কোরআনে যের, জবর, পেশ ইত্যাদি কিভাবে, কখন অন্তর্ভুক্ত হয়?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
mahfuz08

Call

কে প্রথম কোরআনে নোকতা ও হরকত সংযুক্ত করেন, সেটা নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
(১) হযরত আলী (রাঃ) নির্দেশে বিশিষ্ট তা‘বই হযরত আবুল আসওয়াদ আদ-দুয়াইলি (রঃ) এগুলি সংযুক্ত করেন।
(২) কুফার শাসনকর্তা যিয়াদ ইবনে সুফিয়ান আবুল আসওয়াদকে দিয়ে এ কাজ করিয়েছিলেন।
(৩) হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এই কাজটি হযরত হাসান বসরি (রঃ),হযরত ইয়াহইয়া ইবনে ইয়ামার (র) ও হযরত নসর ইবনে আসেম লাইছি (র) এর দ্বারা একাজ করিয়েছিলেন।

নোকতা ও হরকতের কিছুকাল পর খলিল ইবনে আহমদ(র.) কোরআনে হামজা ও তাশদিদের চিহ্ সংযুক্ত করেন।

 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

উত্তর:হযরত উসমান রা. যে মুসহাফ তৈরি করেছেন তাতে হরফসমূহে নুকতা ও হরকত যের, যবর ও পেশ ছিল না। পরবর্তীতে কে এই মহৎ কাজটি করেছেন-এ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মাঝে মতভেদ আছে। তবে আল্লামা তকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম ‘উলূমুল কুরআন’-এ বলেন, এ সম্পর্কিত সকল বর্ণনা সামনে রাখলে প্রতীয়মান হয় যে, হরকত (যের, যবর ও পেশ) সর্বপ্রথম হযরত আবুল আসওয়াদ দুয়ালী রাহ. আবিষ্কার করেন। কিন্তু হরকতের রূপ এখন যেমন দেখা যায় তেমন ছিল না। তখন ছিল ফোঁটার মতো। যবরের জন্য উপরে এক ফোঁটা দেওয়া হত, যেরের জন্য নিচে এক ফোঁটা আর পেশের জন্য সামনে এক ফোঁটা দেওয়া হত। তানভীনের জন্য দুই ফোঁটা ব্যবহৃত হত। এরপর খলীল বিন আহমদ রাহ. হামযাহ ও তাশদীদের বর্তমান রূপটি আবিষ্কার করেন। এরপর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইয়াহইয়া বিন ইয়ামার রাহ. ও নাসর বিন আসেম রাহ.-এর মাধ্যমে কুরআনে কারীমে হরফসমূহে নুকতা লাগানোর ব্যবস্থা করেন। এই সময়ই মূলত নুকতা ও হরকতের পার্থক্যের উদ্দেশ্যে হরকতের বর্তমান রূপটি অবলম্বন করা হয়। আলইতকান ২/৪১৯; সুবহুল আ‘শা ৩/১৬০-১৬১; আলবুরহান ১/২৫০; উলূমুল কুরআন পৃ. ১৯৫

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ