছাড়ন বা ত্যাগ।

অপরদিকে বিজারণ হলো ইলেক্ট্রন গ্রহণ,যে রাসায়নিক সত্তা ইলেক্ট্রন গ্রহণ করে সে জারক

‪#‎যার‬ বিজারণ হয় সেই জারক।এতো গেলো সহজ বাংলা .........এবার একটু জটিলে যাই।

জারণ বিজারণে কিছু প্রধান এবং ভেজালী কিছু কনসেপ্ট হলো--

১.জারক বিজারক চেনা

২.জারন বিভবের ধারণা

৩.বিক্রিয়া সমতা

১.জারক বিজারক চেনা:এদের চেনার ক্ষেত্রে এদের ক্রিয়াশীল অপর বিক্রিয়ক কে সেটা দেখতে হয়......তবে ইন্টার লেভেলে ও অ্যাডমিশন এর জন্য সাধারণত KMnO4,K2Cr2O7,H2O2,আয়োডিন, ‘ইক’ ধাতব আয়ন সমূহ ইত্যাদি জারক হয়।

২.জারণ বিভব: এই ধারণা টি চ্যাপ্টার ১২ এ গিয়ে অনেক কাজে আসে , কিন্তু এটা নিয়ে প্রায়ই কনফিউশন সৃষ্টি হয়।

বিভব কি? বিভব মানে কাজ,আর কাজ হলো শক্তি সৃষ্টির কারণ ।তাহলে বলা যায় ,জারণ বা বিজারণের ফলে নির্গত বা সৃস্ট শক্তি কে জারণ বা বিজারণ বিভব বলে।

এখানে লক্ষণীয় যে .....তাপ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ডেলটা H এর মান +ve হলে শোষণ বুঝায়, কিন্তু জারণ ও বিজারণ বিভবের ক্ষেত্রে +ve মান শক্তি নির্গমন বুঝায় ।আর এই কারণেই কোষ বিভব যতো পজিটিভ হয়,বিক্রিয়া তত শক্তিশালী হয়।

যেমন,অম্লীয় মাধ্যমে KMnO4 এর প্রমাণ ‪#‎বিজারণ‬ বিভব +১.৫২ ভোল্ট,আর K2Cr2O7 এর #বিজারণ বিভব +১.৩৩ ভোল্ট। 

তাই, অম্লীয় মাধ্যমে KMnO4 ‪#‎বিজারিত‬ হয়ে বেশি শক্তি উৎপন্ন করে(১.৫২ ভোল্ট)ফলে এটি KMnO4 হতে বিভব এর বিচারে শক্তিশালী ‪#‎জারক‬।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Abdul Halim & Joy এর উত্তর থেকে আপনি জারন বিজারন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তবে আমি আপনাকে একটি    সহজ নিয়ম বলতে পারি এগুলো চেনার জন্য।বিভিন্ন গাড়িতে আমরা দেখতে পাই লেখা থাকে  আগে নামতে দিন পরে উঠুন। so  গাড়ি যেমন আগে ত্যাগ করে & পরে গ্রহন করে তেমনি জারন বিজারনের মধ্যে জারন শব্দটি আগে। অথ্যাৎ জারন বিক্রিয়ায় election ত্যাগ করে & বিজারন শব্দটি পরে। অথ্যাৎ বিজারন election  গ্রহন করে। আর  জারন বিজারন চেনা থাকলে জারক বিজারক সহজে চিনতে পারবেন।অথ্যাৎ জারন =বিজারক & বিজারন = জারক সম্পকটি বিবেচনা করতে পারেন।আশা করি এতে সহজেই চিনতে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

একদম সহজ ভাবেঃ

জারণ :

১. e- এর অপসারণ
২. ধনাত্মক চার্জ ↑
৩. ঋণাত্মক চার্জ ↓
৪. যোজ্যতা বৃদ্ধি ↑

বিজারণ :

১. e- এর সংযোজন
২. ধনাত্মক চার্জ ↓
৩. ঋণাত্মক চার্জ ↑
৪. যোজ্যতা হ্রাস ↓

জারণ = ইলেক্ট্রন ত্যাগ
জারক = ইলেক্ট্রন গ্রহণ
বিজারণ = ইলেক্ট্রন গ্রহণ
বিজারক = ইলেক্ট্রন ত্যাগ

জারণে ঘটে :

১. O2 সংযোজন : 2SO2+O2­ = SO2
২. তড়িৎ ঋণাত্মক মৌলের সংযোজন : 2Fe+3Cl2 = 2FeCl3
৩. H2 অপসারণ : H2S+Cl = 2HCl+S
৪. ধনাত্মক মৌলের অপসারণ : 2Cu2O+O2 = 4CuO
৫. যোজ্যতা বৃদ্ধি : 2FeCl2+Cl2 = 2FeCl3 (Fe এর যোজনী 2 থেকে 3 হয়)
৬. ইলেক্ট্রন দান : Fe2+-e- → Fe3+

বিজারণে ঘটে :

১. O2 অপসারণ : CuO+H2O = Cu+H2O
২. তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল/মূলক অপসারণ : 2FeCl3+H2 = 2FeCl2+2HCl
৩. ঋণাত্মক মূলক সংযোজন : HgCl2+Hg = Hg2Cl2
৪. যোজ্যতা হ্রাস : 2FeCl3­+H2 = 2FeCl2+2HCl (Fe এর যোজনী 3 থেকে 2 হয়)
৫. ইলেক্ট্রন দান : Cl+e- → Cl-

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Pronoy42

Call

জারণ=ইলেকট্রন দান।বিজারণ=ইলেকট্রন গ্রহণ।যে বিক্রিয়ক ইলেকট্রন দান করে তাকে বিজারক বলে আর যে বিক্রিয়ক ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে জারক বলে। জারণ ও বিজারণ বিক্রিয়া চেনার সহজ উপায়: দেখবেন,বিক্রিয়ায় যার জারণসংখ্যা বেড়েছে তার জারণ ঘটেছে।আর যার জারণ সংখ্যা কমেছে তার বিজারণ ঘটেছে।আর জারণ বিক্রিয়া ঘটেছে বিজারকে এবং বিজারণ বিক্রিয়া ঘটেছে জারকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ