শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
manik

Call

গরমে সবচাইতে জরুরী কি? অবশ্যই নিয়মিত গোসল করা। এই গরমে অন্তত দুবার গোসল করা দরকার। গোসল না করলে অস্বস্তি, ঘাম ও ঘামাচি, পানিশূন্যতা থেকে ঘন ঘন পিপাসা, ক্লান্তি, গায়ে দুর্গন্ধ, রাতে ঘুম না আসা ইত্যাদি বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে। গরমে প্রচুর পানি পান নিশ্চয়ই করে থাকেন আপনি? পাশাপাশি দিনে ২/৩ বার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবানসহ গোসল করলে ও ঠাণ্ডা পরিবেশে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিলে নানান রকম অসুখ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। সুযোগ থাকলে পুকুরের পানিতে বা সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে পারলে অনেক ভালো। এতে শরীর ঠাণ্ডা হওয়ার পাশাপাশি বেশ খানিকটা ব্যায়ামও হয়ে যায়। ভোরের পানি শীতল থাকে। তাই স্নানের শীতল পরশ পেতে হলে এসময়টা বেছে নেয়া যায়। রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে আরেকবার গোসল করতে পারলে ভালো ঘুম হয় এবং তা শরীরের জন্যও ভালো। গরমে গোসল করলে অল্পতেই অনেকটা ক্লান্তি দূর হয়ে যায়, চামড়া পরিষ্কার থাকে, ঘামাচিসহ বিভিন্ন চর্ম সমস্যা প্রতিহত হয়, পানিশূন্যতা কমে গিয়ে চামড়ায় সৌন্দর্য বাড়ায়, চুল পড়া কমে ও ভালো ঘুম হয়। ঘামাচি প্রতিরোধের জন্য দরকার সুতির হালকা রঙের আরামদায়ক পোশাক পরা, প্রয়োজনে একাধিকবার পরিচ্ছন্ন গোসল, কায়িক শ্রম যথাসম্ভব কম করা ও শীতল পরিবেশে সময় কাটানো। এ ব্যাপারে ইলেকট্রিক ফ্যানের বাতাস অনেকটা সময় আমাদের সঙ্গী হিসেবেই থাকে। পানিতে সামান্য ডেটল বা নিম পাতা ভিজিয়ে গোসল করতে পারলে চামড়ায় ঘাম ও ময়লার প্রলেপ উঠে গিয়ে ঘামাচির বিরক্তিকর সমস্যা অনেকটা হ্রাস পায়। ঘামাচি দূর করতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যালকম পাউডার, ক্যালামিন লোশান ও স্টেরয়েড ক্রিমও ব্যবহার করা যেতে পারে। এসি রুমে কয়েক রাত কাটাতে পারলে ঘামাচি অনেকটা উপশম হয়। গরমে নবজাতক বা ছোট শিশুদের খুব সহজেই ঘামাচি হতে পারে। এসময়ে তাদের বাসার ভেতরে ঠাণ্ডা পরিবেশ থাকা দরকার। তাছাড়া ঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল, গায়ে হালকা সুতির কাপড়, প্রয়োজনীয় দুধ বা পানি পান, চামড়া শুকনো রাখা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যাপারে যত্নবান হওয়া উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ