রাসুল (সাঃ) কিয়ামতের নিকটবর্তিতার প্রমাণস্বরূপ কিছু আলামতের ভবিষ্যৎ বানী বলে গেছেন এগুলির কার্যফল হবেই হবে। তবে এগুলি থেকে যারাই নিজেকে সংযত রাখবে তারাই সফলকাম। ۞ পাপাচার অশ্লীলতা, নগ্নতা, ব্যভিচার বেড়ে যাওয়া। ۞ গায়িকা বাদ্য যন্ত্র ব্যাপকতা পাওয়া। ۞ মদ্যপান বেড়ে যাওয়া। ۞ নানারকম ফিতনা সৃষ্টি হওয়া। ۞ মানুষ হত্যা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি। এসব থেকে রক্ষা পেতে হলেঃ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে তবে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (ফুসসিলাতঃ ৩৬) তিনি আরও বলেছেন, নিশ্চয়ই যারা সাবধান হয়, যখন শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দেয়, তখন তারা আত্ম-সচেতন হয় এবং তৎক্ষণাৎ তাদের চক্ষু খুলে যায়। (আরাফঃ ২০১) তিনি আরও বলেছেন, যারা কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে অথবা নিজেদের প্রতি জুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করতে পারে? এবং তারা যা অপরাধ করে ফেলে তাতে জেনে-শুনে অটল থাকে না। ঐ সকল লোকের প্রতিদান তাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা এবং জান্নাত, যার নিচে নদীসমূহ প্রবাহিত। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এবং কর্মশীলদের পুরস্কার কতই না উত্তম। (সূরা আলে ইমরানঃ ১৩৫ -১৩৬) তিনি আরও বলেছেন, তোমরা সকলে আল্লাহর দিকে তওবা প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা নূরঃ ৩১)