আসসালামু আলাইকুম৷ ভাই! কারণ বশত আমি এশা নামাজ আদায় করে বেতের নামাজটা রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে বেতের নামাজ পড়ি৷ কিন্তু একদিন ঘুম থেকে উঠতে পারিনি৷ এখন আমি কিভাবে, কখন এবং কি নিয়মে এই বেতের সালাত আদায় করবো? কেউ আমাকে জানালে উপকৃত হতাম।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত যেকোন সময়ে স্বাভাবিক নিয়মে তিন রাকাআত বিতর নামায কাযা করতে হবে৷ নিষিদ্ধ সময় হলো, ফজরের ফরযের পর থেকে সূর্যোদয়ের ২০ পর পর্যন্ত, ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় এবং আসরের পর থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
বিতর নামাজ সম্পর্কীয় হাদীস সমূহ পর্যালোচনা করে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, বিতর নামাজ ওয়াজিব অর্থাৎ ফরজ ও ওয়াজিবের মাঝামাঝি।

বিতির সময় মত না পড়তে পাড়লে কিংবা ভুলে গেলে তা স্মরণ হওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মে পড়ে নিতে হবে। অর্থাৎ ফরজ নামাজের ন্যায় বিতির কাযা করতে হবে।

মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি বিতর না পড়ে ঘুমিয়ে যায় অথবা তা পড়তে ভুলে যায় সে ব্যক্তি যেন তা স্মরণ হওয়া মাত্র তা পড়ে নেয়।

(আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ),

যে ব্যক্তি ঘুমিয়ে থেকে বিতর না পড়তে পারে সে ব্যক্তি যেন ফজরের সময় তা পড়ে নেয়। (তিরমিযী)

মহানবী (সাঃ) এর কোন রাত্রি বিতর না পড়ে ফজর হয়ে গেলে তখনই বিতর পড়ে নিতেন। (মুসনাদ আহমাদ)

একদা এক ব্যক্তি মহানবীর দরবারে এসে বলল, হে আল্লাহর নবী! ফজর হয়ে গেছে অথচ আমি বিতর পড়তে পারিনি। তিনি বললেন, বিতর তো রাত্রেই পড়তে হয়। লোকটি পুনরায় বলল, হে আল্লাহর নবী! ফজর হয়ে গেছে অথচ আমি বিতর পড়তে পারিনি। এবারে তিনি বললেন, এখন পড়ে নাও। (তাবরানী)
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ