ওয়াইফাই কি সিম থেকে ইন্টারনেট গ্রহন করে নাকি তার থেকে।বাসায় ৩ জন চালানোর মত ওয়াইফাইয়ের দাম কত হবে।এটাকি গ্রাম থেকে চলবে।মাসে ১৫ জিবি খরচ করলে মাসে কত টাকা দিতে হবে।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

Wi-Fi (Wireless Fidelity) হচ্ছে একটি বিশেষ ধরনের ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের টার্ম বা ট্রেড মার্ক যেখানে ওয়াইফাই এলাইয়েন্স নামে একটি কমিটি কর্তৃক পরীক্ষীত ও অনুমোদিত হার্ডওয়্যার ও স্পেসিপিকেশন ব্যবহার করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য বিভিন্ন কোম্পানীর ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের ডিভাইসরগুলি যাতে পরষ্পরের সাথে কাজ করতে পারে। এছাড়া নেটওযার্কটির কনফিগারেশনসহ অন্যান্য টেকনিক্যাল বিষয়ের একটি স্ট্যান্ডার্ড মান নির্ধারণ করা। ব্যাবহারকারীদের জন্য সুবিধা হচ্ছে, যদি কারো মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে Wi-Fi এডাপটার থাকে, তবে এটি যে কোন Wi-Fi নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে পারবে। সুতরাং আমরা বলতে পারি সব ওয়াইপাই নেটওয়ার্ক হচ্ছে ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক IEEE 802.11-এর পরিবারভুক্ত।, কিন্তু সব ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ওয়াইপাই নেটওয়ার্কভুক্ত নয়। একটি ওয়াইফাই রাউটারের এরিয়ার বাইরে নতুন এলাকায় নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ অনেকভাবে করা যায়। তবে সহজ হচ্ছে মূল ওয়াইফাই রাউটারের সাথে তার দিয়ে (Ethernet cable) আরেকটি ওয়াইফাই রাউটার সংযুক্ত করে নতুন এলাকায় স্থাপন করা। একটি ওয়াইফাই রয়টার/একসেস পয়েন্ট/এন্টিনার মাধ্যমে কোন বিশেষ স্থানে যখন ওয়ারলেস ইন্টারনেট কানেকশনের সুবিধা প্রদান করা হয় তখন সেই স্থানকে Hot Spot বলা হয়। একাধিক একসেস পয়েন্ট/Wi-Fi Extender/এন্টিনার মাধ্যমে সৃষ্ট হটস্পটগুলোকে সমন্বয় করে যখন বড় এলাকা ভিত্তিক একটি ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক তৈরি হয় তখন সেই এলাকাকে Wi-Fi Zone বলা হয়। ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিশেষ এন্টিনার মাধ্যমে পাঁচটি হটস্পটের সমন্বয়ে একটি ওয়াইফাই জোনের সৃষ্টি হয়েছে। আবাসিক এলাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে এইভাবে একই ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়। আবার একই এলাকায় একাধিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কও থাকতে পারে। ধরা যাক, একই ভবনের ৫ম তলায় এবং ৪র্থ তলায় ওয়াইফাই রাউটার আছে। এখন ৪র্থ তলার ল্যাপটপ/মোবাইল ফোন একই সাথে ৪র্থ ও ৫ম তলার দুইটি রাউটারকে খুঁজে নেবে। যেহেতু দুরত্ব খুব কম। এখন যেটিতে প্রবেশের অনুমতি অর্থাৎ পাসওয়ার্ড আগে থেকেই সেটিং আছে সেটিই ব্যবহার করবে। তাই নিরাপত্তার কারণে ওয়াইফাই রাউটারকে সবসময় পাসওয়ার্ড প্রোটেকটেড করা জরুরি। আবার কিছু কিছু পাবলিক এরিয়া আছে যেখানে পাসওয়ার্ডমুক্ত ওয়াইফাই রাখা হয়েছে যাতে যে কোন কেউ ব্যবহার করতে পারে। ওয়াইফাই কনফিগারেশন ইদানিং নতুন মডেলের অনেক ল্যাপটপে ওয়াইফাই কার্ড আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকে। আর না থাকলে আলাদা ওয়াইফাই এডাপটার/কার্ড কিনতে পাওয়া যায়। কার্ডের সাথে ইনস্টল-কনফিগারেশনের নিয়ম লেখা থাকে। এটা তেমন কঠিন নয়, এডাপটার/ কার্ড সংযুক্ত করে কমপিউটার অন করলে অটো- ডিটেক্ট হয়ে কনফিগারেশন উইনডোজ চলে আসে। মোবাইল ব্রডব্যান্ড বনাম ওয়াইফাই হটস্পট মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা সাধারণত মোবাইল ফোনের কোম্পানীগুলো দিয়ে থাকে। সুতরাং প্রায় সব জায়গা থেকে (মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক) মোবাইল ফোন বা ওয়ারলেস মডেমের সাহায্যে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়া যায়। ওয়াইফাই হটস্পটে এই সুযোগ একটি সীমিত এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। সুবিধা হচ্ছে, একটি মাত্র ইন্টারনেট লাইন থকে সৃষ্ট ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে অনেক লোক একসাথে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। এতে খরচও কম, আবার প্রত্যেকে নিজের ফোন/ল্যাপটপ থেকে অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। ইদানীং বড় বড় শহরের বাস/ট্রেন স্টেশন, শপিং সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে ওয়াইফাই জোন সৃষ্টি করা হচ্ছে। মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিসের মাসিক চার্জ বেশী। এছাড়া একদেশ থেকে অন্য দেশে গেলে মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিস কাজ করে না, যদি কাজ করে তবে চার্জ হয় খুবই বেশী। তাই নিজস্ব ল্যাপটাপ বা মোবাইল ফোন থেকে প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য ওয়াইফাই হটস্পট থেকে ইন্টারনেট কানেকশন সস্তা। ইদানিং বিভিন্ন শহরের ওয়াইফাই হটস্পটের তালিকা নেটে পাওয়া যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ