কয়েকটি উপায়ে শিশুদের সাথে ভালো মেশা যায়ঃ
১। শিশুর চোখের দিকে
তাকিয়ে কথা বলাঃ
শিশুর সাথে কথা বলার সময়
শিশুর চোখের দিকে
৫টি উপায়ে শিশুকে
তাকিয়ে কথা বলুন এবং
শিশুকেও উৎসাহ দিন যেন
শিশুও যখন কারো সাথে কথা
বলবে তখন সেও যেন অন্যের
চোখের দিকে তাকিয়ে
কথা বলে।
২। শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ
করতে শেখানোঃ
তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা
শেখাতে হবে। কখন কি
ব্যবহার করতে হবে, কার
সাথে কিভাবে কথা বলতে
হবে, কখন হাসতে হবে বা
রাগ হলে কিভাবে তা
নিয়ন্ত্রনে আনতে হবে তা
খুব ভালোভাবে শেখাতে
হবে। আবেগ সম্পর্কে সঠিক
ধারণা থাকলে শিশুদের
অন্যের সাথে যোগাযোগের
দক্ষতা বাড়বে।
৩। অন্যদের সাথে
যোগাযোগের অনুশীলন
পরিবারেই করাঃ
শিশুদের অন্যদের সাথে
যোগাযোগ করা শেখাতে
হবে। তাদের গুছিয়ে কথা
বলার অনুশীলন করাতে হবে।
যদিও এই বয়সী শিশুদের
গুছিয়ে কথা বলার কথা না,
তাহলেও আমরা বড়রা যখন
তাদের সাথে কথা বলবো
তখন গুছিয়ে বলবো এবং যার
সাথে কথা বলবো কথাগুলো
যেন সে বুঝে। অর্থাৎ,
যোগাযোগটা যেন
ঠিকভাবে হয়। তাহলে শিশুও
যখন কথা বলবে তখন সেও
চেষ্টা করবে আপনাকে
অনুসরণ করতে এবং সেও
সেইভাবে কথা বলবে।
৪। শিশুর কথা বলার উপযুক্ত
পরিবেশ তৈরি করাঃ
শিশুকে কথা বলার পরিবেশ
দিতে হবে। যে পরিবেশে
শুধু বড়রাই কথা বলে এবং
শিশু বেশী কথা বলতে গেলে
থামিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে
সেই শিশু কথা বলা কমিয়ে
দিবে এবং লাজুক আচরণ
দেখা যাবে। শিশুর সাথে
‘কথা বলা’ খেলা খেলতে
পারেন। পরিবারের সবাই
মিলে বসে তাদের
সারাদিনে কে কি কাজ
করল একজনের পর একজন বলবে।
যখন শিশুর পালা আসবে তখন
সেও বলবে। শিশুকে বলার
সময়টা বেশি দিতে হবে।
এক্ষেত্রে হয়তো সে
বানিয়ে বানিয়ে অনেক
কিছু বলবে এবং সেটা শুনতে
হবে। তাকে থামিয়ে
দেওয়া যাবে না বা তাকে
বলা যাবে না যে তুমিতো
এইটা করনি তাহলে বললে
কেন? এতে শিশু লজ্জা পাবে
এবং কথা বলা কমিয়ে
দিবে। সুতরাং শিশুকে কথা
বলার পরিবেশ দিতে হবে।
৫। বাইরের নতুন মানুষের
সাথে নিয়মিত কথা বলাঃ
শিশুদের বড় পরিসরে নিয়ে
যেতে হবে। আত্মীয়-
স্বজনদের বাসায় নিয়ে
যেতে হবে। তাদের সাথে
কথা বলার উৎসাহ দিতে
হবে। তাকে দোকানে
নিয়ে যান এবং বলে দিন
দোকানদারকে বলতে আপনি
কি কি জিনিস কিনতে চান?
এক্ষেত্রে সে সম্পূর্ণ নতুন
একজনের সাথে কথা বলতে
পারবে। এতে করে শিশুর
লাজুকভাব কেটে যাবে এবং
তার অন্যদের সাথে মেশার
ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
তথ্যসূত্র