এক মাসের মধ্যে যেন কমে যায়।এই রকম উপায় বলে দিন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call
প্রতিদিন তিন কোয়া রসুন: প্রতিদিন সকালে উঠেই খালি পেটে ২/৩ কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে নিন, এর ঠিক পর পরই পান করুন লেবুর রস। এটি আপনার পেটের চর্বি কমাতে দ্বিগুণ দ্রুতগতিতে কাজ করবে। তাছাড়া দেহের রক্ত চলাচলকে আরো বেশি সহজ করবে এটি।
লেবুর রস: এক গ্লাস গরম জলে অর্ধেকটা লেবু চিপে নিন, এতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। চিনি দেবেন না। এবার পান করুন প্রতিদিন সকালে। এটি আপনার দেহের বাড়তি মেদ ও চর্বি কমাতে সব চেয়ে ভালো উপায়।
তেলের স্প্রে: খাবারের তেল থেকে সিংহভাগ ফ্যাট জমে শরীরে। বেশি তেল এড়াতে রান্নাঘরে রাখুন তেলের স্প্রে। তেলের বোতল বা বয়ামের বদলে স্প্রে ব্যবহার করলে খাবারে তেলের পরিমাণ কমবে। তেল কমলেই শরীরে ফ্যাট কমবে।
কাজুবাদাম, কিসমিস: রান্নাঘরের ক্যাবিনেটে রাখুন কাজুবাদাম, কিসমিস, আখরোট, কাঠবাদামের বয়াম। হালকা খিদে পেলে অকারণ স্ন্যাক্স থেকে বাঁচতে সেরা উপায় এটাই। এরা যেমন ওজন কমাবে তেমন পেটও ভরাবে।
ম্যাসন: রান্নাঘরে রাখতেই পারেন মনের মতো ম্যাসন। আজকাল বাহারি নানা ম্যাসন বিক্রি হয়। এরা রান্নাঘরের সৌন্দর্য তো বাড়ায়ই, সঙ্গে এই ম্যাসনেই জমিয়ে রাখতে পারেন নিজের স্যালাড, ওটমিল বা ফুল ক্যালোরি ডায়েট। প্রয়োজনে ডায়েটের খাবার এই ম্যাসনে করে অফিসেও নিয়ে যেতে পারেন।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: মেদ কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে পানি। পানি শরীরে জমে থাকা টক্সিন এবং শর্করাকে শরীর থেকে বার করে দিতে সক্ষম। প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরের এই সমস্ত ক্ষতিকর পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এতে শুধু যে শরীরকে সুস্থ মনে হয় তা-ই নয়, পাশাপাশি মেদও কমে।
খাবার তালিকা করুন: বারবার খাবার দ্রুত ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই এসব খাওয়ার সময়ও নির্ধারণ করে নিন। সকালের খাবার, দুপুরের খাবার ইত্যাদি সব মিলিয়ে যেন পাঁচবারের বেশি না খাওয়া হয়।
মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন: মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো শরীর ইন্সুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ইন্সুলিন হল শরীরে চর্বি সংরক্ষণ করার প্রধান হরমন। দেহে ইনসুলিন বেড়ে গেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে দৈনন্দিন খাওয়া খাবার গুলো শরীরে থেকে যায় এবং ওজন বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে ইনসুলিনের মাত্রা কমে গেলে তাড়াতাড়ি খাবার হজম হতে থাকে এবং শরীর থেকে চর্বি কমতে থাকে। খাবার থেকে সুগার এবং কার্বোহাইড্রেড বাদ দিলে ইনসুলিনের মাত্রা কমে আসে।
না খেয়ে থাকবেন না: আমরা ডায়েট মানেই না খেয়ে থাকা মনে করি। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। না খেয়ে থাকলে ওজন কমবে না বরং অসুস্থ হয়ে যাবেন। তাই দিনে ৩-৪ বার খেতে হবে। তবে পেটা ভরে খাওয়া যাবে না।  বেশি বেশি পানি খেতে হবে। ডাক্তারের ঔষধ খাওয়া অবস্থায় ওজন কমানোর পরিকল্পনা করলে সেটা আগে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে নিন। কারণ শরীরে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ফলে হরমনীয় পরিবেশের পরিবর্তন হয় এবং আপনার দেহ ও মস্তিষ্ককে ওজন কমানোর উপযোগী করা হয়।
নিয়মিত ব্যায়াম করা: এটি খুবই কার্যকর। সপ্তাহে আপনাকে দুই থেকে তিনবার জিমে যেতে হবে। শুধু গিয়ে বসে থাকলে হবে না। আপনাকে ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত ব্যায়ামগুলোও করতে হবে। যদি জিমে নতুন যাওয়া শুরু করেন তাহলে প্রথম দিনেই কষ্টকর ব্যায়াম করা উচিত নয়। এতে উল্টো ফল হতে পারে। তাই ব্যায়াম করার আগে প্রশিক্ষকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। তাহলে আপনি যার জন্য ব্যায়াম করবেন সেই ফলটা পাবেন।
সঠিক ডায়েট মেনে চলুন: ডায়েট করার আগে জেনে নিন ডায়েট আসলে কী? কার জন্য কোন ডায়েট প্রযোজ্য, কত ধরনের ডায়েট হয়, কোন ডায়েটের কী উপযোগিতা, ডায়েটের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না ইত্যাদি বিষয়। প্রযোজনে পরামর্শ নিন একজন অভিজ্ঞ ডায়েটিশিয়ানের। কারণ আপনার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী, আপনার বেছে নেয়া ডায়েট উপযোগী কি না তা একজন ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টিবিদ ভাল বলতে পারবেন।
ফাস্টফুডকে না বলুন: প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, সোডা—এই খাবারগুলোকে একেবারে না বলুন। এগুলোর মধ্যে উচ্চ পরিমাণ ক্যালরি থাকে, এতে ওজন বাড়ে।
ওজন কমাতে দরকার সময় এবং চেষ্টা। অবশ্য এ ব্যাপারে আপনার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে এবং জীবনভর মেনে চলার একটি জীবন পদ্ধতি তৈরি করতে হবে। আর এর সবকিছুই পাবেন বায়োজিন ফিটনেস সল্যুশনে। ওজন কমানোর সঠিক পদ্ধতি, ট্রিটমেন্ট, জিম, জিম ইন্সট্রাক্টর এবং সঠিক ডায়েট চার্টের জন্য নিউট্রিশনিস্ট’র পারফেক্ট সমন্বয় হলো বায়োজিন ফিটনেস সল্যুশন। আর এই সম্মিলিত প্রয়াসে মাত্র ৩ মাসেই আপনি ১০ কেজি ওজন কমাতে পারবেন।
এছাড়া, আপনার নিজেকেই নিশ্চিত হতে হবে আপনি ওজন কমাতে চাচ্ছেন। কারণ কেউ আপনার ওজন কমিয়ে দেবে না। উপরের নিয়মগুলো মেনে চললে ওজন আপনাআপনি কমতে শুরু করবে। তার জন্য শুধুমাত্র দরকার আপনার ধৈর্যশক্তি।
তথ্যসুত্রঃ Bio-Xin
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ