শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

হযরত ওসমান (রাঃ)-এর সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হল, কুরআন মাজীদকে সকল প্রকার বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করা এবং এর ব্যাপক প্রচার ও প্রসার দান। ৩০ হিজরী সনে আজারবাইজান এবং 'বাবুল আবওয়াব' বিজয়ের সময় বিভিন্ন দেশের ফৌজ একত্র হয়। তাদের মধ্যে কুরআন পড়া নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয়। মিশরীয়দের পড়ার রীতি ছিল এক রকম, আর ইরাকি ও সিরিয়াবাসীদের পড়ার রীতি ছিল অন্য রকম।  তাই, তাদের মধ্যে কুরআন মাজীদে পাঠের রীতি নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয়। এ মত পার্থক্যকারীগণ নিজেদের পড়া শুদ্ধ এবং অপরের পড়া অশুদ্ধ ভাবতে থাকেন। হযরত হুযাইফা (রাঃ) সাহাবা কেরামের সাথে পরামর্শক্রমে সিদ্দিকে আকবর (রাঃ)-এর সময়কার লিখিত সংকলনটি এনে হযরত যায়েদ ইবনে সাবেত (রাঃ) এবং হযরত সায়ীদ ইবনে আ'ছ (রাঃ)-এর দ্বারা এটির আট কপি করে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দেন।  এভাবে বিশুদ্ধ সংকলনটি বিভিন্ন দেশে ও শহরে প্রচার করা হয়, সাথে সাথে হযরত ওসমান (রাঃ)-এর নির্দেশও দিয়েছিলেন যে, যারা নিজের উদ্যোগে পবিত্র কুরআন সংকলন করেছে, তাদের সংকলনটি বাতিল করে দিবে। এ নির্দেশ পুরোপুরি ভাবে পালন করা হয়। আর এভাবেই হযরত ওসমান (রাঃ)-এর সময় কুরআন সুষ্ঠুভাবে সংকলন করা হয়।                        

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ