শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Waruf

Call

film ক্যামেরার ক্ষেত্রে কোন কিছুর প্রতিবিম্ব যখন লেন্সের ভেতর দিয়া পাস করে তখন লেন্সের পেছনে পুরা বস্তুর একটি প্রতিবিম্ব উলটা ভাবে গঠিত হয়। এবং সেখানে ক্যামেরা ফিল্ম রাখা থাকে। ক্যামেরা ফিল্ম হচ্ছে সেলুলয়েড বা প্লাস্টিকের পর্দা কিন্তু এর গায়ে থাকে সিলভার হ্যালাইডের আস্তরন। সোলারের উপর আলো পড়লে যেমন বিদ্যুৎ তৈরি হয় তেমনি এই সিলভারের উপর আলো পড়লে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। এখন ক্যামেরার ভেতর এমন ভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে খুব অন্ধকার থাকে, আলো শুধু লেন্সের ভেতর দিয়া ছাড়া যেতে পারেনা। এখন আমরা লেন্সের ফাংশন থেকে জানি যে, বাইরের যেকোন আলো যেন তেন ভাবে লেন্সের ভেতর দিয়া যেতে পারেনা, অবশ্যই আলো যে কোন করে লেন্সের উপর পড়ে, প্রতিসরনের পর পেছনে সেই কোন  করে যায়না । ফলে বাইরের কোন বস্তু থেকে ক্যামেরার ভেতর এমন ফোকাস পড়ে যে, বস্তুর যেখানে কালো,  প্রতিবিম্বের সেখানে আলো পড়েনা। এভাবে ফিল্মের উপর লেন্স আলো কম বেশি বা নাই এর উপর ভিক্তি করে হুবু একটি ছবি গঠন করে। তখন ফিল্মের সিলভার হ্যালাইডের সাথে আলোর বিক্রিয়া ঘটে। তো যেখানে বেশি আলো পড়ে সেখানে বেশি বিক্রিয়া হয়, যেখানে কম আলো সেখানে কম বিক্রিয়া হয়। এভাবে ফিল্ম নেগেটিভ পাওয়া যায়। পরে ফিল্ম টি হাইপো দ্রবনে পরিষ্কার করা হয়, ফিল্মের যেখানে বিক্রিয়া ঘটে সেখানকার পদার্থ গুলো হাইপো তে উঠে যায়। এর পর আরেকটি একই প্রলেপ যুক্ত কাগজের উপর ফিল্ম রেখে ফিল্মের উপর দিয়া আলো ফেললে। যেখানে পদার্থ উঠে গেছিল সেই অংশেত ভেতর দিয়া আলো কাগজে পড়ে ফলে কাগজে আবার বিক্রিয়ায় সাদা কালো ফটোর সৃষ্টি হয়। কালার ফটোও একই ভাবে হয় কিন্তু কালারের জন্য আরও অনেক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। আর ডিজিটাল ক্যামেরা বা মোবাইলের ক্ষেত্রে ক্যাব্লমেরায় ফিল্মের বদলে ডট মেট্রিক্স পদ্ধতিতে বানানো বিশেষ সোলার সিস্টেম থাকে। ফলে লেন্সের প্রতিবিম্ব অনুসারে বিদ্যুৎ উতপন্ন হয়। এখন বিষয় হচ্ছে এটা কিন্তু লেভেল বিদ্যুৎ না, কম্পনমান বিদ্যুৎ। কারন যেখানে আলোর তীব্রতা বেশি পড়ে সেখানে বেশি বিদ্যুৎ হয়, যেখানে কম আলো সেখানে কম বিদ্যুৎ বা হয়ই না। তখন কাউন্টার নামের আইসি বিদ্যুতের এই পালস (বিদ্যুৎ বেশি,কম, নাই) গননা করে এনকোডারে দেয়। এনকোডার এই সিগনাল বাইনারিতে রুপান্তর করে এম্পলিফাই করে ফ্লিপফ্লপ বা র‍্যামে ঠিক ছবির সৃষ্টি করে এবং ফ্লিপ-ফ্লপ তা সংরক্ষন করে রাখে। পরে ফটো ফরম্যাট সিস্টেম এই কোড গুলোকে প্যাকেজ করে ফেলে। যখন আপনি ওপেন করেন তখন ঐ প্যাকেজের বাইনারী কোড ডিকোডার পুনরায় উল্টায় দিয়া আপনার সামনে ছবির সৃষ্টি করে। বুঝলেন কিছু ভাই, অতি সংক্ষেপে এই হচ্ছে সূত্র। এখানে প্যাকেজ বা ফরম্যাটের কথা বললাম, এটি হচ্ছে, jpg, jpeg, png. ইত্যাদি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ