Call

মেয়েরা যখনই বাড়ি থেকে বাহিরে যাবে তখনই হেজাব পড়ে যেতে হবে। তার সাথে বোরকা জরুরি। ইসলামে এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Saiyankhan

Call

মেয়েরা পর্দা করা হল ফরজ একটি এবাদত আল্লাহ বিধান হল  ইসলামের মেয়েরা পর্দা করে চলা ফেরা করবে     কোনো নারী যদি কোনো বেহায়াপনা পর্দা না করে চলে তাহলে সে জাহান্নামে যাবে আর মেয়েরা পর্দা করা হল গুরুত্বপূর্ণ ফযিলতে কাজ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

মেয়েদের জন্য পর্দা করা ফরজ। গাইরে মাহরাম পুরুষের সামনে সে পর হোক বা আপন হোক, মেয়েদের একটি চুলও উন্মুক্ত রাখা জায়িয নয়। তেমনিভাবে মেয়েলোকদের জন্য কোন মেয়েলোকের সামনে হাটু হতে নাভী পর্যন্ত উন্মুক্ত করা জায়িয নয়।

গর্ভকালে বা প্রসবকালে অথবা অন্য কোন কারণে যদি ধাত্রী দ্বারা পেট মালিশ করার দরকার পড়ে, তবে নাভীর নীচের কোন অংশ খোলা যাবে না। কোন কাপড় রেখে তার উপর দিয়ে মালিশ করবে। বিনা প্রয়োজনে সতর ধাত্রীকে দেখানোও জায়িয নয়। সাধারণত কোন মেয়ের পেট মলবার সময় মা, বোন, খালা, ফুফু, দাদী, নানী, ননদ এবং বাড়ীর অন্যান্য লোকেরাও দেখে থাকে, এটা জায়িয নয়।

প্রত্যেক গাইরে মাহরাম পুরুষের প্রত্যেক গাইরে মাহরাম স্ত্রীলোকের সামনে যে পরিমাণ পর্দা করা ফরজ, কাফির-ফাসিক মেয়েলোক হতেও মুমিন মেয়েদের সে পরিমাণ পর্দা করা ওয়াজিব।

সুতরাং হিন্দু বা খৃষ্টান মেয়েলোক বা যেকোন বেদ্বীন বা বেপর্দা মেয়ে হতেও পর্দানেশীন নারীর পর্দা করা ওয়াজিব। তাদের সামনে কেবলমাত্র মুখম-ল, হাতের পাতা ও পায়ের পাতা ব্যতীত শরীরের কোন অংশ খোলা রাখা জায়িয নয়।

ধাত্রী যদি অমুসলিম মহিলা হয়, তবে শুধু জরুরী স্থান ব্যতীত হাতের বাজু, পায়ের নলা, মাথা বা গলা তাকে দেখালে গুনাহগার হবে।

মেয়েদের জন্য নতুন বর বা ভিন্ন পুরুষদেরকে সামনাসামনি অথবা বেড়ার ফাঁক দিয়ে কিংবা ছাদে উঠে বা জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে দেখা জায়িয নয়। তেমনিভাবে পুরুষদের জন্য বেগানা মেয়ে বা নতুন বউ দেখা জায়িয নয়।

স্ত্রীলোকদের নিজের পীরকেও দেখা দেয়া জায়িয নয়। তেমনি ধর্মবাপ, ধর্মভাই, উকিল বাপ, খালু, দুলাভাই, দেবর, ভাসুর, বেয়াই, নন্দাই, চাচাতো ভাই, মামাতো ভাই, খালাতো ভাই, খালাশ্বশুর, চাচাশ্বশুর ইত্যাদি গাইরে মাহরাম আত্মীয়দের সাথে দেখা দেয়া জায়িয নয়।

তেমনিভাবে বেগানা পুরুষের সাথে কখনো কোথাও আসা-যাওয়া করা বা দেখা দেয়া দুরস্ত নয়।

(ফাতাওয়া আলমগীরী)

এ প্রসঙ্গে  কোরানের আয়াত-আল্লাহ তা‘আলা আরো ইরশাদ করেন : “(হে নবী!) আপনি আপনার পত্মীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, যখন কোন প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হয়, তখন তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। (যেন পর্দার ফরজ লংঘন না করে। এমনকি চেহারাও যেন খোলা না রাখে। তারা যেন বড় চাদরের ঘোমটা দ্বারা নিজেদের চেহারাকে আবৃত করে রাখে।) ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সূরাহ আহযাব, আয়াত : ৬০)

মহিলাদের জন্য পর্দা করা ফরয। করলে উত্তম, না করলেও চলে---এমন নয়। আর পর্দা বলতে চেহারা ঢাকা পর্দা। মহানবী (সঃ)এর যুগে পর্দায় মহিলাদের চেহারা ঢাকার ব্যাপারে দুই শ্রেণীর আমল ছিল। পর্দার বিধান অবতীর্ণ হওয়ার পরে সকলেই চেহারা ঢেকে পর্দা করত। কোন কোন হাদীসে চেহারা না ঢাকার যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তা পর্দার বিধান অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বেকার। ৪৯৭ (ইবনে উষাইমীন)

★পর্দার গুরুত্ব বুঝাতে নবী কারিম সাঃ বলেন!-

পর্দা করা লজ্জার লক্ষণ, যাদের মধ্যে লজ্জা নাই,তাদের নিকট পর্দার কোন গুরুত্ব নাই।] রাসূল সা. বলেন,

« إن لكل دين خُلُقًا , وخُلُقُ الإسلام الحياء. »

“প্রতিটি দ্বীনের একটি চরিত্র আছে, আর ইসলামের চরিত্র হল, লজ্জা”। [হাদিসটি সহীহ]

পর্দার ফজিলত বুঝাতে তিনি আরো বলেন-

« الحياءُ من الإيمان , والإيمان في الجنة »

“লজ্জা ঈমানের অঙ্গ আর ঈমানের গন্তব্য হল জান্নাত”। [হাদিসটি সহীহ]

রাসূল সা. আরও বলেন,

« الحياء والإيمان قُرِنا جميعاً , فإذا رُفِعَ أحدُهما, رُفِعَ الآخرُ »  

“লজ্জা ও ঈমান উভয়টি একটি অপরটির সম্পূরক। যদি একটি শূন্য হয়, তখন অপরটিও শূন্য হয়ে যায়”। [হাদিসটি সহীহ]

পর্দা লঙ্গনে শাস্তির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন!-

যদি কোন নারী তার ঘরের বাহিরে স্বীয় কাপড় খুলে উলঙ্গ হয় এবং সতর খুলে ফেলে, মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার থেকে তার কাপড় খুলে ফেলবে”। [হাদিসটি বিশুদ্ধ]

সুতরাং -পর্দা একটি ফরজ বিষয়, তা লঙ্ঘনে কবিরাহ গোনাহ হবে৷ এবং তাওবাহ ব্যাতিত কঠিন শাস্তি রয়েছে৷ আর এর ফজিলতও অনেক,যা হাদিস সমূহে ফুটে উঠেছে৷ 


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ