উক্ত প্রশ্নের উত্তর আমরা কয়েকভাবে দিতে পারিঃ- ১) মসজিদটি মূলতঃ কবরের উপর নির্মাণ করা হয়নি; বরং এ মসজিদ নির্মিত হয়েছে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর জীবদ্দশায়। ২) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে মসজিদে দাফন করা হয়নি। কাজেই একথা বলার অবকাশ নেই যে ইহাও সৎ ব্যক্তিদেরকে মসজিদে দাফন করার কুপ্রথার অন্তর্ভুক্ত। বরং নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে তাঁর নিজ ঘরে দাফন করা হয়েছে। ৩) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর ঘরগুলোকে মসজিদে প্রবেশ করানো ছাহাবীদের যৌথ সিদ্ধানে- হয়নি বরং তাদের অধিকাংশের মৃত্যুর পর হয়েছে। তখন তাঁদের অল্প কয়েকজন মাত্র বেঁচে ছিলেন। উহা ঘটেছিল ৯৪ হিঃ সনে মসজিদ সম্প্রসারণ কালে। এই কাজটি ছাহাবীদের অনুমতি বা তাদের যৌথ সিদ্ধানে- হয়নি। তাদের কেউ কেউ উহাতে বিরোধীতাও করেছিলেন। তাবেয়ীদের মধ্যে সাঈদ বিন মুসাইয়্যেব তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ৪) কবরটি মূলতঃ মসজিদের ভিতরে নয়। কারণ উহা মসজিদ হতে সমপূর্ণ পৃথক কক্ষে রয়েছে। আর মসজিদকে ওর উপর বানানো হয়নি। এজন্যই এই স্থানটিকে তিনটি প্রাচীর দ্বারা সংরক্ষিত ও বেষ্টিত করা হয়েছে। আর উত্তর দিকের প্রাচীরটি ত্রিভুজের মত করে রাখা হয়েছে। এতে করে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কবরটি সরাসরি মুছল্লীর সামনে পড়ে না। আশা করি কবর পূজারীদের দলীল খন্ডনে উপরোক্ত উত্তরগুলোই যথেষ্ট হবে। বিষয়/প্রশ্নঃ (৮০) গ্রন্থের নামঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম বিভাগের নামঃ ঈমান লেখকের নামঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) অনুবাদ করেছেনঃ আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানি - আবদুল্লাহ আল কাফী