অংকে পারদর্শী হতে গেলে আগে অংক পারতে হবে।এজন্য অংকের ধরণ ও সূত্রগুলো ভালকরে আয়ত্ব করতে হবে।প্রয়োজনে কিছু সূত্র মুখস্ত করতে হবে।তারপর অংকগুলো প্রাকটিস করতে হবে।যেগুলো পারবেন না,সেগুলোর ক্ষেত্রে গাইড ব্যবহার না করে অন্যের সহায়তা নিন।অর্থ্যাৎ,যিনি ঐ অংক ভাল বুঝেন তার কাছ থেকে বুঝিয়ে নিন।এরপর নিয়মিত প্রাকটিস করতে থাকুন।যখন অংকগুলো পুরোপুরি আপনার আয়ত্বে আসবে তখন আপনি অংকে পারদর্শী হয়ে উঠবেন।
০১. গণিতে ভালো করতে হলে প্রস্তুতি নিতে হবে ছোটবেলা থেকে। ছোটবেলায় নামতা ভালো মুখস্ত করা দরকার। কারণ ছোটবেলার ছোট ফাঁকি বড় বেলায় বড় হয়ে ধরা দিতে পারে। আর যদি ছোটবেলায় ফাঁকি দিয়েই থাকেন, এখনি একটু সময় খরচ করে নামতা মুখস্ত কর নিন। এর একটু উপরের ক্লাসে উঠলে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে সূত্রমালা একদম মুখস্থ করে নিন।
০২. কোন অঙ্ক বা জ্যামিতি না বুঝলে সেটা বাদ দিয়ে পরের অধ্যায়ে যাওয়া ঠিক নয়। যখন যেটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে সেটা শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে ভালো করে বোঝা উচিৎ। গণিত কখনো মুখস্থ করার নয়। এই অভ্যাস থাকলে দ্রুত ত্যাগ করুন এবং চেষ্টা করুন বুঝে অঙ্কের সমাধান আনতে।
০৩. একদিনে বইয়ের সব অঙ্ক শেষ করে ফেলার টার্গেট না নেওয়াটাই ভালো। বরং কোনো নির্দিষ্ট ধরনের অধ্যায়ের উপর পারদর্শী হওয়া ভালো। তাতে ভবিষ্যতে ভুল হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে। অযথা ক্যালকুলেটার না ব্যবহার করে হাতে কলমে তা সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। এতে পারদর্শীতা বাড়বে। এবং একটি অধ্যায় শেষ হওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে সেই অধ্যায়ের অঙ্ক নিয়ে আলোচনা করা খুব কাজে দেয়।
গণিতে ভালো করতে হলে আপনাকে গণিতের বেসিকগুলো জানতে হবে। আর কোনো বিষয়কে ভয় পেয়ে গেলে তা সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই আপনি গণিতকে সহজ বিষয় মনে করে প্রতিদিন প্যাকটিস করুন। আর গণিতের পঠিত অংশ ভালো করে পড়েন। আর বুঝে বুঝে উদাহরন করেন। আর নিজ প্রচেষ্টায় সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি করুন ঐ উদাহরনের আলোকে। তার উত্তরটা আপনি নিজেই তৈরি করেন তাহলে গণিতে ভালো করতে পারবেন।