ট্রানজিস্টরে এমন কি হয় যার কারণে এটি দুর্বল সিগনালকে বর্ধিত করে দেয়? সহজভাবে একটু বুঝিয়ে দিন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Waruf

Call

লিখে কতটুকু বোঝাতে পারবো জানিনা, তবে চেষ্টা করছি। একটি ট্রানজিস্টরের ৩টি টার্মিনাল থাকে। যার একটি ইমিটার, এটা দিয়া বিদ্যুৎ উৎস দিতে হয়, মাঝের একটি বলা হয় বেজ। এটি পরে বলছি। অপরটি হচ্ছে কালেক্টর। কালেক্টর থেকে মুলত বড় সিগনালটি আমরা পাই। এখন ট্রানজিস্টর এমনভাবে গঠিত যে এর বেজে সামান্য একটু বিদ্যুৎ প্রবাহ দিলে তা ইমিটার ও কালেক্টরের ভেতর যে বাধা বা গেট থাকে তা খুলে যায়। ফলে ইমিটার থেকে ইনপুট দেয়া ভোল্ট ও প্রবাহ কালেক্টরের পাশে চলে যায়। ফলে আমরা কালেক্টরে বড় সিগনাল পাই। এবার একটি সিগনালের বিষয়ে বলি। বাস্তবে বেজের সাথে সিরিজে একটি ক্যাপাসিটর থাকে।অর্থাৎ একটি ক্যাপাসিটরের এক প্রান্ত বেজে থাকে, অপর প্রান্ত সিগনাল ইনপুটে থাকে। সিগনালের অপর প্রান্ত রেজিস্টর দ্বারা ভোল্ট বিভাজন প্রক্রিয়ায় ইমিটার ও অতি ক্ষুদ্রাকারে(ভোল্ট বিভাজন থেকে উতপন্ন) আউটউটে যুক্ত থাকে। বেজ এবং ক্যাপাসিটরের এক প্রান্ত যেখানে যুক্ত হয় সেখানে উচ্চ মানের একটি রেজিস্টর লাগানো থাকে(BJT এর ক্ষেত্রে, mosfet এর ক্ষেত্রে না)  এই অবস্থায় বিদ্যুৎ চালনা করলে আউটপুট কোন সিগনাল পাওয়া যাবেনা। কিন্তু আউটপুটে সামান্য প্রবাহ পাওয়া যায়। (এই প্রবাহকে বন্ধ করতে কোন কোন কোম্পানি তাদের যন্ত্রে একটি ক্যাপাসিটর লাগিয়ে দেয়, যা এখানে আলোচনা করব না) তো ফাংশন টা হচ্ছে যখন বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে তখন বিদ্যুৎ ইমিটার দিয়া প্রবেশ করে বেজ দিয়া বেরিয়ে বিদ্যুৎ উতসে যেয়ে বর্তনী পুর্ন করে । কিন্তু বেজ থেকে বেরিয়ে উচ্চ মানের রেজিস্টর পার হতে বাধা পেয়ে অতি অল্প পরিমান যায় যা উল্লেখযোগ নয়। তাই আউটপুটে সামান্য প্রবাহ পাওয়া যায়। কারন এই অতি অল্প প্রবাহ ইমিটার ও কালেক্টরের বাধা বা গেটকে তেমন ভাল খুলতে পারেনা। কিন্তু এই সামান্যটা গুরুত্বপুর্ন, ধরুন আপনি একটি দরজায় ঠেলা দিচ্ছেন,ফলে সেটি খুলে যাবে যাবে ভাব কিন্তু খুলছেনা,এই অবস্থায় ছোট একটি বাচ্চা যদি আসতেও ঠেলা দেয় তবে দরজা খুলে যাবে। তো এমন একটি ভারসাম্যের সৃষ্টি হয় সেখানে। অন্য দিকে বেজ থেকে ভোল্ট প্রবাহ বেরিয়ে ক্যাপাসিটরের ভেতর দিয়া যেতে পারবেনা কারন আমরা জানি ক্যাপাসিটর ডিসি বিদ্যুৎ যেতে দেয়না। কাজেই বলা যায় এম্পলিফায়্যার ভারসাম্য অবস্থায় আছে, একেই বাস্তব ক্ষেত্রে বায়াস বলে। এই অবস্থায় যদি ক্যাপাসিটরে অপর প্রান্ত যেটা সিগনাল ইনপুটে যুক্ত, সেখানে যদি সিগনাল দেয়া হয়, তবে আমরা জানি সিগনাল হচ্ছে এসি প্রবাহ। এবং তার একটি একক কম্পাংক আছে। সিগনাল প্রদান করলে সিগনাল টি ক্যাপাসিটর পার হয়ে বেজে যাবে। কারন এসি সিগনাল ক্যাপাসিটর পাস করতে পারে। এখন ধরি সিগনালের পজিটিভ হাফ ওয়েব(একটি ফুল সাইন ওয়েভ এর পজিটিভ হাফ এবং নেগেটিভ হাফ থাকে,তা জানেন নিশ্চয়) বেজ দিয়া ভেতরে ঢুকতে চাচ্ছে। কিন্তু আমরা বায়াস করেছিলাম বেজ থেকে বেরিয়ে আসার দিকে। ফলে ইমিটার থেকে যেটুকু বিদ্যুৎ বেজ দিয়া বেরোতে চায় তাকে এই পজিটিভ সিগনাল ভেতরে ঢুকতে যেয়ে আটকে দেয় ফলে কালেক্টরে সামান্য যে বিদ্যুৎ পাচ্ছিলাম সেটাউ বন্ধ হয়ে যায়, এখন সিগনাল ওয়েভ এর বাকি নেগেটিভ হাফ অংশ কিন্তু পশ্চাৎ দিকে আসবে, আবার বেজ থেকে বিদ্যুৎ বেরিয়ে আসছে, বিষয়টা এমন যে নেগেটিভ সিগনল বেজ থেকে যেন টেনে আনছে , ফলে ঐ যে বাচ্চা দরজায় ধাক্কা দেবার মত এই অতিরিক্ত সুবিধায় ইমিটার ও কালেক্টরের বাধা বা গেট পুরা খুলে যায় এবং সম্মুখী ঝোক বায়াস বৃদ্ধি পায়। এর ফলে বৃহৎ বিদ্যুৎ ইমিটার থেকে পাস হয়ে কালেক্টরে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, হাফ ওয়েব বেশি যায়, হাফ ওয়েভ জায়না বললেই চলে। ফলে কালেক্টরে বিদ্যুৎ কম বেশি কম বেশি হয়ে ইনপুট ফুল সিগনালের মতই বৃহৎ সিগনাল তৈরি করে। এভাবেই মূলত ট্রানজিস্টর এমপ্লিফায়ার হিসাবে কাজ করে। কত টুকু বুঝলেন ভাই জানিনা। এগুলো চিত্র একে পয়েন্ট করে বিদ্যুৎ প্রবাহ দিক, সিগনালের দিক পাশে বসে ব্যাখ্যা না করলে হয়না। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ