অপটিকাল মার্ক একটি রিডিং টেকনোলজী যার মাধ্যমে র্নিধারিত যায়গা থেকে একটি বিশেষ মেশিনের মাধ্যমে (অপটিকাল মার্ক রিডার)তা পড়া হয় এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে রেসাল্ট প্রসেসিং করা হয়। এই কাজটির তিনটা ভালদিক আছে যার কারনে এর ব্যবহার এর পরিধি অনেক ব্যাপক… আর তা হলো সময়, সঠিক এবং মূল্য। হিসেবে দেখা যায় একটি ওএমআর মেশিন ঘন্টায় ১০০০ থেকে ১০০০০ টি ফর্ম পড়তে পারে। তার মানে মেশিনটি ঘন্টায় ১০০০০ টি শিক্ষার্থীর ফলাফল বের করতে পারে। যেহেতু ১০০% সঠিক রেসাল্ট দেয় তাই শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়েও ছিলিমিলি খেলাও হয়না। বাংলাদেশে ১৯৯০ থেকে বোর্ডে ওএমআর ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন মেশিনটির দাম নাগালে মধ্যে আসার কারনে অনেক স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি কিংবা কোচিং সেন্টারগুলো বিভিন্ন ভাবে ওএমআর ব্যবহার করছে। **কিভাবে কাজ করে: ১) বিশেষভাবে ডিজাইন করা ওএমআর ফর্মের মাধ্যমে শিক্ষারর্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২) ফর্মগুলো যোগাড় করে একটি নিদির্ষ্ট পরিমানে ফর্ম ওএমআর মেসিনে দেওয়া হয়। ৩) মেশিনটি একাধারে সবগুলো ফর্ম পড়ার পর, সফটওয়্যার এর মাধ্যমে রেসাল্ট প্রসেসিং করে ফলাফল প্রদান করা হয়। সূত্র: omrsolutionbd.com
OMR=optical mark recognition এই প্রক্রিয়ায় উত্তর পত্রের ৪টি বৃত্তে ৪টি একই আলো ফেলা হয়। এবং কম্পিউটারে সঠিক উত্তরের একটি ফর্ম ডেটাবেজ করা থাকে, ফলে উত্তর পত্র দিয়া আলো যাবার সময় আপনি যে বৃত্তটা ভরাট করেছেন সেই পথ দিয়া আলো যেতে পারেনা, ফলে ঐ বৃত্তের তলায় রাখা আলোক সেন্সর আলো না পেয়ে একটি সিগনাল উৎপন্ন করে ঐ সিগনাল ডাটাবেজের উত্তরের সাথে ম্যাচ করে উত্তর যাচাই করা হয়। উল্লেখ্য, আপনি যদি দুটো বৃত্ত ভরাট করেন তবে দুটোতে আলো না পেয়ে সিগনাল বাতিল করে ঐ প্রশ্নের উত্তর মুল্যায়ন করা হয়না। কাজেই একটি পুরন করা কর্তব্য।
OMR শিট read করার জন্য OMR মেশিন আছে। এই মেশিন শিটে থাকা ডট গুলো ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং এদের স্থান নির্ণয় করতে পারে। তাই এটা ঠিক ভুল ধরতে পারে। সঠিক উত্তর অনুযায়ী ডট গুলোর অবস্থান নির্ণয় করে কম্পিউটারের মাধ্যমের প্রোগ্রাম করে তা OMR মেশিনে পাঠানো হয়। ফলে মেশিন ভিতর দিয়ে যাওয়া সকল শিটের ডট গুলোর অবস্থান বুঝে ঠিক ভুল নির্ণয় করে এবং সেই তথ্য আবার কম্পিউটারকে পাঠায়।