আমার এই ঘটনাটি গতবছরের।  আমি তখন মাত্র একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। আমাদের কলেজের এক আপ্পি ছিল।  আপ্পির  সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল।  তো একদিন আমি আর আপ্পি মিলে  ঠিক করলাম যে একুশে ফেব্রুয়ারী আমরা সবাই শহীদ মিনারে যাবো ফুল দিতে। যেই কথা সেই কাজ।  গেলাম আমরা ফুল দিতে।  আপ্পি আবার রাজনীতি করতেন।  সুতরাং উনি সাথে করে উনার পার্টির কয়েকজন লোকজনকে নিয়ে আসলেন।  ঐসব লোকের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন।  শহীদ মিনারে ফুল   দেয়া শেষ হলো।  তারপর আমরা যার যার বাসায় যাওয়ার জন্য বাস খুঁজতে লাগলাম। শেষে পেয়েও গেলাম।  আপ্পির  ওই লোকজন গুলির সাথে একটা লোক ছিল যে কিনা বার বার আমার  তাকাচ্ছিলো। আমি  খেয়াল করছিলাম।  তো এক পর্যায় সেই ছেলেটি আমার পিছনের একটা সিটে  বসলেন। বাসে  বসে বসে আমি আপ্পিকে  আমার ফোন নম্বর এবংফেইসবুক আইডি দিতে লাগলাম।  উনি আগে আমার এইসব জানতেননা। কলেজেই উনার সাথে আমার দেখা তাই এইসব দিচ্ছিলাম। কিন্তু এর  ফাঁকে আমার পিছনের সিটে  বসা ওই লোক করলো কি আমার ফেইসবুক আইডি আর আমার ফোন নম্বর নিয়ে নিলেন।  পরে অবশ্য উনার সাথে ফোনে কথা বলে আমি এইসব জানতে পেরেছি। যাই হোক ,তারপর বাসায় আসলাম। তারপর দুপুরের দিকে দেখি তাজ্জব ব্যাপার।  একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে বার বার আমার ফোন কল আসছে।  কিন্তু আমি রিসিভ করিনি।  তারপর আমি কলেজে গেলাম। সেই একই নম্বর থেকে বার বার আমাকে কল দেয়া হচ্ছিলো। একসময়বিরক্ত হয় আমি ফোন ধরলাম এবং কথা বলে জানতে পারলাম এইটা আর কেউ নয় ওই লোকটাই যে কিনা বাসে আমার পিছনের সিটে বসে ছিলেন।  তারপর কথা বলে জানলাম যে কিভাবে উনি আমার ফোন নম্বর নিয়েছেন।  তাছাড়া উনি আমাকে ফেসবুকেও রিকোয়েস্ট দিয়েছিলেন।  কিন্তু আমি একসেপ্ট করিনি। এই ঘটনাটি ২২ ফেব্রুয়ারির ছিল এবং সেইদিনই উনি আমাকে বলে ফেললেন যে উনি আমাকে পছন্দ করেন। আমি তখন উনাকে ঠিকমতো চিনতাম না।  তারপর উনি আমাকে উনার সব পরিচয় খুলে বললেন।  উনার নাম ছিল সুমন।  বরিশাল বি এম  কলেজে  অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন উনি।  তারপর উনার সাথে অনেক কথা বললাম।  কথা বলে ভালোই লাগলো।  তারপর উনি আমাকে বললেন আমি উনাকে ভালোবাসি কিনা।  আমি বললাম জানি না।  উনি বললেন যে জানি না তো কোনো উত্তর হতে পারেনা।  আমি ফোন কেটে দিলাম।  তারপর উনি আবার পরের দিন আমাকে ফোন করে এইটার উত্তর চাইলেন আমি বলতে চাইনি কিন্তু আমি আবেগ থেকে বলে ফেললাম যে হ্যা  ভালোবাসি। কিন্তু আমি তখন ভালোবাসার কিছুই বুঝতামনা। তারপর উনার সাথে দেখা করলাম কথা বললাম।  ভালোই চলছিল। কিন্তু একদিন উনি আমার ফেইসবুক পাসওয়ার্ড চাইলেন।  আমি দিতে চাইনি কিন্তু উনার পীড়াপীড়ি কারণে দিতে হয়েছে।  উনি উনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড আমাকে দিলেন। আমি তখন ফেসবুকে আমার কাসিনদের সাথে কথা বলতাম। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছেলে ছিল। তাছাড়া আমি আরো কিছু লোকের সাথে কথা বলতাম যারা ছিল আমার পরিচিত।  এইটা নিয়ে উনি আমার সাথে অনেক ঝগড়া করতেন আমি কিছু বলতামনা।  কিন্তু উনি অনেক মেয়ের সাথে ফেসবুকে কথা বলতো আর রাস্তায় হাই হ্যালো দিতো তাদের।  কিন্তু আমি তাকে এই ব্যাপার নিয়ে কোনোদিন কোনো কথা বলিনি।  বরং আমি উনাকে বিশ্বাস  করতাম।  মনে করতাম মেয়েগুলো উনার বন্ধু অন্য কিছু নয়।  কিন্তু উনি আমাকে অনেক সন্দেহ করতেন।  এমনকি আমি কলেজেগেলে উনি আমাকে ফলো করতেন।  আমি খুব বিরক্ত হতাম কিন্তু কিছু বলতামনা।  মনে করতাম একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। তাছাড়া উনার একটি সমস্যা ছিল যে উনি আমার আগে একটা মেয়ের সাথে প্রেম করতেন সে আবার উনাকে ধোঁকা  দিয়ে চলে গেছে। সেইজন্যই হয়তো উনি আমাকে বিশ্বাস  করতে পারতেননা। তাছাড়া উনি নামাজ পড়তেননা  রোজাও রাখতেননা। আমি বলতাম তবু শুনতেননা। যাই হোক একদিন আমি আমার মায়ের সাথে ফোন কথা বলছিলাম। অনেক ক্ষণ  কথা বলছিলাম মায়ের সাথে।  হঠাৎ উনি ফোন করলেন বললেন যে আমি অনেকক্ষণ ফোন করছি তোমার ফোন ব্যাস্ত ছিল কেন। আমি তাকে সব খুলে বললাম কিন্তু উনি আমাকে বিশ্বাস  করলেননা।  সেদিন মনে এত্ত কষ্ট পেয়েছিলাম যে আমি উনার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলাম।  কিন্তু তবু উনি আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন , এমনকি ফেসবুকে ফেক আইডি পর্যন্ত খুলেছেন কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।  আমার এক কথা আমি এরকম মানুষের সাথে কথা বলবোনা।  এমনকি আমার এই বছরের এইচএসসি পরীক্ষার সময় উনি ফোন দিয়েছেন কিন্ত আমি ধরিনি।  যাই হোক গেলো ঈদে উনি অন্য নম্বর দিয়ে ফোন করেছেন এবং বলেন যে উনি সম্পর্কটাকে জোড়া লাগাতে চান। আমার সাথে দেখা করতে চান। এমনকি ফোনে উনি অনেক কান্না কাটি করেছেন।আরো বলেছেন যে উনি নাকি এখনো আমার ছবি দেখে কান্না কাটি করেন।  এখনো নাকি উনি আমার কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন আমাকে দেখার জন্য।   কিন্তু  আমি না করে দিয়েছি। কেননা আমার সামনে বিশ্ববিদ্যালয়  ভর্তি পরীক্ষা তাই এইসব করে সময় নষ্ট করতে চাইনা।  কিন্ত উনি আমার কথা শুননেননা। উনি বলেন যে অনেকে পড়াশোনা থাকা সত্ত্বেও বয়ফ্রেইন্ডের  সাথে ঘুরেআর তুমি পারবেনা।  আমি বললাম হা পারবোনা। উনি বলেন যে তুমি আমাকে ভালোবাসোনা।  তুমি আমার সাথে অভিনয় করেছো।  আমি বললাম যে দেখেন আমি আমার ক্যারিয়ার  গড়তে  চাই বাবা মাকে  দেখতে চাই।  আমি এখন এই সব করবোনা।  কিন্তু উনি বলেন যে তারমানে তুমি এতদিন আমার সাথে এতদিন প্রেমের অভিনয় করেছো। উনি আরো বলেন যে প্রেমিকারা তো প্রেমিকের কান্না দেখলে গলে  যায় কিন্তু আমি তোমার সাথে দেখা করার জন্য তোমার কাছে এত কান্না করছি কিন্তু তুমি আমার কথা শুনছোনা।আমি যদি এইভাবে তোমাদের ক্লাসের খাদিজাকে বলতাম খাদিজাও গলে  যেত , আর তুমি ? তুমি আমাকে ঠকিয়েছো।  অনেক ঠকিয়েছো। আমি আর কোনো কথা বলিনি উনার সাথে। 
এখন আপনারা বলেন আমি কি উনাকে সত্যি ঠকিয়েছি ? আর উনি কি আমাকে সত্যি  ভালোবাসতেন ? আমি তো আমার ক্যারিয়ার  নিয়ে চিন্তা করছি।  তাহলে উনি আমার সাথে এমন করবেন কেন ?উনার কাছে কি প্রেমটাই সব কিছু হয়েগেলো আমার স্বপ্নের চাইতে ?আমার পড়াশুনার চাইতে উনার কাছে প্রেম টাই  বড় হয় গেলো ?
এই ধরণের ঘটনা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কি ? সামনে আমার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা আশা করি সবাই ভালো একটা পরামর্শ দিবেন আমাকে।

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

অনেক বড় লেখা তবুও পুরোটা পড়েছি এবং আমার নিজের মত করে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছি।

ছেলেটি শুরু থেকেই আপনাকে টার্গেট বানিয়ে এবং আপনাকে এক প্রকার বিরক্ত করে, একটা পর্যায়ে আপনাকে সফলভাবে পটিয়ে ফেলল। এবং আপনিও আবেগের বসে কিছু না বুঝেই সম্পর্ক টি চালিয়ে গেলেন। ছেলেটি এক দেখাতেই আপনার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলো! হয়তো আপনি বেশ সুন্দরী। তাই এটাকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসাবে ধরে নিলাম। প্রথম পর্ব এখানেই শেষ।

এবার ২য় পর্বে দেখা গেলো আপনি তাকে ফেইসবুকের পাসওয়ার্ড দিয়ে দিলেন। আচ্ছা দিতেই পারেন কারণ, যেখানে মন দেওয়া নেওয়া হয়ে গেছে সেখানে ফেইসবুকের পাসওয়ার্ড দেওয়াটা দোষের কিছু নয়।   

৩য় পর্বে দেখা গেল, ফেইসবুকে অন্য ছেলেদের সাথে কথা বার্তা বা চ্যাটিং নিয়ে আপনার বয়ফ্রেন্ডের মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেল। চ্যাটিং এ নিশ্চয় আপত্তিকর বা সন্দেহজনক কোনো কথা বার্তা হত না তাই না? তারপরেও সে সন্দেহ করতো। হ্যাঁ, কাউকে ভালবাসলে তাকে হারানোর ভয় থাকতেই পারে তাই সেই দিক বিবেচনা করে কিঞ্চিৎ সন্দেহ করতেই পারে কিন্তু অতিরিক্ত সন্দেহ করা ভালো নয়। এখানে সব থেকে মজার ব্যাপার হল যে ছেলেটি ফেইসবুকে অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলে, আবার সেই ছেলেটিই আপনার অন্য ছেলেদের সাথে স্বাভাবিক কথা বলাকে দোষ হিসাবে ধরছে যা কিছুটা একচোখা দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে গেল।  

ছেলেটি নামাজ ও রোজা রাখতেন না। একজন মুসলিম হিসাবে বলবো এটি একটি জঘন্যতম অপরাধ। একজন ধার্মিক মেয়ের উচিত একজন ধার্মিক ছেলেকে জীবন সঙ্গী হিসাবে বেছে নেওয়া। ছেলে পুরোপুরি ধার্মিক না হলেও তাকে সম্পূর্ণ ধার্মিক বানানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। কিন্তু যখন সে আপনার কথার অবাধ্য হচ্ছে তখন সেই ছেলেটি আপনাকে কতটুকু ভালোবাসে তা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ থেকে যাচ্ছে। অবশ্য নামাজ এবং রোজা এগুলো আল্লাহ্‌র উপর ভয় করেই প্রত্যেক মুসলিমের পালন করা উচিত।   

এখানে আপনি তাকে ঠকিয়েছেন বললে ভুল হবে বরং, সে আপনাকে ঠকিয়েছে। ভালোবাসার কথা বলে আপনাকে অনেক বেশি অবিশ্বাস করেছে। তার আগের গার্লফ্রেন্ড তাকে ছেঁকা দিয়েছে বলে সেই শূন্যস্থান পূরণ করতেই হয়তো আপনার সাথে আরেকটি সম্পর্কে জড়িয়েছে। কিন্তু সম্পর্কটা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেনি বা সম্পর্কটিকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারেনি।   

এরকম সম্পর্ক শেষ করে দেওয়াই ভালো। আপনার বয়স কম এবং আপনাকে সামনে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। হয়তো দেখতে সুন্দরী তাই প্রচুর ছেলে এভবেই আপনার পিছনে লাগবে। কিন্তু এ সব কিছু এক দিকে সরিয়ে এবং অতীত ভুলে নিজের পড়াশুনা আর ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করাই ভালো। আমার মনে হচ্ছে আপনি এটাই করতে চাইছেন এবং আপনার লেখা পড়ে মনে হল যে, আপনার নিজের ভিতরেও সেই ইচ্ছেটা রয়েছে। এটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।  

যখন ক্যারিয়ার শেষ করে বিয়ে করার চিন্তা করবেন তখন না হয় এ সব প্রেম-ভালোবাসা করতে পারেন। অবশ্য প্রেম বলে কয়ে আসে না। এর আগেও আসতে পারে তবে যতদূর সম্ভব মনের ঘরের দরজা, জানালা বন্ধ রাখবেন। যদি দরজা জানালা ভেঙ্গে প্রেম ভালোবাসা ভিতরে প্রবেশ করেই ফেলে তাহলে সেটা আলাদা বিষয়। তবে হুট করে কোনো সম্পর্কে না জড়িয়ে যথেষ্ট সময় নিবেন আগে ভালোভাবে বুঝার জন্য। তবে নিজের ক্যারিয়ারে বেশি ফোকাস করুন।

তারপর, একটা সময় পর হয়তো সেই ছেলেটিও আপনাকে ভুলে যাবে এবং শূন্যস্থান পূরণের জন্য নতুন কোনো মেয়ের বাসের সিটের পিছনে বসে নাম্বার অথবা ফেইসবুক আইডি জানার চেষ্টা করবে। একই ভাবে হয়তো পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নতুন কোনো মেয়েকে পটাবে। এবং একই ভাবে হয়তো নতুন কোনো মেয়ে বোকার মত তার প্রেমে পড়বে। আবার এটাও হতে পারে ছেলেটি আজীবন আপনার জন্য অপেক্ষা করবে। যদিও এই সম্ভাবনা খুব কম। 

এক পক্ষের কথা শুনে কোনো সিদ্ধান্তে আসা উচিত নয় তবুও আপনার লেখার উপর ভিত্তি করে নিজে একজন ছেলে হয়ে অন্য আরেকটি ছেলের বিপক্ষে বললাম। আপনার বয়ফ্রেন্ড আমাকে খুঁজে পেলে আস্ত রাখবে না, হা হা হা। তবে আমি নিরপেক্ষভাবে বলার চেষ্টা করেছি। অবশ্য ছেলেটি যদি সৎ এবং আদর্শবান হত তাহলে হয়তো তাকে শেষ বারের মতন একটি সুযোগ দিতে বলতাম। যদিও ছেলেটি আপনার সাথে বড় রকমের কোনো প্রতারণা করেনি। তবে আপনি তাকে কোনো সুযোগ দিবেন কিনা এটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়, যেহেতু আপনি তার সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন।   

তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, আপনার প্রেম ঘটিত এ সকল চাপ থেকে নিজেকে দূরে রেখে পড়াশুনা শেষ করে সফলভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ুন। যদিও এখন আমার কথাগুলো আপনার কাছে কিছুটা তিতা লাগলেও এই পরামর্শ দেওয়ার জন্য একদিন নিশ্চয় আমাকে ধন্যবাদ দিবেন। যাই হোক, শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

না, আপনি তাকে ঠকাননি। বরং সেই আপনাকে বারবার অবিশ্বাস করে ঠকিয়েছে। তার অবিশ্বাসের মাত্রাটা এতটাই ভয়ংকর ছিল যে সে আপনার ফেসবুক পাসওয়ার্ড পর্যন্ত আপনাকে দিতে বাধ্য করেছে। অথচ কিছু কিছু বিষয় মানুষের নিতান্তই ব্যক্তিগত। তেমনি ফেসবুক পাসওয়ার্ডও একটি। সে আপনাকে পছন্দ করে সম্ভবত আপনি দেখতে সুন্দর সে জন্য। বরং তার জীবনে আর একটি মেয়ে আসলে সে আপনাকে ভুলে যেতে সময় নেবে না। আবার সুযোগ পেলে আপনার বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়গুলি নিয়ে আপনাকে ব্লাকমিল করতেও পিছপা হবে না। আপনার সামনে রয়েছে সুন্দর ভবিষ্যত। সুতরাং আপনি এসব ভুলে যান এবং পরিপুর্ণভাবেই তাকে এড়িয়ে চলুন। ভালবাসার অন্যতম শর্ত হচ্ছে বিশ্বাস, সেটি তার মাঝে পরিপূর্ণই অনুপস্থিত। তার দিক থেকে যদি কোন ক্ষতির আশংকা করেন তবে আপনার পরিপূর্ণ তথ্য দিয়ে থানায় একটি জিডি করে রাখতে পারেন। আপনি সুযোগ দিলে সে বারবার আপনার দেয়া সুযোগের অসৎ ব্যবহার করবে। মনে করুন এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আর সে যা ইচ্ছে তাই মনে করুক, কিংবা ভাবুক আপনি প্রতারক তাতে কোন সমস্যা নেই। কেননা আপনি যার সাথে সারাটা জীবন কাটাবেন সে যদি আপনাকে বুঝতেই না পারে তাহলে এ সম্পর্কের এখানেই শেষ হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আপনার হিস্টোরি পাঠ করে আমার কাছে যা মনে হয়েছে সে অনুযায়ি আমি মতামত দিলাম। এর মধ্যে যদি আরও কোন বিষয় থাকে সেগুলো আমার মতামতে বিবেচ্য হয়নি। আর বিয়ের পূর্বে ছেলেমেয়েদের অবাধ মেলামেশা ধর্ম ও সমাজ কোনটাই সমর্থন করে না। মনে রাখবেন প্রত্যেক বাবা মা'ই তার সন্তানের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যত কামনা করেন। আপনার বাবা মা'র উপর আস্থা রাখুন।  ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ