Oreoo

Call

পাসপোর্টের আবেদন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট যার সংক্ষিপ্ত রূপ এমআরপি (MRP)। এমআরপির জন্য বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর নতুন আবেদন ফরম তৈরি করেছে। যা আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যায়। তাছাড়া http://www.dip.gov.bd-এই ওয়েবসাইট থেকেও ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর একটি রঙিন ছবি নির্ধারিত স্থানে আঠা দিয়ে লাগানোর পর সত্যায়িত করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্করা তাদের মা-বাবার একটি করে স্টাম্প সাইজ রঙিন ছবি নির্ধারিত স্থানে লাগিয়ে সত্যায়িত করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদের ফটোকপি এবং সাথে থাকবে ব্যাংক টাকা জমা দেওয়া রসিদ। সাধারণ এমআরপি’র জন্য টাকা জমা দিতে হয় ৩০০০ টাকা। ১৫ দিনে পেতে হলে লাগে ৬০০০ টাকা । আবেদনকারীকেই আবেদন ফরম জমা দিতে হবে কারণ চারটি আঙুলছাপ রাখা হচ্ছে। তোলা হচ্ছে মুখের ছবি, নেয়া হচ্ছে স্বাক্ষর। আবেদনের সঙ্গে যে সমস্ত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে - চেয়ারম্যান/ ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত সনদ/ ভোটার আইডি কার্ড/ জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা বিদ্যুৎ, গ্যাস/ পানির বিল/ বাড়ির দলিলের ফটোকপি ইত্যাদি। - বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র/পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে। - ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র/ পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে। পাসপোর্ট করার সময় লক্ষ্যণীয় - আবেদনকারী নির্ধারিত ফরম অথবা আবেদন ফর্মের অবিকল টাইপ, সাইকোস্টাইল, ফটোকপিকৃত ফর্মে আবেদন করতে পারেন। - আবেদনকারীকে বাংলা বা ইংরেজিতে দু’ কপি আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। - আবেদনকারীর তিনটি পাসপোর্ট সাইজ এবং একটি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি লাগবে। ছবি দু’টি আবেদনপত্রের প্রতিটির প্রথম পৃষ্ঠায় নির্দিষ্ট স্থানে লাগাতে হবে । ছবির উপরে সত্যায়িত করতে হবে। আবেদনপত্রটির ভেরিফিকেশন করে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবেদনপত্রে সিলসহ স্বাক্ষর করবেন। এরপর আবেদনপত্রটি নির্দিষ্ট স্থানে জমা দিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
tusarmia80

Call

পাসপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে দেখুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
আসুন জেনে নেয়া যাক পাসপোর্ট করতে গেলে অনুসরণীয় কয়েকটি ধাপ

১ম ধাপ : টাকা জমা

অনলাইনে পাসপোর্ট করতে হলে প্রথমে টাকা জমা দিতে হবে। কেননা অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার সময় টাকা জমা দেওয়ার তারিখ এবং জমা দানের রিসিটের নম্বর উল্লেখ করার প্রয়োজন হয়। তাই ফর্ম পূরণের আগে টাকা জমা দিতে হবে। রেগুলার ফি ৩ হাজার টাকা এবং জরুরি পাসপোর্ট করতে হলে তার ফি ৬ হাজার টাকা। রেগুলার ফিতে পাসপোর্ট পেতে সময় লাগবে এক মাস। জরুরিভিত্তিতে করতে চাইল ১৫ দিনের মত সময় লাগবে।

২য় ধাপ : অনলাইনে ফরমপূরণ

এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। খুব মনোযোগ দিয়ে অনলাইনের ফরম পূরণ করতে হবে। যেন কোনো ভুল ত্রুটি না হয়। অনলাইনে ফরম পূরণের জন্য প্রথমে পাসপোর্ট অফিসের এ সাইটে যেতে হবে।

তারপর ‘I have read the above information and the relevant guidance notes’ টিক চিহ্ন দিয়ে ‘continue to online enrollment’ এ ক্লিক করতে হবে।

আপনার নাম ও ব্যক্তিগত তথ্যাদি- যেমন : আপনার নাম, পিতা-মাতার নাম। এই নামগুলো যেন শিক্ষাগত সার্টিফিকেট কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো একই হয়। কোনো তথ্য ভুল হলে পাসপোর্টে হতে সমস্যা হবে।

মেইল অ্যাড্রেস ও মোবাইল নম্বার দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই যেটি ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি দেয়া উচিত।

টাকা জমা দেয়ার তারিখ এবং রিসিট নম্বর দিতে হবে। পাসপোর্ট টাইপ সিলেক্ট করতে হবে ‘ordinary’। যে অংশগুলো লাল স্টার মার্ক দেয়া রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

Delivery Type অংশে ৩০ দিনের জন্য হলে Regular এবং ১৫ দিনের জন্য হলে Express সিলেক্ট করতে হবে।

সম্পূর্ণ ফরমটি পূরণ হলে পুনরায় এটি চেক করতে হবে। সব তথ্য টিক আছে কি না, তা যাচাই করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

সবশেষে পূরণ করা ফরমটি সাবমিট করতে হবে। সফলভাবে সাবমিট করা হলে পূরণ করা ফরমের একটি পিডিএফ কপি যে ই-মেইল অ্যাড্রেস দিয়ে ফরম পূরণ করা হয়েছে, সেখানে চলে আসবে।

৩য় ধাপ : ফর্মের প্রিন্ট এবং সত্যায়ন

এবার মেইলে আসা পিডিএফ কপির ২ কপি কালার প্রিন্ট করতে হবে। এতে আবেদনকারীর স্বাক্ষর করার স্থনে সই করতে হবে। এবার নিজের চার কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট ফর্ম নিয়ে পরিচিত কোনো প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে। পরিচিত কাউকে দিয়ে সত্যায়ন করালে ভাল। কারণ ওই কর্মকর্তার নাম, যোগাযোগ ও ফোন নম্বর এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ফরমে লিখতে হয়।

৪র্থ ধাপ : পুরো ফরম রি-চেক

সত্যায়িত ছবি এবং ব্যাংকের রিসিট আঠা দিয়ে ফরমের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপিটিও প্রিন্ট করা ফরমটির সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হবে। শিক্ষার্থী হিসেবে আবেদন করলে অবশ্যই স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি সত্যয়িত করে ফরমের সঙ্গে যুক্ত করতে দিতে হবে। এসব ধাপ শেষ করলে ফর্মটি জমা দেয়ার জন্য প্রস্তুত।

৫ম ধাপ : ফরম জমা এবং ছবি তোলা

অনলাইনে ফর্ম পূরণের জন্য ১৫ দিনের মধ্যে ফর্মের প্রিন্ট কপি, সত্যায়িত ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে পাসপোর্ট অফিসে।

পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় অবশ্যই সাদা পোশাক পরবেন না। সকালের দিকে পাসপোর্ট অফিসে গেলে ভালো হয়। তখন লাইনে ভিড় কম থাকে। সরাসরি মেইন গেইট দিয়ে মূল অফিসে ঢুকতে হবে। সেখানে দায়িত্বরত সেনা সদস্যকে জিজ্ঞেস করুণ কোন রুমে যেতে হবে। সাইন শেষে জানিয়ে দেয়া হবে ছবি তোলার জন্য কোন রুমে যেতে হবে।

এরপর নির্দিষ্ট রুমে গিয়ে সিরিয়াল আসলে ছবি তোলার জন্য ডাক পড়বে। ছবি তোলার পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে। এবার পাসপোর্ট রিসিভের একটা রিসিট দেয়া হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন সাপেক্ষে, রিসিট পাওয়ার একমাস বা ১৫ দিনের মধ্যেই আপনি পাসপোর্ট পাবেন।

নির্ধারিত দিনে রিসিভটি নিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ