Call

একটি বহুল প্রচলিত কথা হলোঃ আঠারো হাজার মাখলুকাত। অর্থাৎ এ মহাবিশ্বে আল্লাহ তায়ালার সৃষ্ট প্রাণীর জাতি-প্রজাতির সংখ্যা হলো ১৮ হাজার। এ কথাটি একান্তই লোকশ্রুতি ও কোনো কোনো আলিমের মতামত। আল্লাহর অগণিত সৃষ্টির সংখ্যা কত লক্ষ বা কত কোটি সে বিষয়ে কোনো তথ্য কোরআন হাদীস বা কোনো জঈফ হাদীসেও বর্ণিত হয়নি। উপরের কথাটি লোকমুখে এতই প্রসিদ্ধ যে, অনেকের কাছে তা কুরআন-হাদীসের বাণীর মতো স্বতঃসিদ্ধ। কিন্তু মাখলুকাতের এই নির্দিষ্ট সংখ্যা না আছে কুরআনে, না আছে কোনো সহীহ হাদীসে। বাস্তবতা হলো, আল্লাহ তাআলা অগণিত মাখলুক পয়দা করেছেন। জলে ও স্থলে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাখলুক আল্লাহর অসীম কুদরতের প্রমাণ। মানুষের জানার বাইরেও রয়েছে অসংখ্য মাখলুক। আবারো বলা হচ্ছে যে, আল্লাহ তাআলা কত ধরনের মাখলুক সৃষ্টি করেছেন তার নির্দিষ্ট সংখ্যা সহীহ হাদীসে বলা হয়নি। অতএব আঠারো হাজার নয়। বরং বলা উচিত যে, আল্লাহ তাআলা অসংখ্য অগণিত মাখলুক পয়দা করেছেন, যা আমরা গুণে ও হিসাব করে শেষ করতে পারব না। আর যদি বিজ্ঞান বলেই থাকে পৃথিবীতে ১৬ লক্ষের বেশি প্রজাতির আবিষ্কৃত হয়েছে। এটাও ধারনা প্রসুত কথা মাত্র।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Waruf

Call

আপনার বোঝার ভুল আছে। ধর্মীয় ব্যাপারে আমি তেমন জানিনা তাই সে দিক দিয়া বলছিনা, আমি শুধু বলছি আপনি যেটা বুঝতে ভুল করছেন সেইটা। আপনি কোন বিভাগে পড়েন জানিনা তবে বায়োলজি সম্পর্কে ধারনা থাকলে এটা নিশ্চয় জানেন যে, সমস্ত জীব জগতকে দুটি কিংডমে ভাগ করা হয়।এনিমেলিয়া এবং প্লান্টি। এরপর লিনিয়ার হায়ারার্কি ধারায় ভাগ হয়ে সর্বশেষ স্পিসিস বা প্রজাতিতে শেষ। এই প্রজাতি বিভাগটি সম্পূর্ন আলাদা বৈশিষ্ট্যময় নয়। কোরআনে যে আঠারো হাজারের কথা বলা হয়েছে তা আলাদা বৈশিষ্ট্যময়।  যেমন ধরুন। এভিস বা পাখি। প্রজাতি অনুযায়ী এর বহু বিভাগ রয়েছে।  বক আর শালিক এক নয়। এরা ভিন্ন প্রজাতি। আবার বক বা শালিক নিজেদের ভেতর আবার অনেক প্রজাতি রয়েছে। কিন্তু যতই প্রজাতি থাকুক না কেন এদের সাধারন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এক। মানে সবার ডানা চঞ্চূ রয়েছে, উড়তে পারে। কোরআনে এদের একটাই ধরা হয়েছে যা বিজ্ঞানে শুধু এভিস। এভাবে ইউনিক বৈশিষ্ট্য ধরলে ১৬ লক্ষ জীব আবিষ্কার হয়নি।  আপনি জানেনকি বাঘ এবং সিংহ প্রজাতি আলাদা কিন্তু এরা একই অর্ডের ভুক্ত। বাঘ বা সিংহ প্যানথেরা শ্রেনীর। আর প্রজাতি হিসাবে একটি প্যানথেরা লিও, অপরটি প্যানথেরা টাইগ্রিস। এই দুই জীবের মিলনে কিন্তু সন্তান সৃষ্টি হয়, যদিও বাচ্চাটি প্রজননক্ষম হয়না, বাচেনা কিন্তু সৃষ্টি হয়। তাই এরা একই শ্রেনী ভুক্ত।  কোরআনে মানুষ, উদ্ভিদ, জিন প্রভুতি আলাদা করা হয়েছে যা স্পষ্ট ই ভিন্ন। এভাবে আঠারো হাজার পুরন হবেইনা। কারন অনাবিষ্কৃত ও বিলুপ্তি হয়েছে অনেক। আর বিজ্ঞানের বিভাগ আলাদা।  মনে হয় কিছুটা ধারনা পাবেন এবার।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ