প্রিয় ভাই, কবি এমনি এমনি হওয়া যায় না। কবিত্ব ধারণ করতে হয়। কবিত্ব হচ্ছে একটি স্বভাব। যেমন কেউ যদি ‘দয়ালু’ হয়ে চায় তবে কোনো বই অথবা প্রতিষ্ঠান উক্ত ব্যক্তিকে দয়ালু বানিয়ে দিতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সে নিজেই নিজের ভেতর ‘দয়া’ ধারণ করে। দয়াও একটি স্বভাব। তবে ‘কবিত্ব’ ধারণ করার পর সেটিকে একটি নির্দিষ্ট ছাঁচে নিয়ে আসতে হলে বই পড়তে হয়। সাহিত্য শব্দের অর্থ কথা, তবে কথা মাত্রই সাহিত্য নয়। সুন্দর কথার মানেই সাহিত্য আর কবিতা মানেই সুন্দর। যে কোনো সুন্দর কথাই কবিতা। কবির কাজ কবিতা সৃষ্টি করা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্য অনুযায়ী- রুপের মধ্যে অরুপের সন্ধানই হচ্ছে কবিতা। সেই রূপ আনার জন্য আপনাকে জানতে হবে ছন্দ বা গদ্যরীতি। ছন্দের মধ্যে রয়েছে সংস্কৃত, বৈদিক ও বাংলা ছন্দ সহ আরও অনেক প্রকারভেদ। লিমেরিক, সনেটের মতো বিভিন্ন ছাঁচের মধ্যে আপনার নিজস্ব চিন্তা বা দর্শন এঁটে দিতে পারলেই আপনি কবি হয়ে উঠতে পারবেন। ইচ্ছা হলে ছন্দের বাইরেও কবিতা লিখে কবি হয়ে উঠতে পারেন। তবে যে ছাঁচেই আপনি কবিতা লিখুন না কেন, সেই কথামালা দিয়ে সুন্দর সৃষ্টির ক্ষমতা থাকতে হবে আপনার চিন্তার ভেতর। সুন্দর সৃষ্টির ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাড়াতে হবে আপনার দৃষ্টির পরিসীমা, সূক্ষ্মতা ও গভীরতা। মোটকথা, আপনার দৃষ্টিভঙ্গিই উন্নতিই আপনাকে কবি হতে সহায়তা করবে।
কবিতা কয়েকরকমের আছে। আমার জানাগুলি এবং কিভাবে সেগুলি লেখা যায় সেটাই বলছি।